Web bengali.cri.cn   
ডাইনোসরদের মতো বিলুপ্ত হবে মানবজাতিও
  2015-07-03 19:21:50  cri
চলতি প্রসঙ্গ প্রিয় শ্রোতাবন্ধুরা,

পেইচিং থেকে প্রচারিত চীন আন্তর্জাতিক বেতারের বাংলা অনুষ্ঠানে আপনাদের স্বাগতম। সবাইকে আন্তরিক প্রীতি ও শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আজকের 'চলতি প্রসঙ্গ' অনুষ্ঠান।

বন্ধুরা, এ অনুষ্ঠানে আপনাদের জন্য তুলে আনা হয়েছে পৃথিবীর নানা প্রান্তে ঘটে যাওয়া কিছু ঘটনা।

আর এ আয়োজনে আপনাদের সঙ্গে আছি আমি প্রকাশ এবং আমি আইরীন নিয়াজী মান্না।

প্রকাশ : তাহলে মান্না আপা আজ আমরা কি কি খবর নিয়ে আলোচনা করবো।

মান্না : ধন্যবাদ প্রকাশ। বাছাই করা একটি সংবাদ দিয়েই আজ আলোচনা শুরু করা যাক।

প্রথম খবর : নেপালের দুর্গত অঞ্চলে প্রাথমিক স্কুল নির্মাণ করবে পেইচিং ও কাঠমান্ডু

সম্প্রতি নেপালের ভূমিকম্পদুর্গত অঞ্চলে যৌথ উদ্যোগে প্রাথমিক স্কুল নির্মাণ করবে পেইচিং ও কাঠমান্ডু। চীনের যুব উন্নয়ন ফাউন্ডেশন এবং নেপালের চিমু প্রাথমিক স্কুল জুন মাসের শেষে দিকে কাঠমান্ডুর পার্তামে একটি সহযোগিতামূলক স্মারকলিপিতে স্বাক্ষর করে।

এই স্মারকলিপি অনুযায়ী দু'পক্ষ যৌথ পুঁজি বিনিয়োগে একটি প্রাথমিক স্কুল নির্মাণ করবে। নেপালের শিক্ষামন্ত্রী চিত্রলেখা ইয়াদহাভ এবং সেদেশে নিযুক্ত চীনা দূতাবাসের সাংস্কৃতিক অফিসের মহাপরিচালক চাং বিং স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

চিমু প্রাথমিক স্কুল ১৯৪২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে স্কুলটিতে ৫৬০জন ছাত্রছাত্রী আছে। চলতি বছরের ২৫ এপ্রিল সংঘটিত ভয়াবহ ভূমিকম্পে এটি গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

চীনের যুব উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের জরুরি উদ্ধার ও শিক্ষা বিষয়ক বিভাগের মন্ত্রী ইয়েন শি বলেন, নতুন স্কুল নির্মাণে প্রায় ৮ লাখ মার্কিন ডলার খরচ হবে। চীন ৫ লাখ মার্কিন ডলার অর্থ প্রদান করবে এবং নেপাল বাকী অর্থ দেবে। নেপালে চীনা কোম্পানির উদ্যোগে এ স্কুলের নির্মাণ কাজ করা হবে এবং চলতি বছরের মধ্যে এ স্কুলটির নির্মাণ কাজ শেষ হবে।

দ্বিতীয় খবর : ডাইনোসরদের মতো বিলুপ্ত হবে মানবজাতিও

লাখ লাখ বছর আগে পৃথিবী দাপিয়ে বেড়াতো বিশালদেহী ডাইনোসরের দল। কিন্তু একটা সময় তাদের বিলুপ্তি ঘটে। পৃথিবী শাসন করা এই প্রাণিপ্রজাতির বিলুপ্তির সুনির্দিষ্ট কারণ সম্পর্কে বিতর্ক থাকলেও মোটাদাগে বিজ্ঞানীরা স্বীকার করেছেন, প্রাকৃতিক কারণেই এখন আর পৃথিবীতে নেই তারা। বর্তমানে মানবজাতিও ডাইনোসরদের মতো বিলুপ্তির পথে হাঁটছে বলে হুঁশিয়ার করে দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আমেরিকান এসোসিয়েশন ফর দ্য অ্যাডভান্সমেন্ট অব সায়েন্সের 'সায়েন্স অ্যাডভান্স' জার্নালে একটি গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। স্ট্যানফোর্ড, প্রিন্সটন ও বার্কলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা যৌথভাবে এ গবেষণা প্রতিবেদন প্রস্তুত করেছেন। এতেই এই হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।

ভরক্ষয় শুরুর আগে প্রাণিজগত পৃথিবীতে যে হারে বিলুপ্তি পথে হেঁটেছে, বর্তমানে তার হার একশ' গুণ বেশি বলে দাবি করা হয় ওই প্রতিবেদনে। মেরুদন্ডী প্রাণিরা স্বাভাবিকের চেয়ে ১১৪ গুণ বেশি হারে বিলুপ্তির পথে এগিয়ে যাচ্ছে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।

