পাকিস্তানের জাতীয় টিভি স্টেশনের জনপ্রিয় উপস্থাপক ও আন্তর্জাতিক ইস্যু বিষয়ক বিশ্লেষক সুলতান হালি বলেছেন, চীন এখন একটি শক্তি দেশ। এ দেশ দিন দিন আরো শক্তিশালী হয়ে উঠছে। চীনের উন্নয়ন এশিয়ার উন্নয়নের ওপর বিশাল প্রভাব ফেলতে সক্ষম। তাই চীনের প্রতিটি আচরণ বহির্বিশ্বের উচ্চ পর্যায়ের দৃষ্টি আকষর্ণ করতে পারে।
চীনের প্রধানমন্ত্রী লি খ্য ছিয়াংয়ের সরকারি কার্যবিবরণী প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এই কার্যবিবরণীতে ২০১৫ সালে চীনের অর্থনীতির বার্ষিক প্রবৃদ্ধির প্রত্যাশিত লক্ষ্য ২০১৪ সালের ৭.৪ শতাংশ থেকে ৭ শতাংশে কমিয়ে আনা হয়েছে। তাই অনেক আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক ও অর্থনীতিবিদ উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। তাঁরা মনে করেন, চীনের অর্থনীতিতে প্রবৃদ্ধি বজায় রাখতে না পারলে গোটা এশিয়া তথা গোটা বিশ্বের অর্থনীতির উন্নয়ন প্রভাবিত হতে পারে।
এমন ধরনের উদ্বেগ প্রসঙ্গে সুলতান বলেন, প্রধানমন্ত্রী লি আগে বলেছেন, কেবল অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির পরিমাণের ওপর গুরুত্বারোপ করবে চীন। এখন অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির গুণগত মানের ওপরও গুরুত্বারোপ করা হচ্ছে।
সুলতান আরো বলেন, পাকিস্তানের সরকার ও জনগণ চীনের দুটি অধিবেশনে উত্থাপিত দুর্নীতি দমন ইস্যুর ওপর দৃষ্টি রাখছে। কারণ পাকিস্তানেও দুর্নীতি রয়েছে। দুর্নীতি দমনের ক্ষেত্রে পাকিস্তান চীনের কাছ থেকে শিখতে চায়।
তিনি বলেন, দুর্নীতি সমাজের উন্নয়নে বাধা সৃষ্টি করে। দুর্নীতি প্রতিরোধ করতে না পারলে দেশ পরিচালনা কার্যক্রম অচল হয়ে পরবে। দুর্নীতি দমন প্রসঙ্গে চীন সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি খুবই কঠোর। এ ক্ষেত্রে যে কোনো দেশকে চীনের কাছ থেকে শিখতে হবে।
(লিলি/মান্না)