Web bengali.cri.cn   
গায়ক লাও লাং
  2015-05-06 15:04:22  cri


আজকের অনুষ্ঠানে আপনাদের সাথে পরিচয় করিয়ে দেবো চীনের একজন বিখ্যাত গায়ককে। তার নাম লাও লাং। আসলে লাও লাং তার প্রকৃত নাম নয়। এ গায়কের পারিবারিক নাম ওয়াং ইয়াং। তিনি লাও লাং নাম নিয়েছেন।

লাও লাং ১৯৬৮ সালে রাজধানী পেইচিংয়ে জন্মগ্রহণ করেন। তার মা সেন্ট্রাল রেডিও সিম্পনী অর্কেস্ট্রার (The Central Radio Symphony Orchestra) প্রধান নির্বাহী এবং বাবা চীনা বিমান ও মহাকাশ-যান বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী। বাবার প্রভাবে লাও লাং বিশ্ববিদ্যালয়ে রেডিও বিভাগে পড়াশুনা করেন। আর মার প্রভাবে তিনি সংগীতকে ভালোবেসেছেন। পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন সংগীতকে।

লাও যখন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র তখনই তিনি চীনে প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় রক ব্যান্ডের প্রধান গায়ক হয়ে যান।

প্রিয় বন্ধুরা, প্রথমে আমরা লাও লাংয়ের কণ্ঠে গাওয়া 'ভবঘুরে গায়কের প্রেমিকা' নামে একটি গান শুনবো।

প্রিয় শ্রোতা, আপনারা শুনলে অবাক হবেন, চীনে অনেকেই লাও লাংকে 'স্কুল লোকসংগীতের প্রতিনিধি' বলে মনে করেন। কারণ তার গানের অধিকাংশই চীনা তরুণ-তরুণীদের স্কুল জীবনের অভিজ্ঞতা নিয়ে লেখা। এর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি গান হল desk mate অর্থাত 'একই বেঞ্চের সাথি'। এ গানে একজন ছেলে তার desk mate একজন মেয়েকে খুবই পছন্দ করে। তবে মেয়েটা তা জানাতে পারে না। অনেক বছর পর এই মেয়েটি অন্য একটি ছেলেকে বিয়ে করে। এই ছেলেটি তার প্রিয় মেয়েটিকে এমন একটি গান গেয়ে শোনায়। গানের কথাগুলো খুবই রোমান্টিক ও কষ্টের। 'কে তোমাকে বিয়ে করবে! যখন তুমি দুঃখ পাবে তখন কে তোমাকে সান্ত্বনা দেবে! তোমার কাছে পাঠানো আমার চিঠি কে পড়ে শোনাবে তোমাকে? আর কে-ই বা এ চিঠি বাতাসে উড়িয়ে দিয়েছে?' বন্ধুরা, শুনুন তাহলে এই রোমান্টিক গানটি।

চীনের একজন বিখ্যাত লেখিকা একবার বলেছিলেন, যদিও desk mate লাও লাংয়ের সবচেয়ে বিখ্যাত একটি গান। তবে তার সবচেয়ে ভাল একটি গান হলো 'Youth without any regrets'। আমারও একই মত। 'Youth without any regrets' গানের কথাগুলো কবিতার মতো সুন্দর, নান্দনিক এবং উপভোগ্য। যৌবন কী? হয়তো আমাদের নিজের কাছেই তার উত্তর আছে। তবে সন্দেহ নেই যৌবন আমাদের অভিন্ন সম্পদ।

এ গানেও সে কথাই যেন উঠে এসেছে। গানে বলা হয়েছে, প্রথম প্রথম আমরা গান গাই, শেষে আমরা হাটাহাটি করি। তুমি আমার অত্যন্ত প্রিয়, তুমি যেন আমার কাছে স্বপ্নের দৃশ্য। কোন চিন্তা নেই আমাদের যৌবনে। সময় ফুলিয়ে এলেও আমাদের দৃষ্টির কোনো পরিবর্তন হবে না। শুনুন তাহলে প্রাণজুড়ানো এ গানটি।

শ্রোতাবন্ধুরা, ২০০২ সালে লাও লাং তার দ্বিতীয় অ্যালবাম আমাদের উপহার দেন। অ্যালবামের নাম 'মেঘমুক্ত'। কি চমত্কার নামটি। তাই না বন্ধুরা? এখন আমরা উপভোগ করব এ অ্যালবামের প্রধান গান 'মেঘমুক্ত'। এ গানে বলা হয়েছে, 'সবকিছু যেন চলচ্চিত্রের মতো; এমনকি চলচ্চিত্রের চেয়েও বিস্ময়কর। সুখ বা দুখ কি আমি জানি না। তবে এ পৃথিবীকে আমি আরও জানতে চাই।' বন্ধুরা, শুনুন তাহলে গানটি।

প্রিয় শ্রোতাবন্ধুরা, 'বাঘের মুখ থেকে মুক্তি' একটি চীনা প্রবাদ। এ প্রবাদের অর্থ 'বিপদের কবল থেকে মুক্তি পাওয়া'। 'মেঘমুক্ত' অ্যালবামেও রয়েছে 'বাঘের মুখ থেকে মুক্তি' শিরোনামের একটি গান। শিরোনামে বাঘের কথা বলা হলেও এটি একটি নির্মল প্রেমের গান। এ গানে বলা হয়েছে 'ভালবাসা একটি বিপদজনক জিনিস এবং তুমি না ভালোবাসলে আমি মুক্তি পাই কি ভাবে। শুনুন তাহলে গানটি।

কণ্ঠশিল্পী লাও লাং পেইচিংয়ের মানুষ। তাই তার অ্যালবামে যেমনি রয়েছে স্কুল জীবন সম্পর্কে গান তেমনি রয়েছে প্রিয় রাজধানী পেইচিংকে নিয়েও অনেক গান। এখন আমরা শুনবো 'পেইচিংয়ের শীতকাল' নামে একটি শ্রতিমধুর গান।

বন্ধুরা, আজকের অনুষ্ঠানের শেষ গান আপনাদের শোনাতে চাই এখন। লাও লাংয়ের গাওয়া আমার প্রিয় একটি গান এটি। গানের শিরোনাম, 'আমি তোমাকে একটি সংগীত শোনাতে চাই।'

এ গানে বলা হয়েছে, যখন তুমি বয়সে নবীন, শুধু ভালোবাসা উপভোগ করো। আমরা এক সাথে দীর্ঘ পথ চলবো, তুমিই আমার সাথি। এই পথ যেন শেষ না হয়।

আশা করি আপনারা এ গানটি পছন্দ করবেন। শুনুন তাহলে হৃদয়কাড়া গানটি।

সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদন
মন্তব্য
Play
Stop
ওয়েবরেডিও
বিশেষ আয়োজন
অনলাইন জরিপ
লিঙ্ক
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved.
16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040