0117muktarkotha
|
বন্ধুরা, গত ৯ জানুয়ারি শ্রীলংকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফল ঘোষিত হয়। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর যৌথ পার্থী মৈত্রিপালা নির্বাচনে প্রদত্ত ৫১.২৮ শতাংশ ভোট পেয়ে দেশের সপ্তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। এর ফলে বিদায় নিতে হয় তৃতীয় মেয়াদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রেসিডেন্ট মাহিন্দা রাজাপাকশেকে। সিরিসেনা বিজয়ী হওয়ায় শ্রীলংকায় জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে নতুন সরকার অস্থিতিশীল রাজনীতি, মুদ্রাস্ফীতি ও বৈদেশিক সম্পর্কের বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হবে নিশ্চিতভাবেই। সুপ্রিয় শ্রোতা, আজকের অনুষ্ঠানের প্রথমেই আমি শ্রীলংকার নির্বাচন ও ফলাফল নিয়ে আলোচনা করবো।
২০১৪ সালের শেষ দিকে তত্পকালীন প্রেসিডেন্ট মাহিন্দা রাজাপাকশে যখন মধ্যবর্তী নির্বাচনের ঘোষণা দিলেন, ঠিক তার দু'দিন পরই তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও ক্ষমতাসীন পার্টির সম্পাদক মৈত্রিপালা সিরিসেনা পদত্যাগ করেন এবং নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ঘোষণা দেন। তাকে বিরোধীদলগুলো সমর্থনও দেয়। সিরিসেনার বিদ্রোহের কারণ ছিল, বতর্মান শাসনব্যবস্থার বিরুদ্ধে তার ক্ষোভ। তিনি ঘোষণা দেন, নির্বাচিত হলে তিনি বর্তমান শাসনব্যবস্থায় পরিবর্তন আনবেন এবং দুর্নীতি দমন করবেন। নির্বাচনে তার বিজয়ের পেছনে তার এ প্রতিশ্রুতি বড় কারণ বলে বিশ্লেষকরা মনে করেন।
তার জয়ের পেছনে ক্রিয়াশীল আরেকটি কারণ ছিল তিনি সংখ্যালঘুদের সমর্থন পেয়েছিলেন। নির্বাচনের আগে শ্রীলংকার বৃহত্তম মুসলমান রাজনৈতিক দল মুসলিম জাতীয় কংগ্রেস ও বৃহত্তম তামিল রাজনৈতিক দল তামিল জাতীয় সংঘ তাঁর প্রতি সমর্থন ঘোষণা করে। এর মাধ্যমে সিরিসেনা সারা দেশের প্রায় চার ভাগের এক ভাগ মুসলমান ও তামিল মানুষের সমর্থন পান। এ ছাড়াও তিনি অধিকাংশ সিংহলি গ্রামবাসী সমর্থন পান। অথচ রাজাপাকশের প্রধান ভোট ব্যাংক ছিল এই সিংহলী গ্রামবাসী।
এদিকে সিরিসেনা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে, যদি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে একশ দিনের মধ্যে বর্তমান প্রেসিডেন্ট পদ্ধতি বাতিল করে সংসদীয় ব্যবস্থা চালু করবেন; আইন তত্ত্বাবধান করার জন্য একটি স্বাধীন সংস্থা প্রতিষ্ঠা করবেন এবং পুলিশ বিভাগে নির্বাচন আয়োজন করবেন। এ ছাড়া, তিনি কৃষকদের কর কমানো, সরকারি কর্মকর্তাদের বেতন বৃদ্ধি করা এবং তেলের দাম কমানোরও প্রতিশ্রুতি দেন। তিনি ভারসাম্যপূর্ণ কূটনৈতিক ব্যবস্থা গ্রহণের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন।
