পেইচিং থেকে প্রচারিত চীন আন্তর্জাতিক বেতারের বাংলা অনুষ্ঠানে আপনাদের স্বাগতম। সবাইকে আন্তরিক প্রীতি ও শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আজকের 'চলতি প্রসঙ্গ' অনুষ্ঠান।
বন্ধুরা, এ অনুষ্ঠানে আপনাদের জন্য তুলে আনা হয়েছে পৃথিবীর নানা প্রান্তে ঘটে যাওয়া কিছু ঘটনা। আর এ আয়োজনে আপনাদের সঙ্গে আছি আমি .... প্রকাশ এবং আমি আইরীন নিয়াজী মান্না।
প্রকাশ : মান্না আপু, আমরা তাহলে অনুষ্ঠান শুরু করতে পারি। আজ প্রথমেই কি বিষয়ে আলোচনা হবে।
প্রথম খবর :
চীনের ১১৭তম বাণিজ্য মেলা
১১৭তম আমদানি-রপ্তানি মেলা সম্প্রতি চীনের কুয়াংচৌ শহরের পাচৌ স্টেডিয়ামে শুরু হয়েছে। চলতি বছরের প্রথম চতুর্থাংশে চীনের বাণিজ্যিক পরিমাণ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৬ শতাংশ কমেছে। এ প্রেক্ষাপটে কুয়াংচৌ বাণিজ্য মেলার ওপর মানুষের গভীর আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে।
এবার মেলায় প্রদর্শনী এলাকার আয়তন ১১.৮ লাখ বর্গমিটার, স্টল ৬০ হাজারেরও বেশি। ইলেকট্রনিক পণ্য, মেশিন, চীনামাটি, আসবাবপত্র, কাপড়চোপড়, ওষুধ ও খাদ্যবস্তুসহ বিভিন্ন জিনিস এ মেলায় প্রদর্শন করা হচ্ছে। বিশ্বের ৪৭টি দেশও অঞ্চলের ৬০০টিরও বেশি শিল্প প্রতিষ্ঠান এ মেলায় অংশ নিয়েছে। তিন দফায় অনুষ্ঠিত এ মেলাটি শেষ হবে আগামী ৫ মে।
দ্বিতীয় খবর :
মান্না : ধন্যবাদ প্রকাশ, একটি মানবিক সংবাদ নিয়ে আমরা শুরুতেই আলোচনা করবো। 'ইন্টারনেট যখন হৃদয় জয় করে' শিরোনামে একটি সংবাদ সম্প্রতি বেশ আলোচনায় এসেছে।
প্রকাশ : কি ধরনের সংবাদ এটি।
মান্না : মানবিক খবর এটি। সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইট ফেসবুকসহ ইন্টারনেটে একটি শিশুর ছবি প্রায়ই ব্যবহার হতে দেখা যায়। একটি ফুটফুটে ছোট্ট শিশু মুষ্টিবদ্ধ হাত বুকের কাছে ধরে কি যেন বলতে চাইছে। শিশুটির নাম স্যামি।
প্রকাশ : হ্যা; হ্যা। হাত মুঠোবদ্ধ করা অবস্থায় স্যামির এ ছবিটি বিভিন্ন ফটো কমেন্টে ব্যবহৃত হয়। আমি ছবিটি দেখেছি। কি হয়েছে স্যামির?
মান্না : ইন্টারনেটে এই ছবিটির বিপুল জনপ্রিয়তার কারণে স্যামি এরই মধ্যে 'সাকসেস কিড' হিসেবে খ্যাতি পেয়েছে। এবারে এই স্যামির পরিবারকে সাহায্যের জন্য এগিয়ে এসেছেন ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা।
স্যামির বাবা জাস্টিন গ্রিনার কিডনির সমস্যায় আক্রান্ত। তাঁর কিডনি প্রতিস্থাপন করার প্রয়োজন। তাই স্যামির মা ল্যানি রবার্টসন গ্রিনার 'গো ফাউন্ড মি' নামের একটি পেজ তৈরি করে গত ৮ এপ্রিল থেকে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের কাছে চিকিত্সার জন্য সাহায্য চেয়েছিলেন। পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ ব্যাপক সাড়া দিয়েছেন তার ডাকে।
প্রকাশ : বাহ! ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা আবারও মানবিকতার পরিচয় দিলেন। কত টাকা উঠলো শেষ পর্যন্ত তা কি জানা গেছে?
মান্না : যে পরিমাণ অর্থ উঠবে বলে গ্রিনার পরিবার আশা করেছিলেন তার চেয়েও বেশি ৭৫ হাজার মার্কিন ডলার সাহায্য পেয়েছেন তাঁরা। এ ছাড়াও অসংখ্য ইন্টারনেট ব্যবহারকারী স্যামির পরিবারকে শুভকামনা জানিয়েছেন। এমনকি অনেকে কিডনি দেওয়ারও আগ্রহ দেখিয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে আর একটি খবরের কথা মনে পরছে আমার। আমি অমিতের কথা বলবো ...। ১৯৯৯ বা ২০০০ সালের কথা.....। অমিত নামে একটি ছেলের বুকে ব্রিদিং পেসমেকার স্থাপন করতে হবে। এজন্য প্রয়োজন ৭৮ লাখ টাকা। ওর বাবা পাগলের মত ছুটাছুটি করতে শুরু করলেন চারদিকে। ক্লাস টুতে পড়া ফুটফুটে সুন্দর ফুলের মত ছেলেটিকে কি বাঁচানো যাবে না! এত টাকা কি করে জোগাড় হবে! শুরু হলো মিডিয়ায় প্রচারণা। ওকে বাঁচাতে ঝাঁপিয়ে পরলো মিডিয়া। মানবতা কাকে বলে? সংবাদটি প্রচারিত হতেই দেশের মানুষ এগিয়ে এলো অমিতকে বাঁচাতে। আমার সংবাদটি প্রচার হওয়ার পর একদিনেই উঠলো ৭ লাখ টাকা। মাত্র কদিনেই উঠে গেলো ৭৮ লাখের চেয়ে অনেক বেশি টাকা।
0501CP.m4a
|