ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইডোডো বলেছেন, এবারের সম্মেলন জাতিসংঘের সম্মেলন ছাড়া বিশ্বের বৃহত্তম সরকারি ফোরামের অন্যতম সম্মেলন। সম্মেলনে বিভিন্ন দেশের নেতারা আলোচনার মাধ্যমে বিভিন্ন বিষয়ে মতৈক্যে পৌঁছেছেন।
তিনি জানান, সম্মেলনে গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপগুলোর মধ্যে রয়েছে আরো ন্যায়সঙ্গত উপায়ে ও শান্তিপূর্ণ ভাবে আন্তর্জাতিক শৃঙ্খলা গড়ে তোলা, দ্বিপাক্ষিক পারস্পরিক উপকারিতা ও সহযোগিতা জোরদার করা, উন্নয়নের মতভেদ নির্মূল করা, ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা বাস্তবায়ন করা এবং এআইআইবি'র মাধ্যমে অবকাঠামো নির্মানের পুঁজি বিনিয়োগ নিশ্চিত করা প্রভৃতি।
এই ভিত্তিতে সম্মেলনে '২০১৫ বান্দুং ইস্তেহার', 'এশিয়া-আফ্রিকা নতুন ধরনের কৌশলগত অংশীদারি সম্পর্ক পুনরুদ্ধার ঘোষণা' এবং 'ফিলিস্তিন ইস্যুর ঘোষণা' তিনটি দলিল গৃহীত হয়েছে।
প্রেসিডেন্ট জোকো উইডোডো আরো বলেছেন, বিভিন্ন দেশের নেতারা একমত হয়েছেন যে, এশিয়া ও আফ্রিকা অঞ্চলে শান্তি রক্ষায় কেন্দ্রীয় নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা হবে। যৌথভাবে ধর্মীয় অজুহাতে চালানো চরমবাদ ও সন্ত্রাসবাদ নিয়ন্ত্রণ করা হবে। বিভিন্ন সংস্কৃতি ও ধর্মের মধ্যে সংলাপ জোরদার করা হবে। এসব অঞ্চলে বাণিজ্য ও পুঁজি বিনিয়োগকে উত্সাহিত করা হবে।
তিনি জানান, এশিয়া-আফ্রিকা অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে সক্রিয়ভাবে আরো নমনীয় ও সমান বহুমুখী বাণিজ্যিক ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলা হবে। উদ্ভাবনী প্রবৃদ্ধি, কর্মসংস্থান ও পুঁজি বিনিয়োগের সুযোগ কাজে লাগিয়ে টেকসই উন্নয়ন বাস্তবায়ন করা হবে। সমুদ্র সহযোগিতায় এশিয়া ও আফ্রিকার কৌশলগত অংশীদারি সম্পর্ককে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে বিবেচনা করা হবে এবং ফিলিস্তিনকে মানব সম্পদ উন্নয়ন ও বিভিন্ন সংস্থা নির্মাণে সহায়তা দেয়া হবে। (সুবর্ণা/মান্না)