বৈঠকে প্রেসিডেন্ট জোকো'কে বোয়াও ফোরামে অংশগ্রহণের জন্য স্বাগত জানান চীনা প্রেসিডেন্ট। প্রেসিডেন্ট সি বলেন, চীন ও ইন্দোনেশিয়া জনসংখ্যার দিক থেকে বিশ্বে প্রথম ও চতুর্থ স্থানে রয়েছে। উভয়ই উন্নয়নশীল দেশ, ভবিষ্যতে সম্ভাব্য সহযোগিতার সুযোগ অনেক। চলতি বছর দু'দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৬৫তম বার্ষিকী। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে দু'পক্ষ সহযোগিতা আরো সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, 'এশিয়া অবকাঠামো পুঁজি বিনিয়োগ ব্যাংকের' মাধ্যমে ইন্দোনেশিয়ার 'সামুদ্রিক হাইওয়ে' উন্নয়নে সাহায্য করা যাবে। তাছাড়া, দু'পক্ষ সমুদ্র, আর্থ-বাণিজ্য, দ্রুত রেলওয়ে, বিমানবন্দর, বিদ্যুত, কৃষি, মত্স্য, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এবং মহাশূন্য গবেষণা ক্ষেত্রের সহযোগিতা আরো সম্প্রসারণ করতে পারে।
জোকো বলেন, ইন্দোনেশিয়া ও চীন ঘনিষ্ঠ বন্ধু। একবিংশ শতাব্দীতে চীন ও ইন্দোনেশিয়াসহ বিভিন্ন উন্নয়নশীল দেশ আরো বড় ভূমিকা পালন করতে পারে। ইন্দোনেশিয়া চীনের সঙ্গে দুর্নীতি দমন, সন্ত্রাস দমন এবং আর্থ-বাণিজ্যসহ বিভিন্ন দিকের সহযোগিতা সম্প্রসারণ করতে ইচ্ছুক বলে জানান তিনি ।
বৈঠকের পর দু'নেতা বিভিন্ন সহযোগিতার চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত হন। (স্বর্ণা/টুটুল)