বিভিন্ন প্রতিশ্রুতির কারণে মৈত্রিপালা সিরিসেনা প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছেন। কিন্তু সিরিসেনাকে এখন অনেক চ্যালেঞ্জ মুকাবিলা করতে হবে। প্রথমেই আসবে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার কথা। যদি সিরিসেনা ৩০ বছরেরও অধিক সময় ধরে চলে আসা প্রেসিডেন্ট পদ্ধতির সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে দেন, তবে শ্রীলংকার বৃহত্তম বিরোধী দল ইউনাইটেড ন্যাশনাল পার্টি অর্থাত্ ইউএনপির নেতা রানিল বিক্রমাসিঙ্গের সামনে সৃষ্টি হবে দেশটির নির্বাহী প্রধানমন্ত্রী হবার সুযোগ। এদিকে, ১০ বছর ক্ষমতায় থাকা রাজাপাকশের রাজনৈতিক প্রভাবও কম থাকবে না। এ অবস্থায় দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ধরে রাখা কঠিন কাজ হবে বলে অনেকে মনে করেন। এদিকে, বিরোধী দলীয় জোটে আছে প্রায় ৪০টি ছোটবড় রাজনৈতিক দল। নতুন সরকার কীভাবে এসব দলের মধ্যে সমন্বয় করবে তা একটি প্রশ্ন বটে।
প্রেসিডেন্ট সিরিসেনা মুদ্রাস্ফীতির চাপ ও বিদেশি সাহায্যের ওপর অতি নির্ভরতার বিষয়ে সুস্পষ্ট কোনো পরিকল্পনার কথা বলেন নি। তিনি পাশ্চাত্য দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে কী করবেন তাও স্পষ্ট নয়। নির্বাচনের আগে তিনি বরং স্পষ্টভাবে বলে দিয়েছেন যে, তিনি জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক তদন্ত দলের শ্রীলংকার গৃহযুদ্ধে মানবাধিকারের সমস্যা তদন্ত করার বিরোধী।
অন্যদিকে, সিরিসেনার সরকার ভারত ও চীনের সঙ্গে সম্পর্ক কীভাবে এগিয়ে নিয়ে যাবে সেটিও একটি প্রশ্ন। যদিও বিরোধী দলগুলো শ্রীলংকায় চীনের অর্থবিনিয়োগের ব্যাপারে সন্দেহ প্রকাশ করেছিল, কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, দু'দেশের সম্পর্ক উন্নয়নের ইতিহাস ও ভবিষ্যত প্রবণতা থেকে এটা স্পষ্ট যে, দু'দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে বড় কোনো পরিবর্তন ঘটবে না।
গান
বন্ধুরা, শুনছিলেন শ্রীলংকার নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ও এর ফলাফল সম্পর্কিত একটি আলোচনা। এবার আপনাদের চিঠিপত্র নিয়ে বসবার পালা।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার হামিম হোসেন মণ্ডল একটি কবিতা লিখে পাঠিয়েছেন। আমি তাঁর কবিতাটি আবৃত্তি করার চেষ্টা করছি। কবিতাটির শিরোনাম 'ভেদাভেদ]।
আমরা মুসলিম, ওরা হিন্দু;
আমরা হিন্দু, ওরা মুসলিম;
- কেন এই ভেদাভেদ?
আমরা বাঙালি, ওরা অবাঙালি;
ওরা বিদেশি, আমরা স্বদেশী;
- কেন এই ভেদাভেদ?
আমরা ফর্সা, ওরা কালো;
ওরা শ্বেতী, আমরা কৃষ্ণবর্ণ;
- কেন এই ভেদাভেদ?
আমরা উচু, ওরা নীচু;
ওরা উচ্চ, আমরা নিম্ন;
- কেন এই ভেদাভেদ?
আমরা ধনী, ওরা দরিদ্র;
ওরা বড়লোক, আমরা গরিব;
- কেন এই ভেদাভেদ?
আমরা-ওরা সবাই মানুষ,
নেইকো কোনো ভেদাভেদ;
কেউ ভালো, কেউ মন্দ,
এই যা আছে ভেদ অভেদ।
বন্ধু হামিম কবিতার মাধ্যমে যে কথা বলতে চেয়েছেন সে কথার সঙ্গে আমরা একমত। মানুষে মানুষে জাত-পাতের কোনো ভেদাভেদ থাকা উচিত নয়। মানুষকে শুধু তার মনুষ্যত্ব দিয়েই বিচার করতে হবে। তা ছাড়া, মনে রাখতে হবে, পৃথিবীর অধিকাংশ ধর্ম অনুসারেই আমরা সবাই একজন পুরুষ ও একজন নারীর বংশধর। সে অর্থে আমরা সবাই একে অপরের আত্মীয়। আর যারা ধর্মের বাইরে গিয়ে মানবিকতার চর্চা করেন, তাদের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। অর্থ, ধর্ম, জাত-পাত, বর্ণ ইত্যাদি মানুষে মানুষে ভেদাভেদ সৃষ্টি করতে পারে না, করতে দেওয়া উচিতও নয়। আমরা সবাই মানুষ, এটাই আমাদের সবচে বড় পরিচয়। বন্ধু হামিম, আপনাকে কবিতার জন্য ধন্যবাদ।
