গত শনিবার ব্রিটেন-চীন সমঝোতা সোসাইটি প্রতিষ্ঠার ৫০তম বার্ষিকী উপলক্ষে লন্ডনে উদযাপনী অনুষ্ঠানের ভাষণে তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, চীন-বৃটেন দীর্ঘমেয়াদি ও স্থিতিশীল সার্বিক কৌশলগত অংশীদারিত্বের সম্পর্ক গড়ে তুলতে চাইলে পারস্পরিক সমঝোতা জোরদার করা উচিত্, কেননা সমঝোতা হলো ভিত্তি ও পূর্বশর্ত। পারস্পরিক সমঝোতা গভীরতর হলে পারস্পরিক আস্থা গভীরতর করা সম্ভব এবং পারস্পরিক আস্থা গভীরতর করলে সহযোগিতাও গভীরতর করা সম্ভব।
তিনি উল্লেখ করেন, ৫০ বছরের মধ্যে সোসাইটিটি দু'দেশ এবং দু'দেশের জনগণের মধ্যে পারস্পরিক সমঝোতা বৃদ্ধির এবং বৃটিশ জনগণের কাছে সত্যিকার একটি চীন তুলে ধরার প্রচেষ্টা চালিয়ে আসছে। এ সোসাইটি চীন ও বৃটেন এবং তথাকথিত চীন ও পশ্চিমা দেশগুলোর মধ্যে পারস্পরিক সমঝোতা, বিনিময় ও সহযোগিতা জোরদারের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্লাটফর্মে পরিণত হয়েছে বলেও জানান তিনি।
লিউ শিয়াও মিং বলেন, চীন-বৃটেন সম্পর্ক সংস্থা স্তর কূটনৈতিক সম্পর্ক থেকে রাষ্ট্রদূত পর্যায়ের কূটনৈতিক সম্পর্কে উন্নীত হয়েছে এবং দু'দেশের মধ্যে অংশীদারিত্বের সম্পর্ক সার্বিক অংশীদারিত্বের সম্পর্কে উন্নীত হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, চীনের প্রতি পশ্চিমা দেশগুলোর উপলব্ধি যথেষ্ট নয়। মাঝেমাঝে পশ্চিমা দেশগুলো চীনের শান্তিপূর্ণ উন্নয়নের পথ, চীনের অর্থনীতির রূপান্তর, চীনের 'এক অঞ্চল, এক পথ' প্রস্তাব নিয়ে নানা ধরনের নেতিবাচক মন্তব্য করে। তাই পারস্পরিক সমঝোতা চীন ও বৃটেন এবং চীন ও পশ্চিমা দেশগুলোর জন্য একটি বড় দায়িত্ব এবং এতে একটি লম্বা পথ পাড়ি দিতে হবে । (লিলি/টুটুল)