Web bengali.cri.cn   
চীনে ভারত পর্যটন বর্ষ-০৭ ফেব্রুয়ারী
  2015-04-11 15:07:14  cri



সুপ্রিয় বন্ধুরা, আপনারা শুনছেন সুদূর পেইচিং থেকে প্রচারিত চীন আন্তর্জাতিক বেতারের বাংলা অনুষ্ঠান 'মুক্তার কথা'। আপনাদের সঙ্গে আছি আমি আপনাদের বন্ধু মুক্তা।

(রে ১)

'ভারত পর্যটন বর্ষ, ২০১৫'-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হয়ে গেল গত ২ ফেব্রুয়ারি পেইচিংয়ে। চীনের উপ-প্রধানমন্ত্রী ওয়াং ইয়াং, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ এবং দু'দেশের অন্যান্য প্রতিনিধিরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। ওয়াং ইয়াং তাঁর ভাষণে চীন সরকারের পক্ষ থেকে ভারত পর্যটন বর্ষ শুরু হওয়ার অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন,

(রে ২)

'দু'দেশের অর্থনীতি ও জনগণের জীবনমান অব্যাহতভাবে উন্নত হওয়ার পাশপাশি দু'দেশের পর্যটন খাতও দ্রুত উন্নত হচ্ছে। ভারতকে তার পর্যটনসম্পদের প্রচার-প্রসারে চীন সমর্থন করে। পেইচিং চায় চীনা নাগরিকরা অধিক হারে ভারত সফর করুক। আমরা আশা করি, বিনিময়ে ভারত চীনা নাগরিকদের জন্য ভিসা-ব্যবস্থা সহজতর করবে। দু'দেশ পর্যটন বর্ষের সুযোগ কাজে লাগিয়ে এ খাতে পারস্পরিক সহযোগিতা জোরদার করবে বলেও আমি আশা করি।'

চীন ও ভারত হল বন্ধুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী দেশ। দু'দেশের জনগণের যোগাযোগ সুদীর্ঘকালের। সুষমা স্বরাজ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিস্তারিতভাবে ভারতের সমৃদ্ধ পর্যটনসম্পদের বর্ণনা দেন। তিনি বলেন, পর্যটন খাতে পারস্পরিক সহযোগিতা উন্নয়নের সুযোগে দু'দেশের জনগণের সম্পর্কও আরো উন্নত করা যাবে। তিনি বলেন,

(রে ৩)

'ব্যক্তিতে ব্যক্তিতে যোগাযোগ দুটি দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদারের ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ভারত অতিথির জন্য প্রাণঢালা শুভেচ্ছা আর অনুরাগ প্রকাশ করে। এটি হল ভারতের বৈশিষ্ট্য। তাই পর্যটকরা ভারত ভ্রমণের সময় নিজের বাড়িতে থাকার মতো সহজহ বোধ করতে পারেন। ভারতের সমৃদ্ধ ও বৈশিষ্ট্যময় সংস্কৃতি রয়েছে। সেজন্য আমি চীনা মানুষকে ভারত ভ্রমণের আমন্ত্রণ জানাই।'

সাম্প্রতিক কয়েক বছরে চীন ভারতের সম্পর্ক অব্যাহতভাবে জোরদার হয়েছে, দু'দেশের জনগণের যোগাযোগও উন্নত হচ্ছে। দু'দেশের সুদীর্ঘ সভ্যতার ইতিহাস রয়েছে। দু'দেশই উন্নয়নশীল বড় দেশ এবং সমৃদ্ধ পর্যটন সম্পদের অধিকারী। এ সম্পর্কে চীনে ভারতের রাষ্ট্রদূত আশোক কে. কান্থা বলেন,

(রে ৪)