বাংলাদেশের চুয়াডাংগা জেলার গ্লোবাল সিআরআই রেডিও লিসনার্স ক্লাবের সভাপতি প্রফেসর আশরাফুল ইসলাম ইমেলে লিখেছেন, সুপ্রিয় মুক্তা আপু, নববর্ষের আন্তরিক শুভেচ্ছা নিন।১০ জানুয়ারির মুক্তার কথা অনুষ্ঠানের মন মাতানো আসরটি অনেক উপভোগ করলাম। এদিন চীনা শিল্পপ্রতিষ্ঠানে অর্থ বিনিয়োগ সংক্রান্ত প্রতিবেদন, মনোগ্রাহী একটি গান এবং শ্রোতার চিঠির উত্তরপর্ব দারুণ ভাল লেগেছে। এদিন সুরের ধারায় অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের প্রখ্যাত লালন সংগীত শিল্পী ফরিদা পারভীনের জীবন বৃত্তান্ত ও তার কন্ঠের সুমধুর কিছু গান শুনে সত্যিই অনেক তৃপ্ত হলাম। পরিবেশিত গানগুলির মধ্যেঃ মিলন হবে কত দিনে, সময় গেলে সাধন হবে না, পারে লয়ে যাও আমায় এবং কবে সাধুর চরণ ধুলি মোর লাগবে গায় ইত্যাদি গানগুলো প্রাণভরে উপভোগ করেছি। আজকের 'আকাশের সাথে' অনুষ্ঠানে মুক্তা আপুর নিজ কন্ঠে তার ব্যক্তিগত ও পারিবারিক জীবন সম্বন্ধে বেশ কিছু অজানা তথ্য জানলাম। মুক্তা আপুর নববর্ষের শুভেচ্ছা ও প্রত্যাশার কথা জেনে আমি সত্যিই অনেক অনুপ্রাণিত হয়েছি। এত সুন্দর সুন্দর অনুষ্ঠান উপহার দেওয়ার জন্য ছাই ইউয়ে মুক্তা আপু ও সিআরআই বাংলা বিভাগ কর্তৃপক্ষকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। নুতন বছরে সিআরআই বাংলা বিভাগের অনুষ্ঠানমালা আরো বৈচিত্র্যপূর্ণ ও উপভোগ্য হয়ে উঠবে এমনটিই প্রত্যাশা করছি। শুভ কামনায়
আচ্ছা, বন্ধু আশরাফুল ইসলাম, আপনাকে নিয়মিত আমাদের অনুষ্ঠানে মতামত দেয়ার জন্য ধন্যবাদ জানাই। আমরা অবশ্যই শ্রোতাদের জন্য আরো বৈচিত্র্যপূর্ণ ও আকর্ষণীয় অনুষ্ঠান তৈরী করার চেষ্টা করবো। আপনাকে আবারো ধন্যবাদ।
নাটোর জেলার মোঃ আরিফুল ইসলাম তার ইমেলে লিখেছেন, প্রিয় ভাইয়া ও আপু, আমার আন্তরিক সালাম ও রজনীগন্ধা ফুলের প্রীতিমাখা শুভেচ্ছা নিবেন। ভাইয়া ও আপু, আমি CRI এর একজন পুরোন শ্রোতা। CRI এর প্রতিটি অনুষ্ঠান নিয়মিত শুনি। আমার অনেক ভাল লাগে। মুক্তার কথা অনুষ্ঠানে এটাই আমার প্রথম ই-মেইল। তাই, আজ অনুষ্ঠান সম্পর্কে কিছু লিখলাম না। আমার এই প্রথম মেইলের জবাব পেলে নিয়মিত মতামত পাঠাবো। চীন আন্তর্জাতিক বেতারের বাংলা বিভাগ, আমি সেই সুতো হবো, যে তোমায় আলোকিত করে নিজে জ্বলে যাবো; আমি সেই নৌকো হবো, যে তোমায় পার করে নিজেই ডুবে যাবো; হবো সেই চোখ, যে তোমায় দেখেই বুজে যাবো; হবো সেই সুর, যে তোমায় মাতিয়ে করুণ হবো; হবো সেই চাঁদ, যে তোমাকে আলো দেবে দিন ফিরে এলেই আবার ফুরিয়ে যাবো, শুধু ভালবেসো আমায় প্রিয় মুক্তা আপু।
আচ্ছা, বন্ধু মোঃ আরিফুল ইসলাম, আপনাকে ইমেল লেখার জন্য ধন্যবাদ জানাই। সুন্দর কাব্যিক ভাষায় আপনি আপনার অনুভূতির কথা লিখেছেন। আমি মুগ্ধ হয়েছি। এখন আপনি আপনার প্রথম ইমেলের উত্তর পেলেন। আশা করি এখন থেকে নিয়মিত লিখবেন।
