সি চিন পিং বলেন, চীন ও তুরস্ক এশিয়া ও ইউরোপ মহাদেশের পূর্ব ও পশ্চিম দিকে অবস্থিত। প্রাচীনকালের রেশম পথের শুরু ও শেষপ্রান্ত হিসেবে মানবজাতির সভ্যতার আদান-প্রদান ও সমৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে দু'দেশ। চীন ও তুরস্কের পারস্পরিক সম্মান ও সহযোগিতার মাধ্যমে অভিন্ন স্বার্থ অর্জন করার ভিত্তিতে দ্বিপাক্ষিক কৌশলগত সহযোগিতামূলক সম্পর্কের উন্নতি করা উচিত, যাতে দু'দেশের জনগণের জন্য কল্যাণ বয়ে আনা যায়।
এ সম্পর্কে সি চিন পিং উল্লেখ করেন, দু'দেশের উপ-প্রধানমন্ত্রী পর্যায়ের সরকারী সহযোগিতামূলক কমিটিকে ভূমিকা পালন করতে হবে, দু'দেশের রাজনীতি,আর্থ-বাণিজ্য,নিরাপত্তা ও মানবসম্পদসহ বিভিন্ন খাতের সহযোগিতা সমন্বয় করতে করবে। দ্রুতগতির রেলপথ ও নতুন জ্বালানিসম্পদের সহযোগিতার ওপর গুরুত্ব দেওয়া এবং মহাকাশযান,আর্থ ও পুঁজি বিনিয়োগ খাতের সহযোগিতা উন্নত করতে হবে।
এরদোগান বলেন, এবারের চীন সফরে প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের সঙ্গে বিভিন্ন খাতের সহযোগিতা জোরদার করা নিয়ে অনেক মতৈক্যে পৌঁছেছি। চীন সরকারের উত্থাপিত 'এক অঞ্চল, এক পথ' চিন্তাধারা এবং 'রেশম পথ' তহবিলকে সমর্থন করে তুরস্ক।
তিনি আরো বলেন, তার দেশ চীনা শিল্পপ্রতিষ্ঠানের পুঁজি বিনিয়োগ জোরদার করাকে স্বাগত জানায় এবং এজন্য সুবিধাজনক পরিবেশ গড়ে তুলতে চায়। (সুবর্ণা/টুটুল)