1018muktarkotha
|
আ: এবং আমি আলিমুল হক। আজকের প্রথম চিঠি লিখেছেন বাংলাদেশের ঢাকার সিআরআই কনফুসিয়াস লিস্যানার্স ক্লাবের প্রেসিডেন্ট সৈয়দ আসিফুল ইসলাম। তিনি লিখেছেন: নি হাও মা? কেমন আছো মুক্তা আপু এবং আলিম ভাই? আশা করি আমার প্রিয় স্বপ্নের দেশে অনেক সুস্থ্, সুন্দর এবং বেশ ভালো আছো। আমি চীন আন্তর্জাতিক বেতারের একজন নিয়মিত শ্রোতা এবং তোমাদের একজন প্রিয় বন্ধু। আমি গণিত বিষয়ে অনার্স কোর্সে পড়াশুনা করছি, তাই সময়ের অভাবে তোমাদের তেমন বেশী করে চিঠি বা ইমেইল করতে পারছি না। কিন্তু তাতে কী হয়েছে? প্রতিদিন সিআরআই বাংলা অনুষ্ঠান শুনতে কিন্তু একটুও ভুল করি না। এই অনুষ্ঠান শোনাটা যেন আমার প্রতিদিনের একটি রুটিনে পরিণত হয়েছে। মুক্তা আপু, তোমার উপস্থাপনায় "মুক্তার কথা"অনুষ্ঠানটি আমার অনেক পছন্দের। এতো চমত্কার সাবলীল মিষ্টি মধুর কণ্ঠে বাংলা ভাষা যখন তোমার এবং তোমাদের চীনা সহকর্মীদের সকলের মুখে শুনতে পাই তখন আমার ভীষণ ভালো লাগে এবং মাঝে মাঝে আমার মন ঈর্ষান্বিত হয়। কারণ, কীভাবে এতো সুন্দর করে তোমরা বাংলায় কথা বলতে পারো? তোমাদের বাংলা ভাষা শিক্ষার অভিজ্ঞতা কি আমাদের জানাবে? তাহলে আমরাও তোমাদের চীনা ভাষা শিখতে উত্সাহিত হতাম এবং সেই কৌশল ব্যবহার করে আমরাও তোমাদের মতো সুন্দর করে চীনা ভাষায় কথা বলতে পারতাম। আমি একটি বিষয় খেয়াল করেছি যে, শ্রোতাদের চিঠির জবাব তুমি অত্যন্ত গুছিয়ে ও সুন্দর বাংলায় দাও। এ থেকে বোঝা যায়, তুমি বাংলায় খুব ভালো। যাই হোক, আমার জন্যে দুয়া করবে যাতে করে আমি একদিন তোমাদের সিআরআইয়ের সকলের সাথে চীনা ভাষায় কথা বলতে পারি।
মু: সৈয়দ আসিফুল ইসলাম, আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। আমরা বাংলা ভাষা শিখেছি পেইচিংয়ে অবস্থিত চীন যোগাযোগ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। সেখানে আমি ও আমার সহকর্মীদের প্রায় সবাই বাংলায় পড়াশোনা করেছি। আসলে, আমরা শুধু যে কয়েক বছর বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা শিখেছি তা নয়, চীন আন্তর্জাতিক বেতারে কাজ করার সময়ও বাংলাদেশের বিশেষজ্ঞদের কাছে আমরা বাংলা শিখেছি এবং এখনো শিখছি। আপনি চীনা ভাষা শিখতে চাইলে অবশ্যই পারবেন। আপনি আপাতত ঢাকায় অবস্থিত সিআরআই কনফুসিয়াস ক্লাশরুমে চীনা ভাষা শিখতে পারেন এবং ভবিষ্যতে চীনা ভাষার ওপর উচ্চতর পড়াশোনার জন্য চীনে আসতে পারেন। আপনার জন্য রইল আমাদের অনেক অনেক শুভ কামনা। ভালো থাকবেন।
আ: বাংলাদেশের কুমিল্লা জেলার আন্তর্জাতিক বাঁধন বেতার শ্রোতা সংঘের সভাপতি মোঃ সোহাগ বেপারী তার চিঠিতে লিখেছেন: আমি আপনাদের নিয়মিত ও পুরানো শ্রোতা। আজ মনে পড়ে ফেলে আসা দিনগুলোর কথা। সেই ২০০০ সালে চীন আন্তর্জাতিক বেতার শোনা শুরু করি, লিখতে শুরু করি চিঠি। মনের আয়নায় ভেসে ওঠে কত ঘটনা, কত কথা, কত স্মৃতি। মাঝে মাঝে জীবনের পিছনে ফিরে তাকাই। মনে পড়ে চীন আন্তর্জাতিক বেতারকে ঘিরে অনেক স্মৃতি। চোখের পর্দায় ভেসে ওঠে আপনাদের ছবি। কখনো অভিযোগ করেছি, কখনো অনুরোধ করেছি, কখনো অনুষ্ঠান শুনে ভাল লাগার কথা জানিয়েছি, আবার কখনো চিঠির জবাব না-পেয়ে হতাশ হয়ে দুঃখ ভরা হৃদয় নিয়ে আবারও চিঠি