0517jiankang
|
বিশ্বের সমস্ত প্রাণীর শরীর অসংখ্য ছোট ছোট কোষের সমন্বয়ে গঠিত। এই কোষগুলো একটা নির্দিষ্ট সময় পরপর মারা যায়। এই পুরনো কোষগুলোর জায়গায় নতুন কোষ এসে জায়গা করে নেয়। সাধারণভাবে কোষগুলো নিয়ন্ত্রিতভাবে এবং নিয়মমতো বিভাজিত হয়ে নতুন কোষের জন্ম দেয়।
সাধারণভাবে বলতে গেলে, যখন এই কোষগুলো কোনও কারণে অনিয়ন্ত্রিতভাবে বাড়তে থাকে তখনই ত্বকের নিচে মাংসের দলা অথবা চাকা দেখা যায়। একেই টিউমার বলে। এই টিউমার বিনাইন বা ম্যালিগন্যান্ট হতে পারে। ম্যালিগন্যান্ট টিউমারকেই ক্যান্সার বলে। বিস্তারিতভাবে বলতে গেলে, অনিয়ন্ত্রিতভাবে বিভাজনক্ষম হয়ে বৃদ্ধি পাওয়া কলাকে নিয়োপ্লাসিয়া (টিউমার) বলে, এবং সেরকম ক্রিয়াযুক্ত কোষকে নিয়োপ্লাস্টিক কোষ বলে। নিওপ্লাস্টিক কোষ আশেপাশের কলাকে ভেদ করতে না-পারলে তাকে বলে নিরীহ বা বিনাইন টিউমার। বিনাইন টিউমার ক্যান্সার নয়। নিওপ্লাসিয়া কলা ভেদকক্ষমতাসম্পন্ন হলে তাকে ম্যালিগন্যান্ট টিউমার বা ক্যান্সার, এবং তার অনিয়ন্ত্রিত বিভাজনক্ষম ভেদক ক্ষমতাযুক্ত কোষগুলিকে ক্যান্সার কোষ বলে। অনেক ক্যান্সার প্রথমে বিনাইন টিউমার হিসাবে শুরু হয়, পরে তার মধ্যেকার কিছু কোষ পরিবর্তিত (ট্রান্সফর্মেসন) হয়ে ম্যালিগন্যান্ট (অর্থাত ভেদকক্ষমতাযুক্ত) হয়ে যায়। তবে বিনাইন টিউমার ক্যান্সারে পরিবর্তিত হবেই তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। কিছু বিনাইন টিউমারসদৃশ ব্যাধি আছে যাতে ক্যান্সার হওয়া অবশ্যম্ভাবী - এদের প্রি-ক্যান্সার বলে। নামে বিনাইন অর্থাত নিরীহ হলেও, বিনাইন টিউমারও চাপ দিয়ে আশেপাশের কলার ক্ষতি করতে পারে। মেটাস্টাসিস হলো ক্যান্সারের একটি পর্যায়, যাতে ক্যান্সার কোষগুলি অন্যান্য কলাকে ভেদ করে ও রক্ত, লসিকাতন্ত্র (Lymphatic System) ইত্যাদির মাধ্যমে দূরবর্তী কলায় ছড়িয়ে যায়।
এখন প্রশ্নে হচ্ছে, কেন ক্যান্সার হয়? ক্যান্সার কি একটি আধুনিক রোগ? এর কোনো বংশগত কারণ আছে কি? পরিবেশ কি এ ব্যাপারে কোনো ভূমিকা রাখে? চলুন আজকের 'স্বাস্থ্য ও জীবন' অনুষ্ঠানে আমরা এ প্রশ্নগুলো নিয়ে আলোচনা করি।
অনেকে মনে করেন, ক্যান্সার একটি আধুনিক রোগ। আসলে এটা ঠিক নয়। প্রাচীন মিসর ও প্রাচীন গ্রিসের চিকিত্সরা 'ক্যান্সারের' উপসর্গ বর্ণনা করে গেছেন। এ ছাড়া, ৩ হাজার বছর আগের মানব জীবাশ্ম থেকে ক্যান্সারের লক্ষণ খুঁজে পেয়েছেন আধুনিক বিজ্ঞানীরা। হ্যাঁ, ক্যান্সার আধুনিক রোগ নয়, এর ইতিহাস মানবজাতির মতো সুদীর্ঘকালের। প্রাচীনকালে পরীক্ষা-নিরীক্ষার আধুনিক প্রযুক্তি ছিল না। অনেক তথ্য লিপিবদ্ধও হতো না। তাই বলে এটা মনে করার কোনো যুক্তিসংগত কারণ নেই যে, সুদূর অতীতের মানুষ ক্যান্সারে আক্রান্ত হতো না।
ক্যান্সারের ইতিহাস যা-ই হোক, কেন মানুষ ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়, তা জানতে আধুনিক চিকিত্সাবিজ্ঞান চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এ প্রশ্নের সঠিক উত্তর এখনো পাওয়া যায়নি। কারণটা জানা গেলে তার প্রতিরোধের ব্যবস্থাও করা যেত। আমরা শুধু বলতে পারি, কিছু কিছু কারণে ক্যান্সার হবার আশঙ্কা বাড়ে।
