বিশ্বের প্রকাশনা মহলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি সম্মেলন তিন দিনব্যাপী লন্ডন আন্তর্জাতিক বইমেলা শুরু হয়েছে। এবারের বই মেলায় বহুভাষায় অনুদিত 'শি চিন পিং: দ্যা গভর্নেস অফ চায়না' বইটি সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। স্থানীয় সময় ১৫ এপ্রিল সকালে ব্রিটিশ বৈজ্ঞানিক মহল, সাংস্কৃতিক মহল এবং চীনের স্কলারসহ প্রায় একশ' মানুষ ব্রিটেনে নিযুক্ত চীনা দূতাবাসে বইটি নিয়ে একটি সম্মেলনের আয়োজন করেছে।
২০১২ সালে ১৫ নভেম্বর থেকে ১৩ জুন ২০১৪ সাল পর্যন্ত চীনের প্রেসিডেন্ট সি'র লেখা গুরুত্বপূর্ণ প্রবন্ধগুলো সংগ্রহ করা হয়। বইটির বহুভাষায় অনুবাদগুলো গত বছর অক্টোবরে জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্ট আন্তর্জাতিক বইমেলায় প্রথমবারের মত প্রকাশিত হয়। এবারের লন্ডন আন্তর্জাতিক বই মেলা প্রেসিডেন্ট সি'র বইটি নিয়ে একটি মতবিনিময়ের আয়োজন করেছে। এতে অংশ নিয়েছেন ব্রিটেনে চীনের রাষ্ট্রদূত লিউ সিয়াও মিং, ব্রিটেনের সাবেক উপ-প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী জিওফ্রে হওসহ চীন ও ব্রিটেনের বিভিন্ন মহলের মানুষ।
ব্রিটেনের অর্থনীতিবিদ, কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞ পিটার নোলান বইটি পড়ার পর বলেছেন, বইটিতে চীনের প্রশাসন পদ্ধতি সারা বিশ্বের উন্নয়নের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রের নীতিগুলো। তিনি বলেন,
"অর্থনৈতিক প্রশাসন পদ্ধতি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এ টপিক নিয়ে প্রেসিডেন্ট সি'র বইতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানতে পেরেছি।"
সব দেশকে বিভিন্ন সময় বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হয়। চীনের প্রেসিডেন্ট সি'র গভর্নেস অফ বইটিতে একটি নির্ধারিত চিন্তাধারার ব্যবস্থা লেখা হয়েছে, তা বিভিন্ন দেশের জন্য গঠনমূলক।
তিনি আরো বলেন,
"বইটিতে প্রেসিডেন্ট সি তাঁর অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন। খুবই আকর্ষণীয়। আমি মনে করি প্রেসিডেন্ট সি'র দৈনন্দিন অভিজ্ঞতা চীনা জনগণের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে। পশ্চিমা পাঠকরা এটা নিয়ে খুবই আগ্রহী।"
উল্লেখ্য, বইটির প্রচার সংখ্যা ৪০ লাখ ছাড়িয়েছে। চীনের সংস্কার ও উন্মুক্ততা থেকে এখন পর্যন্ত চীনা নেতার বইয়ের বৈদেশিক বিক্রির সর্বোচ্চ রেকর্ড।
দু'টি কারণে এ বই এত জনপ্রিয়। প্রথমত চীনের উন্নয়ন, বিশেষ করে অর্থনৈতিক উন্নয়ন এত দ্রুত যা বিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। দ্বিতীয়ত প্রেসিডেন্ট সি'র ওপর চীনের আস্থা আছে। যা চীনের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের দিক নির্দেশক।
লন্ডন আন্তর্জাতিক বইমেলা হলো বসন্তকালীন মহা সম্মেলন।