বিশ্বব্যাংকের হিসেব অনুযায়ী, যে সব দেশের মাথাপিঁছু জাতীয় আয় ১ হাজার ৪৫ ডলার বা তার নিচে সে সব দেশ নিম্ন আয়ের তালিকাভুক্ত। ১ হাজার ৪৬ থেকে ৪ হাজার ১২৫ ডলার পর্যন্ত আয় নিম্ন মধ্যম আয়ের তালিকাভুক্ত। ৪ হাজার ১২৬ ডলার থেকে ১২ হাজার ৭৩৬ ডলার পর্যন্ত উচ্চ মধ্যম আয় এবং তার উপরে আয় হলে তা উচ্চ আয়ের দেশের তালিকাভুক্ত।
বাংলাদেশের মাথাপিঁছু আয় ১ হাজার ৪৫ ডলার ছাড়িয়েছে কয়েক বছর আগেই। পর পর তিন বছর এ আয় স্থিতিশীল থাকার পর বর্তমানে তা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৩১৪ ডলারে। সে হিসেবে নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশের তালিকায় উন্নীত হয়েছে বাংলাদেশ। এবার বাংলাদেশের সঙ্গে কেনিয়া, মিয়ানমার ও তাজিকিস্তানও নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশের মর্যাদা লাভ করেছে। আর বিশ্বে বাংলাদেশসহ নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশের সংখ্যা ৩১টি।
বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, এ স্বীকৃতি বাংলাদেশের ধারাবাহিক অর্থনৈতিক অগ্রগতির প্রতিফলন। বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. ফরাসউদ্দীন মনে করেন এটি বাংলাদেশের জন্য একটি মাইলফলক। এতে বিশ্ব ফোরামে বাংলাদেশের মর্যাদা বাড়বে। তবে, এর ফলে বিশ্বব্যাংক ও এডিবি থেকে সহজ শর্তে ঋণ পাওয়া কঠিন হবে বলে মনে করেন তারা।
বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশের স্বীকৃতি দেওয়ায় সন্তুষ্ট সরকার। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত বলেন, এ স্বীকৃতির জন্য বাংলাদেশ কোনো দেনদরবার করেনি। বরং বিশ্বব্যাংক স্বতঃপ্রণোদিত হয়েই এ স্বীকৃতি দিয়েছে। বাংলাদেশ এখন জাতিসংঘ ঘোষিত নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশের স্বীকৃতি পাবার অপেক্ষায় রয়েছে বলে জানান তিনি। নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশ হলেও বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের সুযোগসুবিধা পাবে বলে আশা প্রকাশ করেন অর্থমন্ত্রী।
বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ মনে করেন, নিম্ন মধ্যম আয়ের স্বীকৃতি পাওয়ায় বিশ্বে জাতি হিসেবে বাংলাদেশে মর্যাদা বেড়েছে। একে মধ্য আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন বাণিজ্যমন্ত্রী।
ঢাকা থেকে মাহমুদ হাশিম।
| ||||