গত মঙ্গলবার এক সাক্ষাতকারে কার্টার রামাদি শহরে আইএস'এর সঙ্গে যুদ্ধের সময় ইরাকি বাহিনীর পালিয়ে যাওয়ার সমালোচনা করেন।
বাগদাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনৈতিক বিভাগের অধ্যাপক ইব্রাহিম আমালি কার্টারের এক মন্তব্য নিয়ে বলেন, অধিকাংশ ইরাকি মনে করেন, আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রর আধিপত্য এবং সন্ত্রাস দমনে 'দ্বেতনীতি' হলো বর্তমান ইরাকের বিশৃঙ্খলার প্রধান কারণ।
অধ্যাপক আমালি বলেন, ২০০৩ সালে মার্কিন বাহিনী ইরাকে প্রবেশ করে সাদ্দাম কর্তৃপক্ষকে উত্খাত করে নিজের 'প্রতিনিধি'কে সমর্থন করে। এর পর থেকে ইরাকের অভ্যন্তরীণ সংঘর্ষ তীব্র হয়ে উঠেছে।
তিনি আরো বলেন, মার্কিন সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশ ইরাক যুদ্ধকে সন্ত্রাস দমনের অভিযান বলে বর্ণনা করে আসছেন। কিন্তু ইরাক যুদ্ধের মাধ্যমে আজকের সবচেয়ে বিপজ্জনক ও নিষ্ঠুর সন্ত্রাসী সংস্থা গড়ে উঠেছে। এমন দায়িত্বহীন সিদ্ধান্ত ইরাকসহ প্রতিবেশী দেশগুলোকেও দীর্ঘ সময় ধরে বিশৃঙ্খলার মধ্যে ফেলে দিয়েছে। তারপরও যুক্তরাষ্ট্র 'গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার' শ্লোগান হাতে নিয়ে নিজ স্বার্থ পূরণের লক্ষ্যে মধ্যপ্রাচ্যের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করছে। (স্বর্ণা/টুটুল)