Web bengali.cri.cn   
তৃণভূমি গান
  2015-01-12 18:48:52  cri

 


প্রিয় বন্ধুরা, আপনারা শুনছেন চীন আন্তর্জাতিক বেতারের বাংলা অনুষ্ঠান। সবাই ভাল আছেন তো? আশা করি আপনারা সুস্থ আছেন ও আনন্দে দিন কাটাচ্ছেন। শুরু করছি আজকের সঙ্গীতানুষ্ঠান 'সুরের ধারায়'। সঙ্গে আছি আমি শুয়েই ফেইফেই শিখা। চলুন, আপনাদের নিয়ে প্রবেশ করি নতুন ও সুন্দর এক সঙ্গীতের ভুবনে। কী, যাবেন তো আমার সঙ্গে? হ্যাঁ, আমি জানি, যতক্ষণ 'সুরের ধারায়' আমি আছি, ততক্ষণ আপনারাও আমার সঙ্গেই থাকবেন।

প্রিয় শ্রোতা, পেইচিংয়ের আবহাওয়া এখন অনেক ঠান্ডা। গাছের পাতা হলুদ হয়ে মাটিতে ঝড়ে পড়ছে। ঘাসগুলোও যেন হঠাত্ করেই এক রাতের মধ্যে শুকিয়ে গেছে। হ্যাঁ, ছাই রং হল শীতকালের পেইচিং-এর রং। এমন ঋতুতে আমি কিন্তু এক জায়গার দৃশ্যকে অনেক মনে করি। তা হল চীনের অন্তর্মঙ্গলিয়ার তৃণভূমির দৃশ্য। শ্রোতারা, আপনাদের কেউই হয়তো সেখানে কখনই যাননি। চলুন আজকে আমি আপনাদেরকে এমন কয়েকটি সুন্দর গান শোনাবো, যেসব গানে সেখানকার দৃশ্য বর্ণনা করা হয়েছে।

প্রথমে শুনুন 'মোয়ালো পাখি' নামের একটি গান। গানটি গেয়েছেন অন্তর্মঙ্গোলিয়ার কন্ঠশিল্পী হুসিলাং। গানের কথাগুলো এমন: আকাশে মোয়ালো পাখি লাইন ধরে চলে, নদীর পানি পরিস্কার, শরতের ঘাস হলুদ, তৃণভূমির বাদ্যযন্ত্রের শব্দ কতো দুঃখের।

আকাশের মোয়ালো পাখি দক্ষিণে যাচ্ছে। আকাশ এত বড়, মোয়ালো পাখি, তোমার মনের ঠিকানা কোথায়? আকাশের মোয়ালো পাখি, আমার অনুভূতি সঙ্গে নিয়ে যাও; গান দূরে যাচ্ছে, মদ ফুরিয়ে যাচ্ছে, তৃণভূমিতে ঘনিয়ে আসছে বসন্ত।

প্রিয় শ্রোতা, এখন শুনুন পাখি সম্পর্কিত আরেকটি অন্তর্মঙ্গলিয়ার বৈশিষ্ট্যময় গান। গানের নাম 'অতিথি পাখি', গেয়েছে সঙ্গিত ব্যান্ড আরকুনা। মঙ্গোলিয়ার নদী 'আরকুনা' থেকে এ ব্যান্ডের নাম নেওয়া হয়েছে। গানের কথাগুলো এমন: আকাশ হল তোমার খেলার জায়গা, নলখাগড়া হল তোমার বিশ্রাম নেওয়ার স্বর্গ। অতিথি পাখি আমাদের তৃণভূমিতে উড়ছে, ওদের গায়ের পালক ঝিক ঝিক করে। চোখের ভুরুর মত চাঁদের নিচে ওড়ে, সন্ধ্যার লাল মেঘের নিচে ওড়ে। অতিথি পাখি এ তৃণভূমিতে গান গাচ্ছে, মাতৃভূমি ত্যাগ করে যাচ্ছে দূরে কোথাও। ও প্রিয়, আমার প্রিয় মেয়ে, তুমিও গান গাও, অতিথি পাখি তৃণভূমিতে ফিরে আসা পর্যন্ত গান গাও।

