Web bengali.cri.cn   
চীনের নেপালবিশেষজ্ঞ ওয়াং হংওয়েই'র-৮ ফেব্রুয়ারী
  2015-04-18 19:22:24  cri



সুপ্রিয় বন্ধুরা, আপনারা শুনছেন সুদূর পেইচিং থেকে প্রচারিত চীন আন্তর্জাতিক বেতারের বাংলা অনুষ্ঠান 'মুক্তার কথা'। আপনাদের সঙ্গে আছি আমি আপনাদের বন্ধু মুক্তা।

বন্ধুরা, ওয়াং হংওয়েই হলেন চীনের সমাজ ও বিজ্ঞান একাডেমির বিশেষজ্ঞ ও চীনের দক্ষিণ এশিয়া সমিতির একজন ফেলো। তিনি চীন ও নেপালের সম্পর্ক উন্নয়নে যথেষ্ট অবদান রেখেছেন। আজকের অনুষ্ঠানে আমি তাঁর বিস্ময়কর জীবন সম্পর্কে কিছু আলোচনা করবো।

স্কুলজীবনে একবার ওয়াং হংওয়েই একটি সুন্দর ভারতীয় গান শুনে দক্ষিণ এশিয়ার সংস্কৃতি সম্পর্কে জানতে আগ্রহী হয়েছিলেন।

(রে ১ ভারতীয় সংগীত)

'স্কুলজীবনে আমি একটি সুন্দর ভারতীয় গান শুনেছিলাম। গানটি আমার অনেক ভাল লাগে। তখন আমি প্রাচীনকালে চীন ও ভারতের যোগাযোগ সম্পর্কে কিছু জানার চেষ্টা করি। আমি হিউয়েন সাঙ'র গল্পও শুনি। তার গল্প শুনে আমার মনে হতো, আমি আধুনিক হিউয়েন সাঙ হবো। আমি চীন-ভারত বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক উন্নয়নে অবদান রাখতে চেয়েছিলাম।'

তার এ চাওয়া পূরণের জন্য ওয়াং হংওয়েই পেইচিং বিশ্ববিদ্যায়লের হিন্দি বিভাগে লেখাপড়া করেন। কিন্তু গত শতাব্দীর পঞ্চম দশকে চীন-ভারত সম্পর্ক শীতল হয়ে পড়ে। এসময় আধুনিক হিউয়েন সাঙ হওয়ার হংওয়েই'র স্বপ্নও ভেঙ্গে যায়।

(রে ২)

'বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক হওয়ার পর আমি চীনা লেখক সমিতিতে কাজ শুরু করি। আগে সমিতিটিতে এশিয়া ও আফ্রিকান লেখকদের সম্মেলন হতো। আমরা নিয়মিত সম্মেলনে আলোচনা করতাম। চীন-ভারত যুদ্ধ হওয়ার পর আমাদের আলোচনাও বন্ধ হয়। তখন দক্ষিণ এশিয়ার নেপালসহ মাত্র কয়েকটি দেশের সঙ্গে চীনের সম্পর্ক ছিল, যোগাযোগ ছিল।'

(রে ৩)

'১৯৬৩ সালে রাজা মাহেন্দ্র বির বিক্রম শাহ দেবের প্রচেষ্টায় নেপাল জাতীয় সংস্কৃতি ও শিল্প প্রতিনিধি সম্মেলন আয়োজন করা হয়। তখন আমি চীনা পর্যবেক্ষকের সহকারী হিসেবে নেপাল গিয়েছিলাম। সেই প্রথমবারের মতো আমি নেপালে যাই। এর আগে চীনা সংস্কৃতি মহলের কেউ নেপালে যাননি।'

নেপালভ্রমণ ওয়াং হংওয়েই'র হৃদয়ে গভীর ছাপ ফেলে। তিনি বলেন, নেপালের রাজা, সরকারি কর্মকর্তা, শিল্পী ও সাধারণ নাগরিক অনেক অতিথিপরায়ণ।

