আপনার অপারেটিং সিস্টেম ও অ্যাপের সর্বশেষ সংস্করণ ব্যবহার করুন। অপারেটিং সিস্টেম ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়া মানে আপনার মোবাইল হ্যাকারের হাতে চলে যাওয়া। অপারেটিং সিস্টেমের নিরাপত্তা খুব গুরুত্বপূর্ণ। অপারেটিং সিস্টেম ও আপনার ব্যবহৃত অ্যাপের সর্বশেষ সংস্করণে থাকে নানা ভাইরাস প্রতিরোধক কৌশল, যা আপনার মোবাইল নিরাপদ রাখতে সহায়ক।
আপনার ফোন যদি খুবই গোপনীয় হয়ে থাকে তাহলে পিন, পাসওয়ার্ড অথবা প্যাটার্ন লক ব্যবহার করে নির্দিষ্ট যন্ত্রটি লক করে থাকুন।
সব সময় নিরাপদ সাইট থেকে অ্যাপ্লিকেশন (অ্যাপ) নামিয়ে ব্যবহার করুন। এ কাজে স্মার্টফোনের অপারেটিং সিস্টেম নির্মাতার অ্যাপ স্টোর ব্যবহার করুন। যেটা শুরু থেকেই ফোনে থাকে। বিশ্বাসযোগ্য নয় এমন জায়গা থেকে অ্যাপ ডাউনলোড করা বন্ধ করুন।
Do Not Track সেট করুন। বিভিন্ন ওয়েবসাইটে আপনি যেসব তথ্য দিচ্ছেন, সেগুলো কিন্তু সংরক্ষিত থাকে। এরপর তরা সে অনুযায়ী আপনাকে বিজ্ঞাপন প্রচার করে থাকে বা নানা কাজে ব্যবহার করে। আর আপনি যদি মোবাইল ফোনে Do Not Track অপশনটি সেট করেন, তাহলে তারা আপনার তথ্য সংগ্রহ করতে সহজ হবে না।
পাবলিক ওয়াইফাই ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন। এটি খুবই ভয়ানক। আর যখন ওয়াইফাই ও ব্লুটুথ ব্যবহার করছেন না তখন এটি বন্ধ রাখুন।
উই চ্যাট, কিউ কিউ, স্কাইপ, ফেসবুক টুউইটারসহ বিভিন্ন সামাজিক সফটওয়ার, ই-মেইল বা লিখিত মেসেজে আসা লিংকগুলো থেকে সাবধান। অনেক লিংক ভাইরাসযুক্ত। খুললে আপনার মোবাইলে ভাইরাস সংক্রমণ হয়ে যাবে।
স্মার্টফোনের মাধ্যমে কোনো অ্যাকাউন্টে লগ ইন করলে কাজ শেষে লগ-আউট করা খুব প্রয়োজন। বিশেষ করে স্মার্টফোনে ব্যাংকিং অ্যাকাউন্টগুলোর সাবধানতার দিকে আরও নজর দিতে হয়। কোনো লেনদেন শেষ হলে তাত্ক্ষণিকভাবে লগ আউট করুন। এতে আশা করা যায় আপনার সম্পদ নিরাপদে থাকবে।
মোবাইল নিরাপদে রাখতে চাইলে মোবাইল ব্যবহারে আপনাকে দক্ষ হতে হবে। উপরোক্ত নিয়মগুলি মেনে চলুন। তাহলে আপনার স্মার্টফোন অনেক নিরাপদে থাকবে।