20150430ruby
|
মাছ: ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডসমৃদ্ধ মাছ চুলের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড চুলের গোড়া মজবুত করতে সহায়তা করে এবং চুল পড়া রোধ করে।
ডিমঃ
ভিটামিন বি এসেনশিয়াল এবং বায়োটিনে ভরপুর ডিম চুল বৃদ্ধির কাজে সহায়তা করে এবং মাথার ত্বক ভালো রাখে। চুলের স্বাস্থ্য রক্ষায় প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখুন ডিম। এছাড়াও চুলে লাগাতে পারেন ডিমের হেয়ার মাস্ক। ২ টি ডিমের সাদা অংশ এবং ৪ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল ভালো করে ফেটিয়ে ঘন একটি পেস্টের মত তৈরি করে চুলে লাগিয়ে রাখুন ৩০ মিনিট। এরপর ভালো করে চুল ধুয়ে ফেলুন। ব্যস চুলের অনেক সমস্যার সমাধান হবে।
সবুজ শাক: সবুজ শাকে প্রচুর ভিটামিন, মিনারেল এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে, যা চুলের গোড়ার ত্বককে ভালো রাখে ও মজবুত করে। চুলের গোড়ার দূষিত ময়লা পরিষ্কার করতেও সাহায্য করে।
বাদামঃ
চিনাবাদাম, কাঠবাদাম এবং আখরোট চুলের জন্য খুবই উপকারী। এসব বাদামে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই এবং ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। এসব উপাদান নতুন চুল গজাতে খুবই কার্যকরী। চুলপড়া এবং চুলপাকা রোধেও এসব উপাদান উপকারী।
ডালঃ
ডাল উদ্ভিজ্জ প্রোটিন যা আমাদের দেহের কোষ বৃদ্ধিতে কাজ করে। এটি চুলের কোষ বাড়তে অনেক সহায়তা করে। এতে চুল দ্রুত বাড়ে এবং চুলের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায় ও রুক্ষতা দূর হয়। তাই খাদ্যতালিকায় ডাল রাখুন।
গাজরঃ
গাজর চোখ ও ত্বকের জন্য খুবই উপকারী এটা আমরা সবাই জানি। গাজর কিন্তু চুলের জন্যও খুব উপকারী। গাজর মাথার ত্বককে পুষ্টি দেয়। মাথার ত্বকের কোষগুলোকে পুনর্গঠন করতে সাহায্য করে গাজর। এতে চুল পড়া যেমন কমে যায়, তেমনি নতুন চুলও গজায়। চুল ঝলমলে উজ্জ্বল করে তুলতেও গাজরের জুড়ি নেই!
দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার: দুধে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড ও প্রোটিনের পাশাপাশি রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়াম, যা চুলের বেড়ে ওঠা এবং নতুন চুল গজানোর ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে।
মিষ্টি আলুঃ
মিষ্টি আলুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ এবং বিটা ক্যারোটিন রয়েছে যা চুল পরা রোধ করে। তাই মিষ্টি আলু খান চুল পরা রোধ করতে।
প্রিয় শ্রোতা, চুল পরা রোধ করতে খাবারের পাশাপাশি অভ্যাসের দিকেও নজর রাখতে হয়। এ সম্পর্কে আমরা আবার কিছু টিপস জানিয়ে দেবো।
অবশ্যই,
প্রচুর পানি পান করুন।
নিয়মিত ব্যায়াম করুন।
হেয়ার মাসাজ করুন।
গোড়া শক্ত করে সব সময় চুল বাঁধবেন না।
চুলে হিট দিলে তা চুলের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। তাই হিট বন্ধ করুন।
সূর্যের তাপ পরিহার করুন।
মাথার চামড়ার ওপর নরম মাসাজ করুন, যাতে চুলের গোড়ায় রক্ত চলাচল বাড়ে। এটা চুলের জন্য অনেক উপকারী।
ধূমপান চুলের জন্যও ক্ষতিকর।
ভিটামিন সি, ই এবং বিটা ক্যারোটিন চুলের জন্য ভালো।
কন্ডিশনার কেবল ত্বকের ওপর নয়, চুলের আগা থেকে গোড়া পর্যন্ত লাগিয়ে ১ থেকে ২ মিনিট রেখে পর্যাপ্ত পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।