সাত দিনব্যাপী এ প্রদর্শনী উপলক্ষে রাজধানীর 'হো উইয়েন' গ্যালারীতে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের চরুকলা বিভাগের চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন তালুকদার, বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশীপ সেন্টারের ভাইস প্রেসিডেন্ট ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব) তাওহীদ, হুনান প্রদেশের সাংস্কৃতিক ইউনিয়ের ভাইস চেয়ারম্যান লিউ লয়ুন, হুনান নরমাল বিশ্বদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের প্রধান চু সুন তে প্রমূখ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, আমরা অনুপ্রাণীত এবং আপ্লুত। এ ধরনের অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দু'দেশের সাংস্কৃতিক বিনিময় বৃদ্ধির পাশাপাশি বন্ধুত্বের হাত আরো প্রসারিত করা সম্ভব।
'বিউটুফুল চায়না-বিউটিফুল বাংলাদেশ' শীর্ষক এ প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণকারী বাংলাদেশী শিল্পীরা হলেন আনিসুল হক, মোহাম্মদ ইব্রাহীম, মুস্তাতাহিদা রেহমান কিরণ, সুমন কুমার সরকার, সজল চন্দ্র নাথ, শাপলা সিনহা, মো. বকুল মিয়া, রেজাউল করিম।
সাত দিনব্যাপী এই প্রদর্শনী চলবে আগামী ৪ আগষ্ট পর্যন্ত। প্রদর্শনী প্রতি দিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত সকলের জন্য খোলা থাকবে।
বাংলাদেশ-চীন বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের চল্লিশ বছর পূর্তি উপলক্ষে চীনা দূতাবাস ও বাংলাদেশ-চীন ফ্রেন্ডশীপ সেন্টার যৌথ উদ্যোগে বাংলাদেশ ও চীনের তরুণ এ শিল্পীদের চিত্রপ্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে।
প্রদর্শনীতে বাংলাদেশের সাত শিল্পীর ১০টি কাজ সুযোগ পেয়েছে। এছাড়াও চীনা ৭৫জন শিল্পীর ৮০টি কাজ স্থান পেয়েছে। দু'দেশের শিল্পীরা তেলরঙ, জলরঙ ও অ্যাকরেলিক মাধ্যমে আঁকা ছবিগুলোতে নিজস্ব দেশের স্বকীয়তা, প্রকৃতি ও পরিবেশকে উপস্থাপন করেছেন।
এদিক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আগে চীনে আগত বাংলাদেশী শিল্পীদের আঁকা ছবিগুলো নিয়ে একটি ভিন্নধর্মী পাতাল ট্রেন প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয় বুধবার সকালে। ছাংশা শহরের পাতালট্রেনে বাংলাদেশের সাত শিল্পীর ছবির ভ্রামমান প্রদর্শনী করা হয়। এ ব্যতিক্রধর্মী এই প্রদর্শনী পাতালট্রেনে ভ্রমণকারী ছানশাবাসীর মধ্যে ব্যাপক সাড়া জাগায়। (মান্না)