Web bengali.cri.cn   
 লিবিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাস বন্ধ
  2015-07-31 18:55:52  cri

প্রিয় শ্রোতাবন্ধুরা, পেইচিং থেকে প্রচারিত চীন আন্তর্জাতিক বেতারের বাংলা অনুষ্ঠানে আপনাদের স্বাগতম। সবাইকে আন্তরিক প্রীতি ও শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আজকের 'চলতি প্রসঙ্গ' অনুষ্ঠান।

বন্ধুরা, এ অনুষ্ঠানে আপনাদের জন্য তুলে আনা হয়েছে পৃথিবীর নানা প্রান্তে ঘটে যাওয়া কিছু ঘটনা।

আর এ আয়োজনে আপনাদের সঙ্গে আছি আমি প্রকাশ এবং আমি আইরীন নিয়াজী মান্না।

প্রকাশ : তাহলে মান্না আপা আজ আমরা কি কি খবর নিয়ে আলোচনা করবো।

মান্না : ধন্যবাদ প্রকাশ। বাছাই করা একটি সংবাদ দিয়েই আজ আলোচনা শুরু করা যাক।

প্রথম খবর : চলতি বছরের প্রথমার্ধে পর্যটন খাতে তিব্বতের আয় ৫৩০ কোটি ইউয়ান

চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে চীনের তিব্বত পর্যটন খাতে আয় করেছে ৫৩০ কোটি ইউয়ান, যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৩০ শতাংশ বেশি।

পরিসংখ্যান অনুসারে, এ ছয় মাসে দেশ-বিদেশের ৫২ লাখ ৯০ হাজার পর্যটক তিব্বত ভ্রমণ করেছেন। এ সংখ্যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ২৬.৭ শতাংশ বেশি।

উল্লেখ্য, গত ২৫ এপ্রিল নেপালে তীব্র ভুমিকম্প আঘাত হানার পর তিব্বতের পর্যটন-বাণিজ্যে খানিকটা স্থবিরতা দেখা দেয়। এখন অবশ্য ছাং মু ও চিলং ছাড়া, তিব্বতের সব দর্শনীয় স্থানেই পর্যটকরা ভ্রমণ করতে পারছেন।

দ্বিতীয় খবর : দ্বিতীয় বারের মতো পালিয়ে যাওয়া মেক্সিকান মাদক সম্রাট জোকুইন গুজম্যান ওরফে এল চ্যাপোকে ধরিয়ে দিতে পুরস্কার ঘোষণা করেছে দেশটির সরকার। ঘোষিত অর্থের পরিমাণ ৬০ মিলিয়ন পেসো (২৯ কোটি ৭৬ লাখ টাকা)।

শনিবার (১১ জুলাই) এলটিপ্লানো কারাগার থেকে প্রায় দেড় কিলোমিটার সুড়ঙ্গ পথ খুঁড়ে জোকুইন গুজম্যান পালিয়ে যান। এতে অত্যন্ত সুরক্ষিত ওই কারাগারের প্রহরীদের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন মেক্সিকোর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মিজুয়েল আঙ্গেল। কারগারটির পরিচালকসহ তিন কর্মকর্তাকে এরই মধ্যে বরখাস্ত করা হয়েছে।

২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে জোকুইন গুজম্যানকে তার জন্মভূমি সিনালোয়া থেকে আটক করা হয়। সিনালোয়া মেক্সিকোর একটি মুক্ত ও সার্বভৌম প্রদেশ। এল চ্যাপো এই এলাকার কুখ্যাত মাদক চক্র সিনালোয়া কার্টেলের প্রধান। সিনালোয়া কার্টেল চোরাচালান, মাদক ও অর্থপাচারসহ বিভিন্ন অপরাধ সংঘটনের জন্য কুখ্যাত একটি আন্তর্জাতিক চক্র।

এর আগে ১৯৯৩ সালে একবার আটক করা হয়েছিলো জোকুইন গুজম্যানকে। আট বছর আটক থাকার পর ২০০১ সালে একটি হাই সিকিউরিটি কারাগার থেকে লন্ড্রির ঝুড়িতে করে পালিয়েছিলেন তিনি।

দ্বিতীয়বারের মতো কারাগার থেকে পালিয়েছে মেক্সিকোর মাদক সম্রাট জোকুইন গুজম্যান ওরফে এল চাপো। এবার এলটিপ্লানো কারাগার থেকে প্রায় দেড় কিলোমিটার সুড়ঙ্গ পথ খুঁড়ে তিনি পালিয়ে যান। এর ফলে ওই কারাগারের ১৮ প্রহরীর দায়িত্বশীলতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