'ভারত ও চীন দু'টি উন্নয়নশীল বড় দেশ, যাদের সমৃদ্ধ সংস্কৃতি ও সূক্ষ্ম ঐতিহ্য রয়েছে। আমি বিশ্বাস করি, দু'দেশের উচ্চ পর্যায়ের পর্যটন বর্ষ আয়োজনে দু'দেশের যোগাযোগ আরো জোরদার হবে।'

এ ছাড়া ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও এক ভিডিও-বার্তায় ভারত পর্যটন বর্ষ উপলক্ষ্যে অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন, 'চীনের সঙ্গে ভারতের কয়েক হাজার বছরের সম্পর্ক রয়েছে। দু'টিই প্রাচীন সভ্যতার দেশ এবং বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে দু'দেশে অবদানই উল্লেখযোগ্য। আমি আশা করি, দু'দেশের যোগাযোগ আরো জোরদার হবে। আমি চীনা বন্ধুদেরকে 'ইনক্রেডিবল ইন্ডিয়া' ভ্রমণের জন্য আমন্ত্রণ জানাই।'

গত সেপ্টেম্বরে চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং ভারত সফরকালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে যৌথভাবে 'চীন-ভারত সাংস্কৃতিক যোগাযোগ পরিকল্পনা' নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন এবং ২০১৫ সালে চীনে ভারত পর্যটন বর্ষ ও ২০১৬ সালে ভারতে চীনা পর্যটন বর্ষ পালনের সিদ্ধান্ত নেন। এর উদ্দেশ্য দু'দেশের সাংস্কৃতিক ও ব্যক্তি পর্যায়ের যোগাযোগ জোরদার করা। ভারতের পর্যটন ব্যুরোর পেইচিংয়ে কার্যালয়ের প্রধান প্রতিনিধি দীপা লস্কর বলেন,

(রে ৫)

'আমাদের অধিকাংশ বন্ধুই দিল্লী, আগ্রা ও জয়পুর সম্পর্কে জানেন। কিন্তু ভারতে আরো অনেক সুন্দর সুন্দর জায়গা রয়েছে। এ বছর আমরা প্রধানত দক্ষিণাঞ্চলের শহরগুলোকে চীনা বন্ধুদের সামনে তুলে ধরতে চাই। আশা করি, চীনা বন্ধুরা ভারতীয় নাগরিকদের সঙ্গে যোগাযোগ জোরদার করতে উত্সাহিত হবেন। এটি পর্যটন বর্ষের একটি লক্ষ্য।'

(রে ৬)

চীন ও ভারত বিশ্বের দুটি বৃহত্তম জনবহুল দেশ। দেশ দুটির মধ্যে সহযোগিতার সুযোগও প্রচুর। আমরা বিশ্বাস করি, ভারত ও চীন পর্যটন বর্ষের মাধ্যমে এ সুযোগের অনেকটাই ব্যবহার করা যাবে।

গান

বন্ধুরা, শুনছিলেন চীনে ভারত পর্যটন বর্ষ সম্পর্কিত একটি আলোচনা। এবার আপনাদের চিঠিপত্র নিয়ে বসবার পালা।

বাংলাদেশের সিরাজগঞ্জ জেলার মাতৃভাষা রেডিও লিসেনার্স ক্লাবের সভাপতি মোঃ মানিক উল্লাহ তার ইমেলে লিখেছেন: প্রিয় মুক্তা আপু, হৃদয়ে জমানো ছোট্ট ভালবাসার একটু পরশ নেবেন। আমি সিআরআই বাংলা বিভাগের একজন নিয়মিত শ্রোতা। ভাল লাগে চলুন বেড়িয়ে আসি, এশিয়া টুডে, সুরের ধারায়, বাংলায় গল্প বাংলার গল্প, কনফুসিয়াস ক্লাব রুম এবং মুক্তার কথা ইত্যাদি অনুষ্ঠান। এতো সুন্দর সুন্দর অনুষ্ঠান শ্রোতাদের উপহার দেওয়ার জন্য সিআরআই কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাই। মুক্তা আপু আজ আপনার কাছে ছোট্ট একটি প্রশ্নের উত্তর জানতে চাই। প্রশ্নটি হল: সিআরআই হতে বাংলা অনুষ্ঠান প্রচার শুরু হয় কত সালে? আশা করি আমার ছোট্ট প্রশ্নটির জবাব দেবেন। পরিশেষে সিআরআই বাংলা বিভাগের সকল কর্মকর্তাদের মঙ্গল কামনা করে আজকের মত শেষ করছি। আল্লাহ হাফেজ।

