ভাষণে সি চিন পিং জোর দিয়ে বলেছেন, চীন ও জাপানের উচিত ঐতিহাসিক অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা গ্রহণ করা এবং ভবিষ্যতমুখী মনোভাব পোষণ করে দু'দেশের গৃহীত চারটি রাজনৈতিক দলিলের ভিত্তিতে শান্তিপূর্ণ উন্নয়ন বাস্তবায়ন করা, দু'দেশের সুন্দর ভবিষ্যৎ, তথা এশিয়া ও বিশ্ব শান্তিতে অবদান রাখার চেষ্টা করা।
সি চিন পিং আরো বলেন, শান্তি ও বন্ধুত্ব হল দু'দেশের জনগণের অভিন্ন আশা। দু'দেশের জনগণ পরস্পরের কাছ থেকে শিখে নিজেদের উন্নতি বাস্তবায়িত করেছে এবং বিশ্বের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। কিন্তু আধুনিক সময়ে জাপান আগ্রাসনের পথ বেছে নেয়ায় চীন ও জাপানের মধ্যে খুব দুঃখজনক ইতিহাস সৃষ্টি হয়েছে। এতে চীনের মানুষ কষ্ট পেয়েছে। ইতিহাস প্রমাণ করেছে যে, চীন-জাপান বন্ধুত্ব দু'দেশের জনগণের জন্যই নয়, এশিয়া ও বিশ্বের জন্যও সহায়ক।
চলতি বছর চীনা জনগণের জাপান-বিরোধী প্রতিরোধ যুদ্ধ অর্থাত্ বিশ্বের ফ্যাসিবাদ বিরোধী যুদ্ধ জয়ের ৭০ বছর পূর্তি। জাপান যে অন্য দেশে আগ্রাসন করেছে, তা অস্বীকার করা অসম্ভব। চীন ও জাপানের উচিত দু'দেশের সম্পর্ক উন্নয়ন এবং বিশ্ব শান্তিতে অবদান রাখতে যৌথ চেষ্টা করা।
সি চিন পিং আরো বলেন, চীন ও জাপানের মৈত্রীর ভিত্তি হলো দু'দেশের জনগণ। এ সম্পর্কের উন্নয়নও দু'দেশের জনগণের ওপর নির্ভর করে। চীন দু'দেশের বেসরকারি বিনিময়কে সমর্থন করে, বিশেষ করে দু'দেশের যুব সমাজসহ বিভিন্ন মহলকে বন্ধুত্ব বাড়াতে উত্সাহ দেয়।
উল্লেখ্য, এবার চীন-জাপান বন্ধুত্বপূর্ণ বিনিময় সম্মেলন হলো সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীন ও জাপানের বেসরকারি বিনিময়ের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠান। দু'দেশের রাজনীতি, অর্থনীতি, পর্যটন ও সংস্কৃতিসহ বিভিন্ন মহলের ৩ হাজারেরও বেশি প্রতিনিধি এতে অংশ নিয়েছেন। সম্মেলনে 'চীন-জাপান বন্ধুত্বপূর্ণ বিনিময়ের আহ্বান পত্র'ও প্রকাশিত হয়েছে।
(শুয়েই/তৌহিদ)