(রে ৪)

'চীনে ফিরে আসার পর যদিও আমি অনেক ব্যস্ত ছিলাম, তবুও আমি নেপালভ্রমণ সম্পর্কে কাগজে লিখতে চাইলাম। কিন্তু তখন চীনে পত্রিকা খুবই কম। আমার লেখা প্রকাশিত হবে কি না, এ নিয়ে মনে সন্দেহ ছিল। আমি রাত জেগে লিখতাম। অবশেষে শাইনিং ডাইলি (shining daily) আমার প্রবন্ধ প্রকাশ করে।'

ওয়াং হংওয়েই'র নেপালভ্রমণ সম্পর্কিত প্রবন্ধের শিরোনাম ছিল: 'নেপাল-চীন মৈত্রী গড়ি'। এটি ১৯৬৩ সালের ২৫ অক্টোবর 'শাইনিং ডাইলি'-এ প্রকাশিত হয়।

১৯৭৮ সালে চীনের সমাজ ও বিজ্ঞান একাডেমির পেইচিং বিশ্ববিদ্যালয়ের দক্ষিণ এশিয়া গবেষণালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। ওয়াং হংওয়েই গবেষণালয়টিতে কাজ শুরু করেন। তখন অধিকাংশ পন্ডিতই ভারত নিয়ে গবেষণা করতে চাইতেন। কিন্তু ওয়াং হংওয়েই নেপাল নিয়ে গবেষণা করার সিদ্ধান্ত নিলেন।

কিন্তু তখন চীনে ওয়েইসাইট ও ডাটাবেস ছিল না। সেজন্য অন্য একটি দেশ সম্পর্কে জানা কঠিন কাজ ছিল।

(রে ৬)

'তখন আমি কঠিন বাস্তবতার সম্মুখীন হই। এ সম্পর্কে কোনো পত্রিকা বা ম্যাগাজিনও ছিল না। আর নেপাল ভ্রমণের সময় নিজের পক্ষে কেনার সুযোগও ছিল না। আমি বিভিন্ন স্থান থেকে তথ্য সংগ্রহ করে আমার প্রথম বই 'উঁচু পাহাড়রাষ্ট্র নেপাল' লিখেছি।'

১৯৮৪ সালে নেপালে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত দক্ষিণ এশিয়া গবেষণালয় পরিদর্শনকালে ওয়াং হংওয়েই তাঁর লেখা প্রথম বই তাঁকে উপহার হিসেবে দিয়েছিলেন। এরপর এ রাষ্ট্রদূত বইটি ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার (University of California) বোরিক (Borik) শাখার পূর্ব এশিয়া গবেষণালয়কে দিয়েছিলেন। পরের বছর যুক্তরাষ্ট্রের 'এশিয়ান সার্ভে' ম্যাগাজিন ওয়াং হংওয়েইকে 'অষ্টম দশকে চীন-নেপাল সম্পর্ক' শীর্ষক একটি প্রবন্ধ লেখার আমন্ত্রণ জানায়। ম্যাগাজিনটি ওই প্রথম চীনের মূল ভূখণ্ডের কোনো বিশেষজ্ঞকে লিখবার আমন্ত্রণ জানিয়েছিল।

ওয়াং হংওয়েই এক মাস ধরে প্রবন্ধটি লিখেছেন। একই বছরের মে মাসে তাঁর লেখা 'এশিয়ান সার্ভে' ম্যাগাজিনে প্রকাশিত হয়।

১৯৮৫ সালে ওয়াং হংওয়েই তিন মাসের জন্য নেপাল পরিদর্শনের সুযোগ পেয়েছিলেন। এ তিন মাসে তিনি নেপাল সম্পর্কে ব্যাপক অভিজ্ঞতা অর্জন করেন।

(রে ৭)