ক্যান্সার কি বংশগতভাবে ছড়াতে পারে? হ্যা, ক্যান্সারের সাথে জিনগত সম্পর্ক রয়েছে বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। এ কারণে পরিবারের কেউ যদি ক্যান্সারে আক্রান্ত হন, তবে তার উত্তরসূরিদেরও ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা খানিকটা হলেও বাড়ে। তবে পিতার ক্যান্সার হলে, পুত্রেরও ক্যান্সার হবে, এমন কোনো কথা নেই। আবার বিরল হলেও, এমন ঘটনাও ঘটতে দেখা গেছে যে, পরিবারের বেশ কয়েকজন ভাইবোন একে একে ব্লাড ক্যান্সারে মারা গেছেন।
মা স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হলে, মেয়েরও স্তন ক্যান্সার হতে পারে। এক্ষেত্রে আশঙ্কা তুলনামূলকভাবে বেশি। বিখ্যাত অভিনেত্রী অ্যাঞ্জেলিনা জোলির মা স্তন ক্যান্সাএ আক্রান্ত হয়েছিলেন। আমরা অনেকেই জানি, জোলি নিজেও এ ক্যান্সারের রোগী। তাকে নিজের দুটো স্তনই কেটে ফেলতে হয়েছে। অবশ্য, স্তন ক্যান্সার প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পড়লে পূর্ণ নিরাময় সম্ভব। মোদ্দা কথা, ক্যান্সারের বংশগত বৈশিষ্ট্য স্পষ্ট নয়।
রাসায়নিক পদার্থের সাথে ক্যান্সারের অনেক বড় একটা সম্পর্ক রয়েছে। যেমন, মেসোথেলিওমিয়া-তে (এক ধরনের দূর্লভ ক্যান্সার, এতে ফুসফুসের চারপাশ এবং পেটের দিকের কোষগুলো আক্রান্ত হয়) আক্রান্তদের ১০ জনের মধ্যে ৯ জনই এসবেস্টস ধাতুর সংস্পর্শে আসার কারণে এই ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছেন। সাধারণত জাহাজ তৈরির শিল্পের সাথে যারা জড়িত তাদের এই ধাতুর সংস্পর্শে আসার সম্ভাবনাটা বেশি থাকে। এ কারণেই অনেক দেশে এই ধাতুর ব্যবহার নিষিদ্ধ। একইভাবে রঙের কারখানা, রাবার বা গ্যাসের কাজে যারা নিয়োজিত তারা একধরনের বিশেষ রাসায়নিক পদার্থের সংস্পর্শে আসার কারণে মুত্রথলির ক্যান্সারে আক্রান্ত হন। পরবর্তীতে অনেক দেশে এসব রাসায়নিক পদার্থের ব্যবহারও নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পরিবেশগত কারণের অন্যতম একটা হচ্ছে সূর্য। রোদে বেশিক্ষণ থাকার কারণে ত্বকের ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। তেজস্ক্রিয়তার কারণেও বিভিন্ন ক্যান্সারে আক্রান্ত হবার ঝুঁকি থাকে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-র ২০০৮ সালে প্রকাশিত পরিসংখ্যান অনুসারে, ক্যান্সারে আক্রান্তদের ১৯ শতাংশই বিরূপ পরিবেশের কারণে এ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। এতে প্রতিবছর ১৩ লাখ লোক প্রাণ হারান। হু'র আন্তর্জাতিক ক্যান্সার গবেষণালয় ১০৭টি বিপজ্জনক রাসায়নিক পদার্থ চিহ্নিত করেছে, যেগুলো মানবদেহে ক্যান্সার সৃষ্টি করতে পারে। এসবেস্টসের কথা আগেই উল্লেখ করেছি। স্টিল কাস্টিং, অ্যালুমিনিয়াম, চামড়ার গুড়া ইত্যাদিও এ তালিকায় আছে। যদি আপনি এসব রাসায়নিক পদার্থ নিয়ে কাজ করেন বা আপনার পেশার সাথে যদি এসব পদার্থে সংশ্লিষ্টতা থাকে, তবে আপনি ক্যান্সারে আক্রান্ত হতে পারেন, এমন আশঙ্কা বেশি। অতএব সাবধাণতা অবলম্বন করুন। প্রয়োজনে পেশা পরিবর্তন করুন, বা বাসস্থান পরিবর্তন করুন।
