বিশ্বে নানা ধরনের বৈশিষ্ট্যময় সঙ্গীত দিবস আছে। আমার ধারণা, বন্ধুরা তো নিশ্চয়ই অনেক চমত্কার ও মজার সঙ্গীত দিবসে অংশ নিয়েছেন। কিন্তু আপনারা কি জানেন, ট্রেন ভ্রমণের সময় আয়োজিত সঙ্গীত অনুষ্ঠান সম্পর্কে ? পেইচিং থেকে হু লুন পেই পর্যন্ত একটি সঙ্গীত ট্রেন রয়েছে। যার পুরো ভ্রমণ হলো ৪০ ঘণ্টার। সারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশ, অঞ্চল ও জাতির চমত্কার গায়ক-গায়িকা ট্রেনের ট্রিপে পাফর্ম করেন। তাদের মধ্যে অনেকেই প্রথমবারের মতো তৃণভূমিতে যান।
চীনের তাইওয়ান প্রদেশের এক বিখ্যাত সঙ্গীত ব্যান্ড শিল্পী মা থি পাং বলেছেন,
"এটা আমাদের প্রথম তৃণভূমি ভ্রমণ। সেখানে আশা করি অনেক ঘোড়া ও ভেড়া দেখতে পাবো। আমাদের জন্মস্থানে কোন তৃণভূমি দেখিনি।"
Rock&Roll সঙ্গীত ব্যান্ড শিল্পী সেন নান তা তাও-ও প্রথমবার তৃণভূমি ভ্রমণে যাচ্ছেন।
"তৃণভূমি আমাদের দৃষ্টিতে অনেক বিশাল। আর আমার দৃষ্টিতে ওখানকার মানুষ খুবই স্ট্রেইট ফরোয়ার্ড (straight-forward)।"
মার্কিন গায়িকা ক্রিস্টিন বলেছেন,
"প্রতিদিন আমি শহরে থাকি। কখনো কখনো আটকা পড়ে থাকি। আমি আশা করি তৃণভূমিতে আমি অনেক স্বাধীনতা পাবো।"
দু'রাত ও একদিনের মতো ভ্রমণে ট্রেনটি অবশেষ হু লুন পেই তৃণভূমিতে পৌঁছেছে। সব শিল্পী ২০১৫ হু লুন পেই এর আন্তর্জাতিক সঙ্গীত দিবসে যাচ্ছেন। এ বিশাল স্টেইজে নিজের গান তুলে ধরবেন তারা।
সু কু এর, চীনের একজন শিল্পী বলেছেন,
"আমি আশা করি যে আমাদের শিশুরা নিজের জাতির সঙ্গীত কি রকম তা জানতে পারবে। সঙ্গীত থেকে নিজের জন্মভূমিকে চিনতে পারবে তারা।"
একজন দর্শক বলেছেন,
"আমি খুবই খুশি যে, এত বেশি বিভিন্ন দেশ, অঞ্চল, বিশেষ করে বিভিন্ন জাতির সঙ্গীত এখানে শুনতে পারব।"
একজন সঙ্গীত ম্যানেজার বলেছেন,
"প্রতিটি সঙ্গীতের নিজের যুগের তাত্পর্য ও অর্থ আছে। আমাদের উচিত এ অর্থ অনুধাবন করা। তা ছাড়া নিজস্ব বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে আন্তর্জাতিক বৈশিষ্ট্য মিলিয়ে নতুন সুর তৈরি করা, যাতে বিদেশি ভক্তরাও আমাদের ঐতিহ্যবাহী সঙ্গীত পছন্দ করে।"
চীনের মান জাতির একজন শিল্পী বলেছেন,
"আমরা অনেক বার বিদেশে নিজ জাতির সঙ্গীতের পাফর্ম্যান্স করেছি। বিদেশিরা তা খুবই পছন্দ করে। আমাদের উচিত আরো বেশি মানুষের চীনের সুন্দর জাতীয় সঙ্গীত সম্পর্কে জানানো।"