আচ্ছা, বন্ধু মোঃ মানিক উল্লাহ, আপনাকে ইমেল লেখার জন্য ধন্যবাদ জানাই। এখন আমি আপনার প্রশ্নের জবাব দিচ্ছি। চীন আন্তর্জাতিক বেতারের বাংলা ভাষা অনুষ্ঠান সম্প্রচার ১৯৬৯ সালের পয়লা জানুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়। এখন বাংলা ভাষা অনুষ্ঠান সম্প্রচারের পাশাপাশি, বাংলা ভাষার ওয়েবসাইট (bengali.cri.cn), বাংলা ভাষার পত্রিকা 'পুবের জানালা' আর বাংলাদেশের ঢাকায় সিআরআই-এসএমএফ কনফুসিয়াস ক্লাসরুম হচ্ছে আমাদের গুরুত্বপূর্ণ কাজের খাত। বাংলা ভাষার ওয়েবসাইট চালু হয় ২০০৪ সালের পয়লা নভেম্বর। এটা হচ্ছে চীনের সংস্কৃতি, অর্থনীতি, রাজনীতিসহ নানা ক্ষেত্রের তথ্য জানার এক সুবিধাজনক প্লাটফর্ম। এখন প্রতিদিন সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা থেকে সাড়ে সাতটা পর্যন্ত বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় ১০৩.২MHz, চট্টগ্রামে ১০৫.৪MHz স্পষ্টভাবে সিআরআইয়ের বাংলা ভাষার এফএম অনুষ্ঠান শোনা যায়। আপনাকে প্রশ্ন করার জন্য আবারো ধন্যবাদ জানাই।

বাংলাদেশের চুয়াডাংগা জেলার গ্লোবাল সিআরআই রেডিও লিসনার্স ক্লাবের প্রফেসর আশরাফুল ইসলাম তার ইমেলে লিখেছেন: আপনাকে জানাই লাল গোলাপের একগুচ্ছ শুভেচ্ছা। আমি আপনার মুক্তার কথা অনুষ্ঠানের একজন ভক্ত শ্রোতা।এ অনুষ্ঠান আমাকে দুর্বার আকর্ষণে নিমগ্ন করেছে। আপনার সুললিত কন্ঠে শ্রোতার চিঠির জবাব শুনতে আমার অসম্ভব ভাল লাগে। ২৪ জানুয়ারির মুক্তার কথা অনুষ্ঠানে রঙিন ইউনান, সৃজনশীল ইউনান সপ্তাহ, ভারত চীন সহযোগিতা শীর্ষক মূল্যবান তথ্যবহুল প্রতিবেদনটি আমার অনেক ভাল লেগেছে। মুক্তার কথায় প্রতিবেদন প্রচারের বর্তমান এ ধারা খুব ভাল লাগছে।

লালন ফকিরের গান বাংলাদেশে দারুণ জনপ্রিয়। আর এ গানের লালন কন্যা নামে খ্যাত ফরিদা পারভীন। 'সুরের ধারায়' অনুষ্ঠানে আজও ফরিদা পারভীনের কন্ঠে লালন সংগীত দারুণভাবে উপভোগ করলাম। গানগুলোর মধ্যেঃ তিন পাগলে হলো মেলা নদে এসে, তোরা কেউ যাসনে ও পাগলের কাছে; না দেখে অজাতের স্বরূপ, এলাহি আলমিনগো আল্লাহ ইত্যাদি গানগুলো আমার মনকে ভরিয়ে দিয়েছে। এত ভাল অনুষ্ঠান উপহার দেওয়ার জন্য আমি সিআরআই কর্তৃপক্ষকে আমার আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। সবাইকে আবারো নববর্ষের শুভকামনা জানিয়ে আজ এখানেই শেষ করছি।