আমাদের প্রতিদিনের খাদ্যাভ্যাস এবং জীবনযাপনপদ্ধতির সাথেও ক্যান্সারের গভীর সম্পর্ক খুঁজে পেয়েছেন গবেষকরা। যেমন, ধুমপান বা মদ্যপানের সাথে ফুসফুস, মুখ ও কণ্ঠনালীর এবং যকৃত বা লিভারের ক্যান্সারের সম্পর্ক রয়েছে। তেমনিভাবে পান-সুপারি, জর্দা, মাংস, অতিরিক্ত লবণ, চিনি ইত্যাদি খাবারের সাথেও ক্যান্সারের যোগসূত্র রয়েছে। যারা সাধারণত শারীরিক পরিশ্রম কম করেন তাদের মধ্যেও ক্যান্সারের প্রবণতাটা বেশি।
আবার ক্যান্সারের সাথে বয়সের একটা সম্পর্কও খুঁজে পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। সাধারণত বয়স যত বাড়তে থাকে ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও তত বাড়তে থাকে। কারণ এ সময়ে শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা ধীরে ধীরে কমতে থাকে। এক হিসেবে দেখা যায় যত মানুষ ক্যান্সারে আক্রান্ত হয় তাদের শতকরা ৭০ ভাগেরই বয়স ৬০ বছরের ওপর।
আলিম: ক্যান্সারের লক্ষণগুলো কী কী? কোন লক্ষণ দেখলে আমরা বুঝবো যে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছি? একেক ক্যান্সারের জন্য একেক ধরনের লক্ষণ বা উপসর্গ থাকে। তবে সাধারণ কিছু লক্ষণ হচ্ছে:
• খুব ক্লান্ত বোধ করা
• ক্ষুধা কমে যাওয়া
• শরীরের যে কোনো জায়গায় চাকা বা দলা দেখা দেওয়া
• দীর্ঘস্থায়ী কাশি বা গলা ভাঙ্গা
• মলত্যাগে পরিবর্তন আসা (ডায়রিয়া, কোষ্ঠকাঠিন্য কিংবা মলের সাথে রক্ত যাওয়া)
• জ্বর, রাতে ঠান্ডা লাগা বা ঘেমে যাওয়া
• অস্বাভাবিকভাবে ওজন কমা
• অস্বাভাবিক রক্তপাত হওয়া
• ত্বকের পরিবর্তন দেখা যাওয়া
ক্যান্সারের চিকিত্সায় আধুনিক চিকিত্সকরা বেশ কয়েকটি পদ্ধতি অবলম্বন করেন।
অস্ত্রোপচার: শরীরের যে জায়গাটি ক্যান্সার আক্রান্ত হয় সেটির ক্যান্সার আক্রান্ত কোষগুলো এবং তার আশেপাশের কোষগুলোকে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে কেটে সরিয়ে ফেলা হয়। ক্যান্সার যদি অল্প একটু জায়গা জুড়ে থাকে এবং প্রাথমিক পর্যায়ে থাকে তাহলে এ ধরনের চিকিৎসা দেওয়া হয়।
রেডিওথেরাপি: নিয়ন্ত্রিতভাবে শরীরের অংশবিশেষে তেজস্ক্রিয় রশ্মি প্রয়োগ করে সেই জায়গার ক্যান্সার-কোষগুলোকে ধ্বংস করে ফেলা হয়।
কেমোথেরাপি: এই ব্যবস্থায় ক্যান্সারকোষকে ধ্বংস করতে অ্যান্টি-ক্যান্সার (সাইটোটক্সিক) ড্রাগস বা ওষুধ ব্যবহার করা হয়। ৫০টিরও বেশি ধরনের কেমিওথেরাপি ওষুধ রয়েছে। এগুলোর কোনোটা ট্যাবলেট বা ক্যাপসুল হিসেবে খেতে হয়। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই ওষুধগুলোকে স্যালাইনের সাথে বা অন্য কোনোভাবে সরাসরি রক্তে দিয়ে দেওয়া হয়। রক্তের সাথে মিশে এই ওষুধগুলো শরীরের যেখানে যেখানে ক্যান্সার কোষ রয়েছে সেখানে গিয়ে ক্যান্সার কোষগুলোকে ধ্বংস করার চেষ্টা করে।