প্রতিবেদনে জানানো হয়, ১৯০০ সালের পর এ পর্যন্ত চার শতাধিক প্রজাতির মেরুদন্ডী প্রাণির বিলুপ্তি ঘটেছে। বিজ্ঞানীদের দাবি, এখন থেকে সাড়ে ছয় কোটি বছর আগেও এই হারে প্রাণির বিলুপ্তি ঘটেছে। ওই সময়টাতেই ডাইনোসর প্রজাতি পৃথিবী থেকে মুছে যায়।

জলবায়ু পরিবর্তন, পরিবেশ দুষণ ও বন নিধনকে প্রাণিজগতের বর্তমান এই বিপর্যয়ের জন্য দায়ী করা হয়েছে নতুন ওই গবেষণায়। এসময় বিজ্ঞানীরা বলেন, তিন মানবপ্রজন্মের মধ্যেই মৌমাছিম প্রজাপতির মাধ্যমে প্রকৃতির পরাগ প্রক্রিয়া বিলুপ্ত হবে।

যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক পল এরলিক বলেন, প্রাণিজগতের অনেক প্রজাতিই বিলুপ্তির পথে এগিয়ে যাচ্ছে।

ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব নেচারের (আইইউসিএন) মতে, বর্তমানে প্রতি বছর অন্তত পঞ্চাশ প্রজাতির প্রাণি বিলুপ্তির পথে এগিয়ে যাচ্ছে।

প্রায় ৪১ শতাংশ উভচর ও ২৫ শতাংশ স্তন্যপায়ী প্রাণি বর্তমানে বিলুপ্তির ঝুঁকিতে রয়েছে বলে জানানো হয়েছে সাম্প্রতিক গবেষণা প্রতিবেদনে।

আইইউসিএন'র মতে, এই মুহূর্তে সবচেয়ে ঝুঁকিতে রয়েছে লেমুর। ৯৪ শতাংশ লেমুর প্রজাতি বর্তমানে হুমকিতে রয়েছে। সামগ্রিকভাবে লেমুরের প্রতি পাঁচটিতে একটি বিপন্ন।

গত বছর নর্থ ক্যারোলিনার ডিউক বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিজ্ঞানী ও বিলুপ্তি বিশেষজ্ঞ স্টুয়ার্ট পিম ও তার দল একটি গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেন। ওই প্রতিবেদনে হুঁশিয়ার করা হয়, মানবজাতি গণবিলুপ্তির ষষ্ঠ অধ্যায়ে প্রবেশ করছে।

পিমের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, অতীতের তুলনায় বর্তমানে প্রাণিজগতে বিলুপ্তির হার এক হাজার গুণ বেশি।

তৃতীয় খবর : চীনের ড্রাগন বোট উত্সবের ছুটির প্রথম দিন রেল যাত্রীর সংখ্যা ৯৮ লাখ

জুন ২০ থেকে ২২ পর্যন্ত হলো চীনে উদযাপিত হলো ঐতিহ্যবাহী তুয়ান উ বা ড্রাগন বোট উত্সব। উত্সব উপলক্ষে প্রথম দিনের ছুটিতে চীনের রেল যাত্রীর সংখ্যা ৯৮ লাখ ছড়িয়েছে। যা আগের বছরের এ সময়ের তুলনায় ৭ লাখ ৩০ হাজারেরও বেশি। চীনের রেলপথ প্রতিষ্ঠান এ তথ্য জানিয়েছে।

এ উত্সবের ছুটির আগে চীনের সাধারণ উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভর্তি পরীক্ষা, সিনিয়র স্কুল ভর্তি পরীক্ষা শেষ হয়। তারপর জনসাধারণ গ্রামাঞ্চলের আত্মীয়দের সঙ্গে দেখাশোনা করতে যান।

হু পেই প্রদেশ তুয়ান উ উত্সবের উত্স হওয়ায় সেখানে পর্যটকের ভিড় লেগেই থাকে। এ মৌসুমে ইনার-মঙ্গোলিয়ায় তৃণভূমিতে যাওয়া পর্যটকের সংখ্যাও অনেক বেশি ছিল।

যাত্রীদের সুবিধায় রেল বিভাগ নানা ব্যবস্থা হাতে নিয়েছে। টিকিট পরিবর্তন করতে চাইলে ট্রেন ছাড়ার ৪৮ ঘণ্টা আগে কাউন্টারে ও রেল বিভাগের ওয়েবসাইট থেকে তা পরিবর্তনের সুবিধা দেওয়া হয়।


সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদন
মন্তব্য
Play
Stop
ওয়েবরেডিও
বিশেষ আয়োজন
অনলাইন জরিপ
লিঙ্ক
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved.
16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040