'আমি এ তিন মাসে অনেক অভিজ্ঞতা অর্জন করি। আমার আগে আর কোনো চীনা মানুষ নেপাল সম্পর্কে এতো জানার সুযোগ পায়নি। আমি এ সুযোগ কাজে লাগিয়েছি এবং নেপালের বিভিন্ন মহলের মানুষের সঙ্গে ভাব বিনিময় করেছি। আমি নেপালের প্রায় প্রতিটি শহর, গ্রাম এবং পশ্চিমাঞ্চল ও পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন স্থান ভ্রমণ করেছি। আমি বিভিন্ন অঞ্চল ও জাতির বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে জেনেছি।'

তিনি বলেন, ২২ বছর আগে নেপালে তার প্রথম ভ্রমণের স্মৃতি তিনি এখনো ভোলেননি। এখন ওয়াং হংওয়েই নেপালে অনেক সুপরিচিত একটি নাম। ২০০০ সালে ত্রিভূবন বিশ্ববিদ্যালয় ও নেপালের চীন সম্পর্কিত গবেষণালয়ের যৌথ আমন্ত্রণে ওয়াং হংওয়েই নেপালে গিয়ে 'চীন-নেপাল সম্পর্ক সম্পর্কিত কয়েকটি বিবেচনা' নামের ভাষণ দেন। তাঁর ভাষণ নেপালের বিভিন্ন মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়। এ ছাড়া, তিনি রাজা বিরেন্দ্রের সঙ্গে বৈঠকে ভারত, চীন ও নেপালের সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করেছিলেন।

২০০১ সাল থেকে কমিউনিস্ট পার্টি অব নেপাল (মাওবাদী)-র শক্তি ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পেতে থাকে। তখন চীনা পন্ডিতদেরও মধ্যেও নেপালের মাওপন্থীদের নিয়ে গবেষণা করার আগ্রহ বৃদ্ধি পায়। ওয়াং হংওয়েইও'র সঙ্গে নেপালের মাওপন্থীদের গোপন যোগাযোগ ছিল। ২০০২ সালে নেপালের একজন মাওপন্থী গোপনে চীনে এসে ওয়াং হংওয়েই'র কাছে নেপালি মাওবাদীদের পরিচয় তুলে ধরেছিলেন এবং ওয়াং হংওয়েই'র মাধ্যমে চীনা নেতৃবৃন্দকে একটি চিঠি দিয়েছিলেন।

২০০৬ সালে নেপালের সাতটি পার্টির যৌথ সরকার মাওবাদীদের সাথে চুক্তি স্বাক্ষর করে। ওয়াং হংওয়েই আবারও নেপাল সফরে যান। তিনি সেখানে নেপালের মাওবাদী নেতাদের সঙ্গে দেখা করেন। এ সম্পর্কে তিনি বলেন,

(রে ৮)

'তাঁরা জানতে চেয়েছিলেন, চীনের দৃষ্টিতে নেপালের মাওবাদীরা কেমন? আমি বলেছি, একজন বিশেষজ্ঞ হিসেবে আমার যেমন মাওয়ের শিক্ষা ও চিন্তাধারা নিয়ে গবেষণা করা অধিকার আছে, তেমনি আপনাদেরও অধিকার আছে মাওয়ের চিন্তাধারা শেখা এবং তা ব্যবহার করার।'

নেপাল থেকে চীনে তিনি একটি প্রতিবেদন লিখে তা চীনা সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থায় জমা দেন। কয়েক বছর পর তিনি জানলেন যে, তখন তার প্রতিবেদন অনুসারে নেপাল সম্পর্কে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছিলেন তখনকার চীনা প্রেসিডেন্ট হু চিনথাও। এর ফলে চীনের নেপালসম্পর্কিত নীতিতেও খানিকটা পরিবর্তন আসে।

এর পর নেপালে ওয়াং হংওয়েই'র গুরুত্ব আরো বেড়ে যায়। নেপালের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা চীনে এসে ওয়াং হংওয়েই'র সঙ্গে আলোচনা করেন।