আন্তর্জাতিক মাফিয়া চক্রে অত্যন্ত প্রভাবশালী চাপো মাদক পাচারের আয় দিয়েই ফোর্বস ম্যাগাজিনে বিলিয়নিয়ারদের তালিকায় উঠে এসেছিলেন। যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকোভিত্তিক অন্ধকার জগতের নিয়ন্ত্রক হিসেবে এল চাপো আলোচনায় আছেন দীর্ঘদিন।

জেল পলাতক মেক্সিকোর মাদক সম্রাট জোকুইন গুজম্যান ওরফে এল চ্যাপোকে এখন হন্যে হয়ে খুঁজে ফিরছে দেশটির আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

এল চ্যাপোর দ্বিতীয়বার পলায়নের এ ঘটনায় মেক্সিকো জুড়ে চলছে ব্যাপক অভিযান। দেশটির সব গুরুত্বপূর্ণ সড়কে বসানো হয়েছে চেকপোস্ট।

১১ জুলাই শনিবার মেক্সিকো সিটির ৫৫ মাইল পশ্চিমের কঠোর নিরাপত্তা বেষ্টিত হাইসিকিউরিটি আলটিপ্লানো কারাগার থেকে গায়েব হয়ে যান তিনি। ওই কারাগারে তাঁর জন্য বরাদ্দ কক্ষের গোসলখানার নিচে এক মাইল বা দেড় কিলোমিটারেরও বেশি দৈর্ঘের একটি সুড়ঙ্গ দিয়ে পালিয়ে যান তিনি। সুড়ঙ্গটি অপরপ্রান্ত শেষ হয়েছে পাহাড়ঘেরা একটি চারণভূমিতে।

দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা বিভাগের এক কর্মকর্তা সংবাদমাধ্যমকে বলেন, শনিবার রাতে কারাগারের নিরাপত্তা ক্যামেরাগুলোর নজরদারি থেকে হঠাত গায়েব হয়ে যান চ্যাপো। খোঁজাখুঁজি করতে গিয়ে তাঁর কক্ষের ভেতরে ৩৩ ফুট গভীর একটি সিঁড়ি দেখতে পান নিরাপত্তারক্ষীরা।

তিনি আরও বলেন, চ্যাপো পালিয়ে যাওয়ার দিনও অন্য দিনের মতোই স্বাভাবিক আচরণ করছিলেন। রাতে তাঁকে নিয়মিত রুটিনের ওষুধও দেওয়া হয়।

মাদক সম্রাট এল চ্যাপো এই সুড়ঙ্গপথেই পালিয়ে গেছেন বলে ধারণা তদন্তকারী দলের। এ ঘটনায় কারাগারটির ৩০ নিরাপত্তারক্ষীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। গত ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে গ্রেফতারের পর থেকে এই কারাগারে বন্দী ছিলেন তিনি।

যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকোভিত্তিক অন্ধকার জগতের নিয়ন্ত্রক হিসেবে এল চ্যাপো আলোচনায় আছেন দীর্ঘদিন। আটকের আগে যুক্তরাষ্ট্র তাকে 'পাবলিক এনিমি' আখ্যা দেয় এবং তাকে ধরিয়ে দেয়ার বিনিময়ে পাঁচ মিলিয়ন মার্কিন ডলার পুরস্কার ঘোষণা করে। পারিবারিক জীবনে এই মাদক সম্রাট তার বিভিন্ন স্ত্রীর ১০ সন্তানের বাবা।

তৃতীয় খবর : লিবিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাস বন্ধ

লিবিয়ার নিরাপত্তা পরিস্থিতির অব্যাহত অবনতির কারণে সম্প্রতি বাংলাদেশ দেশটিতে নিজেদের দূতাবাস বন্ধ করে দিয়েছে।

সিন হুয়া বার্তা সংস্থা লিবিয়া বার্তা সংস্থার উদ্ধৃতি দিয়ে এ খবর জানিয়েছে।

জানা গেছে, বর্তমানে বাংলাদেশ লিবিয়ায় কূটনৈতিক কার্যক্রম অস্থায়ীভাবে বন্ধ রেখেছে। পাশাপাশি দূতাবাসের কর্মীদের প্রতিবেশী তিউনিসিয়ায় স্থানান্তর করা হয়েছে।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে এ খবরের সত্যতা প্রমাণিত হয়েছে। বিবৃতিতে বাংলাদেশের জনগণকে নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতির কারণে সাম্প্রতিক সময়ে লিবিয়ায় না যাওয়ার আহ্বান জাননো হয়।


সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদন
মন্তব্য
Play
Stop
ওয়েবরেডিও
বিশেষ আয়োজন
অনলাইন জরিপ
লিঙ্ক
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved.
16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040