হরমোন থেরাপি: শরীরের কিছু হরমোনের মাত্রা পরিবর্তন করার মাধ্যমে এই চিকিত্সা করা হয়। শরীরের বৃদ্ধির সাথে হরমোনের একটা সম্পর্ক রয়েছে। কোনো কোনো ক্যান্সার এ হরমোন দ্বারা প্রভাবিত হয়। ফলে ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি কমিয়ে ক্যান্সারকে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসতে হরমোন থেরাপি ব্যবহৃত হয়।
সহায়ক চিকিত্সা: ক্যান্সারের শারীরিক চিকিত্সার পাশাপাশি রোগীদের মানসিক চিকিত্সার ব্যাপারে এখন জোর দিচ্ছেন চিকিত্সকরা। ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার পর রোগীরা বেশ মানসিক কষ্টের মধ্যে দিয়ে যান, অনেকে মানসিকভাবে ভেঙ্গেও পরেন। এ কারণে অনেক সময় তাদের অবস্থা বেশি গুরুতর না হলেও অনেকে দ্রুত মারা যান। ফলে তাদেরকে বিভিন্ন ধরনের সেবা দেওয়ার ব্যবস্থা করার পরামর্শ দেন চিকিত্সকরা এবং উন্নত দেশগুলোতে এ ধরনের সেবা দেওয়ার জন্য বিভিন্ন সংগঠন কাজও করে যাচ্ছে। এর মধ্যে ক্যান্সার আক্রান্তদের গ্রুপও দেখা যায়। তারা নিজেদের অভিজ্ঞতা নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করেন। এর পাশাপাশি যোগ, মেডিটেশন ইত্যাদির মাধ্যমেও রোগীদের মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখার শিক্ষা দেওয়া হয়। এর পাশাপাশি মানসিক স্বস্তির জন্য কেউ যদি ধর্মীয় বা সামাজিক কোনো কাজে নিয়োজিত হতে চান সে ব্যাপারেও তাদেরকে উত্সাহ দেওয়া হয়।
এসব ছাড়া, বিজ্ঞানীরা চেষ্টা করছেন ক্যান্সারের চিকিত্সায় অব্যর্থ ওষুধ আবিস্কারের। শরীরের রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থাকে আরো শক্তিশালী করে তোলে এ ধরনের ওষুধ তৈরির ব্যাপারে এখন গবেষণা চলছে। এছাড়াও ক্যান্সারের ভ্যাকসিন তৈরির ব্যাপারে চেষ্টা চলছে। কিন্তু এখনো এগুলো একেবারেই প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে।
ক্যান্সার থেকে বাঁচতে চিকিত্সকরা কিছু সাবধানতা অবলম্বন করার কথাও বলেন, বলেন কিছু ভালো অভ্যাস গড়ে তোলার কথা। গবেষণায় দেখা গেছে যে, এভাবে ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেকখানি কমানো যায়।
নিয়মিত ব্যায়াম: প্রত্যেকদিন নিয়মিত কিছু ব্যায়াম করা; যেমন-দৌড়ানো, সাইকেল চালনো, নাচ করা, হাঁটা।
খাদ্যভ্যাস: ধূমপান বা মদ্যপান ছেড়ে দেওয়া বা পরিমাণে কমিয়ে আনা। পান-সুপারি জর্দা, তামাকপাতা খাওয়া বন্ধ করা। চর্বিজাতীয় পদার্থ কম খাওয়া। সম্ভব হলে মাংস খাওয়া বন্ধ করে দেওয়া বা কমিয়ে দেওয়া। প্রচুর পরিমাণে শাক-সবজি, ফলমূল এবং আঁশজাতীয় খাবার খাওয়া।
সচেতনতা: বাইরে বের হওয়ার সময় সানস্ক্রিন মেখে বের হওয়া। নিয়মিত ডাক্তার দেখানো। সেটা সম্ভব না-হলে শরীরে কোনো অস্বাভাবিকতা দেখা দিলেই ডাক্তারের কাছে যাওয়া। ৫০ বছরের বেশি বয়স হলে অবশ্যই নিয়মিত ডাক্তারের কাছে গিয়ে শরীর পরীক্ষা করানো।
(ওয়াং হাইমান/আলিম)