মোদ্দাকথা, ওয়াং হংওয়েই চীনের কূটনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন এবং এজন্য তিনি গর্ব বোধ করেন।

গান

বন্ধুরা, শুনছিলেন চীনের নেপালবিশেষজ্ঞ ওয়াং হংওয়েই'র ওপর একটি প্রতিবেদন। এবার আপনাদের চিঠিপত্র নিয়ে বসবার পালা।

বাংলাদেশের কুমিল্লা জেলার আন্তর্জাতিক বাঁধন বেতার শ্রোতা সংঘের সভাপতি মোঃ সোহাগ বেপারী তার ইমেলে লিখেছেন, মুক্তা আপু ভাষার মাস ফেব্রুয়ারির শুভেচ্ছা নিবেন। বছর ঘুরে আবার এসেছে ভাষার মাস ফেব্রুয়ারি। বুকের তাজা রক্ত ঢেলে মায়ের ভাষার মর্যাদা রক্ষার গৌরবদীপ্ত ইতিহাস রচনার মাস ফেব্রুয়ারি। বাঙালির জাতিস্বত্তা বিনির্মাণ সর্বোপরি আমাদের মহান স্বাধীনতার বীজ রোপিত হয়েছিল এ মাসেই। বাঙালি ১৯৫২'র একুশে ফেব্রুয়ারিতে সারা পৃথিবীর মানুষকে জানিয়ে দিয়েছিল মা, মাতৃভাষা ও মাতৃভূমির অপমান তারা কখনোই মেনে নেবে না, মেনে নেয়নি। আসুন এ মহান ফেব্রুয়ারির মাসে প্রতিদিনেই সালাম, রফিক, জব্বার, বরকতসহ সকল অমর ভাষা শহীদদের নিবেদন করি অপার শ্রদ্ধা, অশেষ ভালোবাসা। আসুন আমরা বাংলা ভাষাকে সঠিকবাবে উচ্চারণ করি। বাংলাদেশকে সুন্দর শিক্ষিত জাতি হিসাবে গঠন করি। এই হোক আমাদের আগামী দিনের অঙ্গীকার। -আসুন ভাষার মাসে আমরা সবাই প্রাণভরে গেয়ে উঠি-'আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি..........

বন্ধুরা, আজ একুশে ফেব্রুয়ারি, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। আমরা জানি, ১৯৫২ সালের এই দিনে ভাষার জন্য প্রাণ দিয়েছিলেন বরকত, রফিক, জব্বার, সালাম প্রমুখ বীর বাঙালি। দীর্ঘকাল এই দিনটি পালিত হতো একান্তই বাঙালির ভাষা দিবস হিসেবে। কিন্তু সাম্প্রতিক কালে জাতিসংঘ দিবসটি স্বীকৃতি দেয় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে। এটা নিঃসন্দেহে বাঙালির শ্লাঘার বিষয়। আমি নিজে বাংলার একজন শিক্ষার্থী হিসেবে গর্ব বোধ করি এজন্য। হ্যা, বন্ধু মোঃ সোহাগ বেপারী, আপনি ঠিকই বলেছেন। এ মাসের প্রতিটি দিন আমরা ভাষা শহীদদের স্মরণ করবো। আমরা সঠিক উচ্চারণে বাংলা ভাষার বিভিন্ন শব্দের উচ্চারণ করার চেষ্টা করে যাবো। কিন্তু আপনারাতো জানেন, বাংলা যেহেতু আমাদের মানে চীনাদের মাতৃভাষা নয়, সেহেতু আমাদের পক্ষে সঠিক উচ্চারণে বাংলা বলা কঠিন। আমাদের এই ব্যর্থতাকে আশা করি আপনারা ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। আপনাকে সুন্দর চিঠি লেখার জন্য ধন্যবাদ জানাই।