প্রিয় শ্রোতা, এখন শুনুন "দিগন্ত" নামে একটি সুন্দর গান। গানের কথা এমন: দিগন্তে এক জোড়া তারা আছে, তা হল আমার স্বপ্নের চোখ। পাহাড়ে ঘন কুয়াসা আছে, তা হল গত রাতে তোমার মিষ্টি অনুভূতি। আমি পাহাড়ের উপরে উঠতে চাই, কুয়াসায় সেই সুন্দর অবয়ব খুঁজবো বলে। আমি ঘোড়ার পিঠে চড়তে চাই, দূরের তারাকে ধরবো বলে।

আচ্ছা, এখন শুনুন খুব সুন্দর এই গানটি। গেয়েছেন অন্তর্মঙ্গোলিয়ার বিখ্যাত কন্ঠশিল্পী বুরেনবায়াল। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, তিনি আমাদের বেতারের মঙ্গোলিয়া বিভাগের কর্মী ছিলেন। এখন তিনি সঙ্গীত জগতের নতুন তারকা এবং অনেক জনপ্রিয়।

প্রিয় শ্রোতা, এখন আপনাদেরকে শোনাবো দু'টি মঙ্গলীয় ভাষার গান। গান দুটোই গেয়েছেন কন্ঠশিল্পী হালিন। প্রথম গানের নাম 'গ্রীষ্মকালের তৃণভূমির রংধনু'। হ্যাঁ, বন্ধুরা, কল্পনা করুন, দিগন্ত বিস্তৃত ঐ গৌধূলী লগ্ন তাকিয়ে আছে আপনার দিকে। সীমাহীন আকাশের প্রান্তরে যেন ছুটে চলেছে ভালবাসার গান। সবুজ, সতেজ আর প্রাণচঞ্চল বাতাস তৃণভূমির মধ্যে তৈরি করেছে আবেগময় পরিবেশ। ঘোড়া ও মেষপাল তৃণভূমির রংধনুর নিচে ঘাস খাচ্ছে। কত সুন্দর দৃশ্য! আচ্ছা, তাহলে এখন শুনুন গানটি।

প্রিয় শ্রোতা, এখন আপনাদের শোনাবো হালিনের গাওয়া দ্বিতীয় গানটি। গানের নাম 'মঙ্গোলিয়ার ঘোড়া'। হ্যাঁ, মঙ্গোলিয়া জাতিকে বলা হয় 'ঘোড়ার পিঠে জাতি'। এ জাতির মানুষ যেন জন্ম থেকেই ঘোড়ায় চড়তে পারে। ঘোড়া তাদের বন্ধু, ঘোড়া তাদের পরিবারের সদস্য। ঘোড়ার প্রতি মঙ্গোলীয় জাতির বিশেষ ভালোবাসা আছে। এখন শুনুন গানটি।

প্রিয় শ্রোতা, এখন শুনুন আরেকটি সুন্দর গান, গানের নাম "তৃণভূমির বাতাস"। গেয়েছেন কন্ঠশিল্পী হুসিলাং। প্রিয় শ্রোতা, তৃণভূমির বাতাস আপনার কল্পনায় কেমন? আমার কাছে তা ঘাসের হাল্কা সুগন্ধযুক্ত। এ গন্ধের মধ্যে আরো আছে তৃণভূমির অজানা হরেক রকমের ছোট রঙিন ফুলের গন্ধ। এ গন্ধের মাঝে তৃণভূমির ঘাসে শুয়ে থাকলে মনে হয় যেন স্বর্গে আছি। আচ্ছা শুনুন গানটি।

প্রিয় শ্রোতা, অনুষ্ঠানের শেষ প্রান্তে এসে আপনাদের শোনাবো "তৃণভূমি সবুজ হচ্ছে" গানটি। হ্যাঁ, এখন শীতকাল। তবে চীনে এমন একটি কথা আছে: শীতকাল এসেছে, তার মানে বসন্ত খুব দূরে নয়।

চলুন গানটি শুনি।

(শুয়েই/আলিম)

সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদন
মন্তব্য
Play
Stop
ওয়েবরেডিও
বিশেষ আয়োজন
অনলাইন জরিপ
লিঙ্ক
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved.
16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040