এ প্রসঙ্গে চীনের সমাজবিজ্ঞান একাডেমির আন্তর্জাতিক আইন ইনস্টিটিউটের গবেষক চাও চিয়ান ওয়েন বলেন, 'পট্সডাম ঘোষণা' দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর আন্তর্জাতিক শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার আইনি ভিত্তি স্থাপন করেছে। এর কার্যকারিতা অস্বীকার করা যাবে না।
চীনা সমাজবিজ্ঞান একাডেমির আধুনিক ইতিহাস ইনস্টিটিউটের উপ-পরিচালক চিন ইলিন বলেছেন, যুদ্ধের পর জাপানের সাথে কী ধরনের আচরণ করা হবে, 'পট্সডাম ঘোষণা'য় তার দিক্নির্দেশনা দেওয়া আছে। এতে ১৯৪৩ সালের 'কায়রো ঘোষণা' বাস্তবায়নের কথাও বলা হয়েছে। আর কায়রো ঘোষণায় বলা হয় যে, জাপান দখলকৃত তাইওয়ান ও পেংহু দ্বীপপুঞ্জ চীনকে ফেরত দেবে। এ থেকে প্রমাণিত হয় যে, তিয়াওইউ দ্বীপপুঞ্জও চীনের অংশ।
এদিকে, চীনের সমাজবিজ্ঞান একাডেমির জাপানিজ স্টাডিজ ইন্সটিটিউটের গবেষক লিউ ইয়াও তুং বলেছেন, বিতর্কিত নিরাপত্তা বিল উত্থাপন এবং তিয়াওইয়ু দ্বীপপুঞ্জ ক্রয়ের মত নাটক করে জাপান সরকার পট্সডাম ঘোষণা লঙ্ঘন করেছে।
উল্লেখ্য, ১৯৪৫ সালের ২৬ জুলাই জার্মান শহর পট্সডামে চীন, যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেন এ ঘোষণায় স্বাক্ষর করে। ঘোষণায় মিত্রবাহিনীর কাছে জাপানকে অবিলম্বে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়। পরে সেই বছরের ২ সেপ্টেম্বর জাপান এ ঘোষণা গ্রহণ করে বিনা শর্তে আত্মসমর্পণ করে। (সুবর্ণা/আলিম)