বাংলাদেশের সিরাজগঞ্জ জেলার মাতৃভাষা রেডিও লিসেনার্স ক্লাবের সভাপতি মোঃ মানিক উল্লাহ তার ইমেলে লিখেছেন, প্রিয় মুক্তা আপু বাঙালির গৌরবময় ভাষার মাসের শুভেচ্ছা নেবেন। ফেব্রুয়ারি মাস এলেই গর্বে বুকটা ভরে যায় এবং সেই ১৯৫২ সালের কথা মনে পড়ে যায়। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি মায়ের ভাষা বাংলাকে রাষ্ট্র ভাষার করার দাবি আদায়ে জীবন উৎসর্গ করেছিলেন রফিক, সফিক, সালাম, বরকত ও জব্বার সহ নাম না জানা আরো অনেকে। যা পৃথিবীর ইতিহাসে এক বিরাট দৃষ্টান্ত। বাঙালি ছাড়া ভাষার জন্য অন্য কোন জাতি জীবন উৎসর্গ করেছে বলে আমার জানা নেই। তাই এমন দেশে জন্মগ্রহণ করে নিজেকে বড় ধন্য মনে করি এবং যারা মায়ের ভাষা বাংলাকে রক্ষায় জীবন উৎসর্গ করেছেন তাদের গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করি। পরিশেষে পৃথিবীর সকল বাঙালিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের মত শেষ করছি। আল্লাহ হাফেজ।

বন্ধু মানিক উল্লাহ, আপনাকে, বিশ্বের সকল বাঙালিকে এবং বিশ্বের সকল মানুষকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের শুভেচ্ছা জানাই। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস এখন বিশ্বের সবার জন্যই বিশেষ একটি দিন, তাই না? আমরা গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করি বাংলাদেশের ভাষা শহীদদের। আপনাকে চিঠির জন্য ধন্যবাদ।

বাংলাদেশের গোপালগঞ্জ জেলার সি আর আই ফ্রেন্ডস ক্লাবের শম্পা রানী বালা তার চিঠিতে লিখেছেন, ডিয়ার মুক্তা আপু বাংলাদেশের গ্রামের শ্রোতাদের নিকট চায়না রেডিও ইন্টারন্যাশনাল এর বাংলা অনুষ্ঠান এখনো সমান জনপ্রিয়। আমরা পরিবারের সদস্যরা একত্রে শুনি। সুরের ধারায় অনুষ্ঠানে বাংলা ও হিন্দী গান বেশী থাকলে ভালো হয়। আমাদের শ্রোতা ক্লাবের কয়েকজন নারী শ্রোতা সুরের ধারায় অনুষ্ঠানটি খুব পছন্দ করে। চায়নার শিল্পীদের কন্ঠে বাংলা গান শোনালে খুশি হব।

আচ্ছা, বন্ধু শম্পা রানী বালা, আপনাকে অনুষ্ঠান সম্পর্কে মতামত দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানাই। আপনি এবারের অনুষ্ঠানে চীনা শিল্পীর কন্ঠে বাংলা গান শুনেছেন। কেমন লাগলো? আশা করি, আপনিসহ আপনার ক্লাবের সদস্যরা নিয়মিত আমাদের চিঠি লিখবেন।

ফরিদপুর জেলার ইন্ডিপেনডেন্ট রেডিও লিস্নার্স ক্লাবের পরিচালক মোহাম্মাদ কামাল হোসাইন তার ইমেলে লিখেছেন, তাজা হাও। চীন আন্তর্জাতিক বেতারের বাংলা বিভাগ সহ, সকল বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মী, কলাকৌশলীসহ দেশি-বিদেশি সকল শ্রোতাদের জানাই চীনা বসন্ত উৎসবে লাল গোলাপ শুভেচ্ছা। নতুন গানে, নতুন সুরে, নতুন প্রাণে, নব উদ্যমে এসেছে নতুন বছর। প্রতিটি ঘরে, প্রতিটি মনে ছোট-বড়, বৃদ্ধ-বৃদ্ধা, তরুণ-তরুণী, শিশুসহ সকলের মনে আজ আনন্দের জোয়ার, কারণ, এখন চলছে নতুন বছরের বসন্ত উৎসব। চীনাদের সাথে আমাদেরও গাইতে মন চায় "আজ বসন্ত এসেছে –ফুলে ফুলে ভরে গেছে মন,ও বান্ধবী বসন্ত আজ তোমাকেই প্রয়োজন"। নতুন বছর নতুন বার্তা বয়ে আনুক। প্রতিটি মানুষ নতুন উদ্যোমে কাজ করুক সেই প্রত্যাশায় আজ এখানেই ইতি টানছি চাই চিয়েন।

