

20150212ruby
|
সব সময় ভালোবাসের কথা বলার চেষ্টা করা উচিত
যখন প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে, তখন পুরুষরা তার প্রেমিকাকে পরিবারের সদস্যের মতো মনে করেন। তারা অবশ্যই প্রেমিকাকে ভালোবাসেন, কিন্তু ভালোবাসার সে কথাটাই বলেন না। এদিকে নারী সব সময় তার প্রেমিকের কাছে নিজের অবস্থা জানতে চায়। তার প্রেমিক তাকে কতোটা ভালোবাসে, সে কথা শুনতে চায়। তারা তাদের প্রেমিকের মুখ থেকে ভালোবাসা ও মিষ্টি কথা শুনতে পছন্দ করে। তাই প্রেমের এ স্পর্শকাতর সম্পর্ক যেনো বিপদে না পড়ে, সে বিষয়টি বিবেচনা করা উচিত।
প্রেমিকাকে সবসময় অন্য নারীর সঙ্গে তুলনা বা তার কাছে অন্য নারীর প্রশংসা করা ঠিক নয়। ভালোবাসা খুব বিশেষ একটি জিনিস। এটা কোনো প্রতিযোগিতা নয়। সেজন্য কারো সঙ্গে কারো অনুভূতির বা বৈশিষ্ট্যের তুলনা করা ঠিক নয়। নারীরা এটাকে একদমই পছন্দ করেন না। এর আরেকটি দিক হলো সব সময় প্রেমিকার কাছে অন্য নারীর নাম বলা বা অন্য নারীর প্রশংসা করা একদম ভুল। অন্য নারীর প্রশংসায় ঈর্ষান্বিত হয় না, এমন মেয়ে নেই। সেজন্য যখন এক নারীর কাছে অন্য নারীর প্রশংসায় সে বিরক্ত হলে, সে সম্পর্কে কিছু না বলাই ভালো। নইলে সম্পর্ক নিয়ে টানাপড়েন তৈরি হতে পারে।
প্রেমিকার ত্রুটিকে প্রশংসায় পরিণত করা চেষ্টা করা
বন্ধুরা এ পৃথিবী ত্রুটিমুক্ত কোনো মানুষ কি আছে ? নেই। তাইর আপনার প্রিয় মানুষটিও ত্রুটিমুক্ত নয়। তাই আপনি যাকে ভালোবাসছেন তার ক্রুটির জন্য দোষারোপ না করে, তার পরিবর্তনের চেষ্টা করুন। তাকে আপন করে নিন। মনে রাখবেন, আপনি ভালো ও মন্দ মিলিয়েই তাকে ভালোবাসছেন। সেজন্য প্রেমের সম্পর্ককে আরও উন্নত করার জন্য প্রেমিকার ত্রুটিকে প্রশংসায় পরিণত করতে চেষ্টা করুন। একে অপরের প্রশংসাই একটি প্রেমময় মিষ্টি সম্পর্কের বজায় রাখার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
মাঝেমধ্যে উপহার বিনিময় করা সম্পর্ক রক্ষার জন্য খুবই কার্যকরী।
উপহার সবাই পছন্দ করে। আর মেয়েরা তা খুবই পছন্দ করে। জন্মগতভাবে সব মানুষই উপহার পেতে পছন্দ করে। বিভিন্ন উল্লেখযোগ্য দিনে, বিভিন্ন স্মৃতির স্মরণে আপনার প্রেমিকাকে উপহার দিন। দেখুন, তারা কতো আনন্দিত হয়ে ওঠে।
প্রেমিকার একাকীত্ববোধ দূর করার চেষ্টা করুন
নারীরা মাঝেমধ্যেই একাকীত্বে ভোগেন এবং বিষণ্ণ হয়ে পড়েন। এ অনুভূতিটা তাদের শারীরিক গঠন, পরিবর্তনের সঙ্গে সংম্পৃক্ত। তাই সে দিকে পুরুষদের খেয়াল রাখা উচিত। আপনার ভূমিকা যতটুকো প্রেমিকার একাকীত্ববোধ দূর করতে পারে, ততোই তা উপকারী। কিন্তু একাকীত্ববোধ দূর করা মানে নারীর পাশে দাঁড়িয়ে থাকা নয়। তাকে মানসিকভাবে শক্তি ও সাহস দেয়াটাই হলো তার প্রকৃত সঙ্গী হওয়ার প্রমাণ।
বন্ধু ও বান্ধবীদের প্রাধান্য না দেয়া
অনেক পুরুষ তার স্ত্রী অথবা প্রেমিকার চেয়ে অন্য বন্ধুদের বেশি প্রাধান্য দেয়। যা নারীরা একদম পছন্দ করতে পারে না। এরকম দীর্ঘদিন চলতে থাকলে তা সম্পর্ক রক্ষার জন্য কঠিন হয়ে পড়বে। তাই সবসময় খেলায় রাখতে হবে, আপনি অন্য বন্ধু ও বান্ধবীকে যে গুরুত্ব দিচ্ছেন, তাতে আপনার প্রেমিকা কষ্ট পাচ্ছে কিনা। অবশ্যই সে আপনার বেশি আকর্ষণ পাওয়ার দাবিদার। প্রেমিকাকে ছাড়া বন্ধু, বিশেষ করে বান্ধবীর সঙ্গে খাওয়া-দাওয়া করতে যাওয়ার যৌক্তিক কারণ অবশ্যই প্রেমিকার কাছে ব্যাখ্যা করা উচিত।
বেশিরভাগ পুরুষ নিজেকে খুব শক্ত মনে করেন। সেজন্য তারা প্রেমিকার সামনে কষ্টকর কথা বলতে চায় না। কোনো সমস্যা থাকলেও তা মন খুলে বলেন না। কিন্তু এর কারণে খারাপ মুডে থাকা পুরুষকে সন্দেহের দৃষ্টিতে দেখে নারীরা। তারা পাগলের মতো নানা বিষয় নিয়ে দুশ্চিন্তা করে, যেমন, তারা চিন্তা করে সে কি আমাকে আর ভালোবাসে না, অন্য কাউকে পছন্দ করে? সে কি চাকরিচ্যুত হয়েছে? এর ফলে তৈরি হয় দু'জনের ভুল বোঝাবুঝি। সেজন্য পুরুষদের উচিত যে কোনো কষ্টকর ও কঠিন কথা অকপটে তার সঙ্গীর কাছে বলা। তখন আপনি টের পাবেন যে, নারীরা মাঝে মধ্যে আপনাদের ধারণার চেয়েও অনেক শক্তিশালী।




