0321akash
|
পেইচিং ছিং হুয়া ছাং কেং হাসপাতাল ২০১৪ সালের নভেম্বর মাসে প্রতিষ্ঠিত হয়। এক হাজার শয্যাবিশিষ্ট এই হাসপাতালটি পেইচিংয়ের দক্ষিণাঞ্চলে অবস্থিত।
ছিং হুয়া ছাং কেং হাসপাতালে স্বেচ্ছাসেবকদের মোট সংখ্যা হচ্ছে ২৬৬জন। এদের মধ্যে অধিকাংশই স্থানীয় পাশাপাশি অঞ্চলের বাসিন্দা। স্থানীয় অঞ্চলের মানুষদের জন্য স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করা সমাজকে সেবা দেয়ার একটি সুযোগ। অন্যদিকে এটি রোগীদের জন্যও একটি ভালো ব্যাপার। এক কথায় বলা যায়, স্বেচ্ছাসেবকরা হচ্ছেন রোগী ও হাসপাতালের মধ্যকার একটি সেতু।
চাং ইং লি'র বর্তমান বয়স ৬৯। স্বেচ্ছাসেবকদের একটি দলের পরিচালক তিনি। তিনি বলেন, 'আমরা সমাজকে আরো কিছু দিতে চাই'। চাং ইং লি আগে একটি কোম্পানির ম্যানেজার ছিলেন। অবসর গ্রহণের পর তিনি স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করা শুরু করেন।
তিনি বলেন, 'যদিও সপ্তাহে আমি শুধু একদিন হাসপাতালে যাই, কিন্তু সারা সপ্তাহ আমি ভাবতে থাকি, কিভাবে এ দিনের কাজটিকে আরো সুষ্ঠুভাবে করতে পারি'।
তিনি আরো বলেন, একজন স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে আমরা যদি দেখি যে, হাসপাতালের কোনো কোনো ক্ষেত্র ভালো না, তাহলে আমরা খুব দ্রুতই প্রস্তাব দিতে পারি। যেমন ধরুন, গ্লাসের কথা । আবেদনপত্রে আমরা লিখি, এটা জনগণের জন্য অনেক সুযোগ ও সুবিধা বয়ে আনবে। আমরা রোগী ও হাসপাতালের যোগাযোগ এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।
চাং ইং লি খুবই যত্ন ও সতর্কভাবে কাজ করেন। তিনি রোগী ও সহকর্মীদের নিজের পরিবারের মতো যত্ন নেন।
একজন নারী স্বেচ্ছাসেবক সাংবাদিকদেরকে বলেন, চাং ইং লিকে সবাই বড় হিসেবে অনেক সম্মান করেন । তাঁর জীবনধারণ ও কর্মকাণ্ড সবাইকে অনেক উত্সাহিত করে।
মা সি চুনের বয়স ৭৮। ২৬৬ জন স্বেচ্ছাসেবকদের মধ্যে সবচেয়ে বয়স্ক তিনি। অবসর গ্রহণের আগে তিনি রেলওয়েতে চাকরি করতেন ।
তিনি বলেন, স্বেচ্ছাসেবকদের কাজের মধ্যে আমার সবচেয়ে বড় অর্জন হচ্ছে আনন্দ। আমরা সবসময়ই রোগীকে আমাদের মনের প্রথম স্থানে রাখি। যত কষ্টই হোক না কেন, আমরা সবসময়ই ভালোভাবে যত্ন নেয়ার চেষ্টা করি । অন্য মানুষ খুশি হলে আমরাও খুশি হই এবং এতে কাজ করার সময় কোনো ক্লান্তি কাজ করে না ।
ওয়াং মে ছিন হিসাবরক্ষক হিসেবে কাজ করেন । তিনি বলেন, স্বেচ্ছাসেবক হচ্ছে এক ধরনের দায়িত্ব। আমার সন্তান আমাকে খুবই সমর্থন করে। সে ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমসের সময় একজন স্বেচ্ছাসেবক ছিল। সবাই মিলে একসাথে মানুষকে সাহায্য করা হচ্ছে একটি অসাধারণ অনুভূতি। আমার সন্তান আমাকে অনুপ্রাণিত করেছে, এখন আমি অন্য বন্ধুদেরকে অনুপ্রাণিত করি।
লু কুয়াং পিং আগে পেইচিংয়ে নিটিং কারখানায় কাজ করতেন। তিনি বলেন, অবসর গ্রহণের পর প্রথম ভাবি যে, এখন বয়স খুব বেশি হয়ে গেছে, তাই কিছু কাজ করতে চাই। তারপর স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করা শুরু করি এবং অনেক আনন্দ পাই। সারাদিন অনেক আনন্দে থাকি ।