পাকিস্তান সফর সম্পর্কে লিউ চিয়ান ছাও বলেছেন, পাকিস্তান চীনের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী দেশ এবং সর্বক্ষণিক কৌশলগত অংশীদার। দু'দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৬৪ বছরে রাজনৈতিক ক্ষেত্রে পারস্পরিক আস্থা জোরদার হয়েছে এবং বিভিন্ন খাতের সহযোগিতা চলছে। বিদায়ী বছরে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট মামনুন হোসেইন ও প্রধানমন্ত্রী নেওয়াজ শরিফ দু'বার চীন সফর করেছেন। দু'দেশের নেতারা চীন-পাক অর্থনৈতিক করিডোর নির্মাণসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ মতৈক্যে পৌঁছেছেন, যা আগামীতে দ্বিপক্ষীয় বস্তুগত সহযোগিতার নতুন প্ল্যাটফর্ম পরিণত হবে। চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের সফরে দু'পক্ষ যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করবে এবং জ্বালানি সম্পদ, পরিবহন অবকাঠামো, অর্থ-বাণিজ্য ও বিজ্ঞান প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন খাতের সহযোগিতামূলক চুক্তি স্বাক্ষর করবে।
এশিয়া-আফ্রিকা নেতাদের সম্মেলন ও বান্দুং সম্মেলনের ৬০তম বার্ষিকীর অনুষ্ঠান সম্পর্কে লিউ চেন মিন বলেছেন, এবারের সম্মেলনে এশিয়া ও আফ্রিকার ১০৯টি দেশ ও অনেক আন্তর্জাতিক সংস্থা অংশ নেবে। বর্তমানে শান্তি, উন্নয়ন, সহযোগিতা ও অভিন্ন স্বার্থ সংশ্লিষ্ট অনেক ধারণা প্রচলিত রয়েছে। বিভিন্ন দেশের মধ্যে আদান-প্রদান ও পারস্পরিক নির্ভরশীল সম্পর্ক অনেক উন্নত হয়েছে। এ প্রেক্ষাপটে বান্দুং সম্মেলনে উত্থাপিত শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের পঞ্চ নীতিতে অবিচল থাকা এবং জাতিসংঘ সনদের উদ্দেশ্য অনুসরণ করা গুরুত্বপূর্ণ ও জটিল বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এ সম্মেলন চলাকালে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং নতুন পরিস্থিতিতে বান্দুং সম্মেলনের সারমর্মের ব্যাখ্যা এবং এশিয়া ও আফ্রিকার সহযোগিতা জোরদারে চীনের অভিমত ব্যাখ্যা করবেন।
(সুবর্ণা/তৌহিদ)