বন্ধু আশরাফুল ইসলাম, মতামত দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাই। আমরা আরো সমৃদ্ধ অনুষ্ঠান আপনাদেরকে উপহার দেওয়ার চেষ্টা করবো। মুক্তার কথা অনুষ্ঠানে প্রতিবেদন শুনতে ভালো লাগছে জেনে ভালো লাগলো। মুক্তার কথায় আমরা শ্রোতাদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরও দিয়ে থাকি। আপনারা আমাদের প্রশ্ন পাঠান। আপনাকে চীনা নববর্ষের শুভেচ্ছা। ধন্যবাদ।

বাংলাদেশের কুমিল্লা জেলার আন্তর্জাতিক বাঁধন বেতার শ্রোতা সংঘের সভাপতি মোঃ সোহাগ বেপারী তার ইমেলে লিখেছেন: মুক্তা আপু, এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি/নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার। একবিংশ শতকে কবি সুকান্তের কবিতার এ চরণগুলোর বাস্তব রূপ প্রদান করা খুবই প্রয়োজন। গ্রিন হাউজ প্রতিক্রিয়া, বৈশ্বিক উষ্ণায়ন, জলবায়ুর পরিবর্তনে দিশাহারা প্রকৃতিকে রক্ষার জন্য এখনই সচেতন হতে হবে বিশ্ববাসীকে, নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য। জনসচেতনতার মাধ্যমে পরিবেশ সচেতনতার জন্য প্রতিবছর ৫ জুন বিশ্বব্যাপী পালিত হয় 'বিশ্ব পরিবেশ দিবস'। ১৯৭২ সালে সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে জাতিসংঘের উদ্যোগে পরিবেশ সংক্রান্ত এক আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় এবং ১৯৭৩ সাল থেকে প্রতিবছর ৫ জুন 'বিশ্ব পরিবেশ দিবস' পালিত হচ্ছে। প্রতিবছরই দিবসটি একটি প্রতিপাদ্য বিষয় নিয়ে সারা বিশ্বে পালিত হয়। এ দিবস পালনের উদ্দেশ্য হচ্ছে, পরিবেশের ভারসাম্য, পরিবেশ বিপর্যয় এবং পরিবেশ সংরক্ষণ সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করে তোলা। অধিক জনসংখ্যা, বনাঞ্চল ধ্বংস, যানবাহনের আধিক্য ইত্যাদি পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট এবং পরিবেশ বিপর্যয়ের অন্যতম কারণ। সারা বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বর্তমানে বাংলাদেশেও দিবসটি ব্যাপকভাবে পালিত হয়।

