জুলাই ৬: গ্রিসে গতকাল (রোববার) অনুষ্ঠিত গণভোটে ৬১.৩ শতাংশ মানুষ 'না' ভোট দিয়েছে। চলমান অর্থনৈতিক সংকট থেকে বেরিয়ে আসার জন্য দেশটি কঠিন শর্তে ঋণ গ্রহণ করবে কি না, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে এ গণভোটের আয়োজন করা হয়েছে। ভোটে অংশ নিয়েছে প্রায় ৬২.৫ শতাংশ মানুষ। কঠিন শর্তে ঋণ গ্রহণে রাজি হয়েছে ৩৮.৭ শতাংশ মানুষ। আজ (সোমবার) ভোরে গ্রিসের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গণভোটের ফলাফল প্রকাশ করেছে।
ভোটের ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার পর গ্রীস প্রধানমন্ত্রী অ্যালেক্সিস সিপ্রাস এক টেলিভিশন ভাষণে বলেছেন, গণভোটে ঋণদাতাদের 'না' বলে গ্রিস এটা প্রমাণ করেছে যে, গ্রিসের মানুষ স্বতন্ত্র ও স্বাধীনভাবে ইউরোপে থাকতে চায়। সব চাপের পরও আমরা ভীত নই।
দেশটির অর্থমন্ত্রী ইয়ানিস ভারোফাকিস বলেন, ঋণদাতার সঙ্গে দু'পক্ষের জন্য কল্যাণকর একটি চুক্তি স্বাক্ষর করতে প্রস্তুত গ্রিস। গ্রিসের আর্থিক পরিস্থিতি জটিল হলেও সরকার ঋণদাতার সঙ্গে আলোচনা আবারও শুরু করতে চায় এবং যত দ্রুত সম্ভব সংস্কার চুক্তি স্বাক্ষর করতে চায়।
এদিকে রোববার রাতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন গণভোট নিয়ে একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছে। বিবৃতিতে ইউরোপীয় পরিষদের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড তুস্ক জানান, আগামী ৭ জুলাই বিকেলে ইউরো অঞ্চলের বিশেষ সম্মেলনে গ্রিস গণভোট পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হবে।
(শিশির/তৌহিদ)