বাংলাদেশের গোপালগঞ্জ জেলার সি আর আই ফ্রেন্ডস ক্লাবের কানন রানী টিকাদার তার ইমেলে লিখেছেন, নমস্কার রইলো। আশা করি তোমরা সকলে খুব ভালো আছ, আমরাও নতুন বছরে ভালোভাবে দিন কাটাতে শুরু করেছি। চায়না রেডিওর বাংলা অনুষ্ঠান যেহেতু আমাদের খুব প্রিয় তাই নতুন বছরেও নিয়মিত শুনছি। শুধু আপনাদের কথা শুনছি তা কেন? আমাদের কথাও আপনাদের শুনতে হবে তাই নয় কি? এখন একটানা তিনটি অধিবেশন সন্ধ্যে থেকে শুনতে হচ্ছে, শর্টওয়েভে ভালো শোনা যাচ্ছে।
বন্ধু কানন রানী টিকাদার, আপনি ঠিকই বলেছেন। আপনাদের কথাও আমাদের শুনতে হবে এবং আমরা শুনছিও। মুক্তার কথা তো আপনাদেরই অনুষ্ঠান। আপনাকে ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
রাজশাহী জেলার মোঃ উজজল হোসেন তার চিঠিতে লিখেছেন, সুপ্রিয় মুকতা আপু প্রত্রের শুরুতে আমার প্রাণ ভরা ভালবাসা, প্রীতি ও শুভেচছা রইল। আশা করি আললাহর রহমতে আপনি বেশ ভাল ও সুস্থ আছেন। CRIএর বাংলা ভাষার অনুষঠানের আলোচনা ও কথপোকথন আমার কাছে খুব ভাল লাগে। যতদিন যায় ততদিন আরো ভালবাসি CRIকে ভালো বাসি আমার প্রিয় উপস্থাপকদেরকে। আমার দুটি প্রশ্ন ১. নূন্যতম কত বছর বয়সে চীনের ছাত্র-ছাত্রীরা স্কুলে যাওয়া শুরু করে?; ২. চীনের ছাত্র-ছাত্রীরা শিক্ষাভাতা পায় কী?
আচ্ছা, মোঃ উজ্জল হোসেন, আপনাকে চিঠি লেখার জন্য ধন্যবাদ জানাই। এখন আমি আপনার প্রশ্নের জবাব দিচ্ছি। চীনা শিশু ছয় বছর বয়স থেকে প্রাথমিক স্কুলে যায়। চীনে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুলে ছাত্রছাত্রীদের ভাতা নেই। তবে চীনে প্রাথমিক শিক্ষা অবৈতনিক। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে বৃত্তির ব্যবস্থা আছে। এ ছাড়াও বিশেষ করে দরিদ্র ছাত্রছাত্রীদেরকে ভাতা প্রদান করা হয়। চীনে বিদেশি ছাত্রছাত্রীদেরকে ভাতা প্রদান করার নিয়মও রয়েছে। আপনাকে প্রশ্ন করার জন্য ধন্যবাদ জানাই।
প্রিয় শ্রোতা, এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য আপনাদের সবাইকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ। যদি আপনারা আমাদের অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে কিছুটা হলেও আনন্দ পেয়ে থাকেন, তাহলে মনে করবো আমাদের পরিশ্রম সার্থক হয়েছে। আপনাদের জন্যই আমাদের সকল প্রচেষ্টা ও আয়োজন। আপনারা সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন এবং শুনতে থাকুন চীন আন্তর্জাতিক বেতারের বাংলা অনুষ্ঠান। আমাদের সঙ্গে থাকুন, আমাদের অনুষ্ঠান শুনুন আর আপনার যে-কোনো মতামত বা প্রশ্ন পাঠিয়ে দিন চিঠি বা ই-মেইলের মাধ্যমে। আমাদের ই-মেইল ঠিকানা হচ্ছে ben@cri.com.cn এবং আমার নিজস্ব ইমেইল ঠিকানা হল caiyue@cri.com.cn। 'মুক্তার কথা' অনুষ্ঠান সম্পর্কিত ইমেইল আমার নিজস্ব ইমেইল ঠিকানায় পাঠালে ভালো হয়। আজ তাহলে এ পর্যন্তই। আশা করি, আগামী সপ্তাহের একই দিনে, একই সময়ে আবার আপনাদের সঙ্গে কথা হবে। ততোক্ষণ সবাই ভালো থাকুন, আনন্দে থাকুন। (ছাই/আলিম)