পরিবেশ রক্ষার জন্য প্রয়োজন প্রচুর পরিমাণ বনাঞ্চল, কিন্তু প্রতিবছরই আশঙ্কাজনকভাবে কমছে বনাঞ্চল। একটি দেশের পরিবেশ রক্ষার জন্য ২৫% বনভূমি প্রয়োজন অথচ আমাদের দেশে সরকারি হিসাব অনুযায়ী ১৭% বনভূমি আছে। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা না হওয়ায় সমপ্রতি বাংলাদেশে খরা, বন্যা, ঘূর্ণিঝড় ইত্যাদি প্রাকৃতিক দুর্যোগ বেড়েছে আশঙ্কাজনকভাবে। ভবিষ্যতে আরো বৃদ্ধি পাবে। পরিবেশ বিপর্যয়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলো। পরিবেশ বিশেষজ্ঞদের মতে জলবায়ুর পরিবর্তনের ফলে উত্তর মেরুর বরফ গলতে শুরু করছে, যার ফলে ভবিষ্যতে বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। আশার কথা হচ্ছে, সম্প্রতি বাংলাদেশে কিছুটা হলেও জনসচেতনতা সৃষ্টি হচ্ছে। বিশ্ব পরিবেশ দিবস এ ব্যাপারে বিশেষ ভূমিকা রাখছে। বর্তমানে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে পরিবেশ সম্পর্কে রেডিও, টেলিভিশন, সংবাদমাধ্যম পরিবেশ বিপর্যয় সম্পর্কে সচেতন করার কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। পরিবেশ রক্ষার লড়াইয়ে সারা বিশ্বকে এক হতে হবে। বাঁচাতে হবে সুন্দর এ ধরণীকে। আগামী প্রজন্মকে সুস্থ পরিবেশ উপহার দেয়া আমাদের দায়িত্ব। তাই বিশ্ব পরিবেশ দিবসে আমাদের প্রত্যাশা 'সচেতন হোক বিশ্ববাসী, বাঁচুক প্রকৃতি'।

প্রিয় সোহাগ বেপারি, আপনি পরিবেশ সম্পর্কে অনেক তথ্য দিয়েছেন। আপনার কথা ঠিক। আমাদের পরিবেশ বাঁচাতে হবে, নিজেদের জন্য, ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য। চীনের সরকারও পরিবেশ সুরক্ষায় আগের যে-কোনো সময়ের চেয়ে অনেক বেশি সচেতন হয়েছে। পেইচিংয়ের রাস্তায় এখন দিন দিন বাড়ছে বিদ্যুতচালিত গাড়ির সংখ্যা। পরিবেশ সুরক্ষায় এটি অনেকগুলো উদ্যোগে একটি উদ্যোগ। আশা করি, বিশ্ববাসীর সম্মিলিত প্রচেষ্টা এ পৃথিবীকে আমরা ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য বাসযোগ্য রেখে যেতে পারবো। সুন্দর চিঠির জন্য আপনাকে আবারো ধন্যবাদ।

প্রিয় শ্রোতা, দেখতে দেখতে সময় ফুরিয়ে এলো। এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য আপনাদের সবাইকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ। যদি আপনারা আমাদের অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে কিছুটা হলেও আনন্দ পেয়ে থাকেন, তাহলে মনে করবো আমাদের পরিশ্রম সার্থক হয়েছে। আপনাদের জন্যই আমাদের সকল প্রচেষ্টা ও আয়োজন। আপনারা সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন এবং শুনতে থাকুন চীন আন্তর্জাতিক বেতারের বাংলা অনুষ্ঠান। আমাদের সঙ্গে থাকুন, আমাদের অনুষ্ঠান শুনুন আর আপনার যে-কোনো মতামত বা প্রশ্ন পাঠিয়ে দিন চিঠি বা ই-মেইলের মাধ্যমে। আমাদের ই-মেইল ঠিকানা হচ্ছে ben@cri.com.cn এবং আমার নিজস্ব ইমেইল ঠিকানা হল caiyue@cri.com.cn। 'মুক্তার কথা' অনুষ্ঠান সম্পর্কিত ইমেইল আমার নিজস্ব ইমেইল ঠিকানায় পাঠালে ভালো হয়। আজ তাহলে এ পর্যন্তই। আশা করি, আগামী সপ্তাহের একই দিনে, একই সময়ে আবার আপনাদের সঙ্গে কথা হবে। ততোক্ষণ সবাই ভালো থাকুন, আনন্দে থাকুন। (ছাই/আলিম)

সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদন
মন্তব্য
Play
Stop
ওয়েবরেডিও
বিশেষ আয়োজন
অনলাইন জরিপ
লিঙ্ক
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved.
16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040