বন্ধু মোহাম্মাদ কামাল হোসাইন, আপনাকে আমাদের বসন্ত উত্সবের শুভেচ্ছা জানানোর জন্য ধন্যবাদ জানাই। আমরা সকল শ্রোতাদেরকেও চীনা বসন্ত উত্সবের শুভেচ্ছা জানাই।

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ইন্টারনেশনাল রেডিও লিসেনার্স ক্লাবের দেবাশিষ গোপ তার ইমেলে লিখেছেন, সুপ্রিয় মুক্তা দিদি ও অলিম ভাই, নি হাও। বসন্ত সমাগত। ডালে ডালে কচি কচি পাতা ও বাহারি ফুলের সমাগমে হৃদয় মনে অনাবিল আনন্দ বয়ে নিয়ে এসেছে। চীনা বসন্ত উৎসবে সকলকে জানাই বাসন্তিক শুভেচ্ছা। ৮ই ফেব্রুয়ারি মুক্তার কথায় শ্রোতাদের লেখাগুলি অনেক বেশি গঠনমুলক, তথ্যসমৃদ্ধ, বিচারবুদ্ধিসম্পন্ন ও ইতিবাচক লেগেছে। এ দিনের অনুষ্ঠানে চীন-ভারত পর্যটন বর্ষ ২০১৫ সম্বন্ধে অতীব সুন্দর ভাবে বর্ণনা করা হল। শুনে ভালো লাগল।

বন্ধু দেপাশীষ গোপ, আপনাকে আমাদের বসন্ত উত্সবের শুভেচ্ছা জানানো এবং আমার অনুষ্ঠান সম্পর্কে ইতিবাচক মতামত দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানাই।

প্রিয় শ্রোতা, এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য আপনাদের সবাইকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ। যদি আপনারা আমাদের অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে কিছুটা হলেও আনন্দ পেয়ে থাকেন, তাহলে মনে করবো আমাদের পরিশ্রম সার্থক হয়েছে। আপনাদের জন্যই আমাদের সকল প্রচেষ্টা ও আয়োজন। আপনারা সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন এবং শুনতে থাকুন চীন আন্তর্জাতিক বেতারের বাংলা অনুষ্ঠান। আমাদের সঙ্গে থাকুন, আমাদের অনুষ্ঠান শুনুন আর আপনার যে-কোনো মতামত বা প্রশ্ন পাঠিয়ে দিন চিঠি বা ই-মেইলের মাধ্যমে। আমাদের ই-মেইল ঠিকানা হচ্ছে ben@cri.com.cn এবং আমার নিজস্ব ইমেইল ঠিকানা হল caiyue@cri.com.cn। 'মুক্তার কথা' অনুষ্ঠান সম্পর্কিত ইমেইল আমার নিজস্ব ইমেইল ঠিকানায় পাঠালে ভালো হয়। আজ তাহলে এ পর্যন্তই। আশা করি, আগামী সপ্তাহের একই দিনে, একই সময়ে আবার আপনাদের সঙ্গে কথা হবে। ততোক্ষণ সবাই ভালো থাকুন, আনন্দে থাকুন। (ছাই/আলিম)

সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদন
মন্তব্য
Play
Stop
ওয়েবরেডিও
বিশেষ আয়োজন
অনলাইন জরিপ
লিঙ্ক
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved.
16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040