চীনা প্রেসিডেন্ট হিসেবে তিনি প্রথমবারের মতো পাকিস্তান সফর করবেন। গত ৯ বছরে এটিই চীনা প্রেসিডেন্টের প্রথম পাকিস্তান সফর।
এবারের সফর ঐতিহাসিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ হবে বলে মন্তব্য করেছেন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই। তিনি বিশ্বাস করেন, এ সফর চীন-পাক সর্বাক্ষণিক বন্ধুত্বকে আরো সুসংবদ্ধ করবে, দু'দেশের সার্বিক সহযোগিতাকে গভীরতর করবে এবং প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে দৃষ্টান্তমূলক সম্পর্কের উদাহরণ হবে।
চীনে নিযুক্ত পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত মাসুদ খালিদ বলেছেন, সি চিন পিংয়ের সফরে দু'দেশ জ্বালানি সম্পদ, অবকাঠামো নির্মাণ, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক বিনিময়সহ ধারাবাহিক সহযোগিতামূলক চুক্তি স্বাক্ষর করবে।
৬০ বছর আগে বিভিন্ন বাধা দূর করে বান্দুং সম্মেলন শুরু হয়। চীন, ভারত ও মিয়ানমার উত্থাপিত শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের পঞ্চ নীতি বিশ্বে প্রচলিত হয়েছে। এশিয়া-আফ্রিকা সম্মেলন নয়া চীনের কূটনৈতিক ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে আখ্যায়িত করে, এ মঞ্চে চীন সুখ্যাতি অর্জন করেছে এবং চীনের কূটনৈতিক সম্পর্ক আরো বেড়েছে। ৬০ বছর পর চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং এশিয়া ও আফ্রিকার নেতাদের সঙ্গে বান্দুংয়ের ইতিহাস স্মরণ করবেন এবং ভবিষ্যতের কর্মপরিকল্পনা তৈরি করবেন।
চলতি বছর এশিয়া-আফ্রিকা সম্মেলনে বেশ কিছু সহযোগিতামূলক চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে, এর মধ্যে রয়েছে এশিয়া-আফ্রিকা কৌশলগত অংশীদারি সম্পর্ক জোরদার করা এবং বান্দুং সম্মেলনের সারমর্ম বাস্তবায়ন।
(সুবর্ণা/তৌহিদ)