বৈঠকে লি খ্য ছিয়াং বলেন, চীন-ফ্রান্স সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০ বছরে দু'দেশ আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক বিষয়ে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ বজায় রেখেছে। চীন ফ্রান্সের সঙ্গে সার্বিক বহুমুখী সহযোগিতার মান উন্নয়ন করতে ইচ্ছুক।
তিনি আরো বলেন, দু'দেশের উচিত মহাকাশ, বিমান চলাচল, দ্রুতগতির রেল ও ইস্পাতসহ বিভিন্ন শিল্পের সহযোগিতা এবং পরমাণু, তেল, প্রাকৃতিক গ্যাস ও পানি বিদ্যুত্ উত্পাদনের ক্ষেত্রের সহযোগিতা জোরদার করা। এছাড়া দু'দেশের কৃষি, খাদ্য, চিকিত্সা, ডিজিটাল অর্থনীতি, সমুদ্র ও পরিবেশ সুরক্ষার ক্ষেত্রের সহযোগিতাও জোরদার করা উচিত। দু'দেশের উচিত দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও অর্থবিনিয়োগ সুবিধা সৃষ্টি করা। এছাড়া দু'দেশের ব্যাংকিং ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রের সহযোগিতাও জোরদার করা উচিত বলে উল্লেখ করেন লি খ্য ছিয়াং।
ভালস বলেন, ফ্রান্স চীনের সঙ্গে অর্থনৈতিক সংলাপ জোরদার এবং পরমাণু, মহাকাশ, বিমান চলাচল ও কৃষি ক্ষেত্রের সহযোগিতা জোরদার করতে ইচ্ছুক। ফ্রান্স চীনের সঙ্গে প্রাকৃতিক শহরের সহযোগিতা উন্নয়ন করতে চায়। ফ্রান্স চীনকে প্যারিস জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলন আয়োজনে সহায়তা করার জন্য ধন্যবাদ জানায়।
উল্লেখ্য, বৈঠকে দু'দেশের প্রধানমন্ত্রী আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক বিষয় নিয়ে মত বিনিময় করেন। এছাড়া বৈঠক শেষে দুই প্রধানমন্ত্রী দু'দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রের চুক্তির স্বাক্ষরিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত হন। (ছাই/টুটুল)