লিখেছি। আজ সবই স্মৃতি। দুঃখের কথাগুলি ভুলে সুখের কথাগুলি হৃদয়ে জমিয়ে রেখেছি। তাই আমার প্রিয় ডাকাতিয়া নদীর পাড়ে নীল আকাশটার দিকে তাকিয়ে হৃদয়ের দরজা খুলে চীন আন্তর্জাতিক বেতারের কথা আর আপনাদের কথা ভাবি। সত্যি দিনগুলো চলে গেলো কিন্তু স্মৃতিগুলো ঠিক রয়ে গেলো। আমার মনের ডায়রিতে চীন আন্তর্জাতিক বেতারের কথা সব সময় বেঁচে থাকবে যতদিন আমি বেঁচে থাকি। আমার এই জীবন চলার পথে চীন আন্তর্জাতিক বেতারকে সঙ্গী হিসাবে পেয়ে আমি ধন্য। প্রিয় চীন আন্তর্জাতিক বেতার, জীবন চলার পথে যদি কখনো কাল বৈশাখি ঝড় আসে, হাত বাড়িয়ে দেখো বন্ধু হয়ে আছি আমি তোমার পাশে। আল্লাহর কাছে আপনাদের সুস্বাস্থ্য কামনা করি। আল্লাহ হাফেজ।
মু: ভাই সোহাগ বেপারি, আপনার আবেগঘন চিঠি পড়ে ভালো লাগলো। শ্রোতাদের ভালোবাসাই আমাদের পাথেয়। আপনাদের ভালোবাসাই সামনের দিকে এগিয়ে যেতে উত্সাহিত করে। আপনার মতো বন্ধু পেয়ে আমরাও নিজেদের ধন্য মনে করি। আমরা জানি, আমাদের অনেক শ্রোতাই আপনার মতোই সিআরআইকে ভালোবাসে, সিআরআইয়ের অনুষ্ঠান পছন্দ করে। কিন্তু অনেকে গুছিয়ে তাদের মনের কথা লিখতে পারে না। আমরা কিন্তু তাদের কথাও মনে রাখি। আমরা আমাদের সকল শ্রোতার প্রতি এই সুযোগে আরো একবার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে চাই, প্রকাশ করতে চাই তাদের প্রতি আমাদের অকৃত্রিম ভালোবাসা। আর আপনাকে বিশেষ করে ধন্যবাদ জানাই সুন্দর চিঠির জন্য। আশা করি নিয়মিত লিখবেন।
আ: কিশোরগঞ্জ জেলার বাংলাদেশ ডিএক্সার এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট এম.এইচ.মামুন রশীদ তার চিঠিতে লিখেছেন, সুপ্রিয় আলিম ভাইয়া ও মুক্তা আপু, লাল গোলাপ শুভেচ্ছা। সেই সাথে হৃদয় নিংড়ানো ভালবাসা। আমি আপনাদের প্রতিটা অনুষ্ঠান বেশ মনোযোগ দিয়ে শুনছি। বেশ ভাল লাগছে। বিশেষ করে এশিয়া টুডে, কনফুসিয়াস ক্লাসরুম, মুক্তার কথা, সুরের ধারায়, লাভ-ক্ষতি, দৃষ্টির সীমানায়, খোলামেলা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি, পূবের জানালা, চলুন বেড়িয়ে আসি, হাল শৈলী, আলো ছায়া অন্যতম। প্রতিদিন ৩ ঘন্টার অনুষ্ঠান অসাধারণ ভাল লাগছে। পৃথিবীর সব বেতার যেখানে মিডিয়াম ওয়েব, শর্টওয়েব, এমন কি এফ এম অনুষ্ঠান বন্ধ করে দিচ্ছে, সেখানে সিআরআই যেন নতুন করে যাত্রা শুরু করেছে। একজন শ্রোতা ইচ্ছে করলেই মিডিয়াম ওয়েব, শর্টওয়েব, এফ এম অথবা ইন্টারনেটের মাধ্যমে আপনাদের অনুষ্ঠান শুনে নিতে পারবেন। আজ একথা সত্যি প্রমাণিত হলো যে, পৃথিবীর অন্যতম শ্রোতানন্দিত বেতার সিআরআই।
মু: এম.এইচ.মামুন রশীদ আমাদের একজন পুরোন বন্ধু। নিয়মিত আমাদের চিঠি লেখার জন্য ধন্যবাদ জানাই। আশা করি, আপনি আরো বেশি গঠনমূলক মতামত দেবেন আমাদেরকে। হ্যা, ভাই আমরা আমাদের শ্রোতাদের কথা চিন্তা করেই অনুষ্ঠানের মান ও কলেবর বাড়ানোর চেষ্টা করেছি। আমাদের এই চেষ্টা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে। আপনাদের সহযোগিতাই আমাদের চলার পথের পাথেয়।
আ: বাংলাদেশের যশোর জেলার সুর-সংলাপ রেডিও ক্লাবের সম্পাদক মোঃ মুজিবুল হক তার ইমেলে লিখেছেন, সি আর আই বাংলা বিভাগ শুধু একটি প্রচারমাধ্যমই নয়, সি আর আই বাংলা বিভাগ শ্রোতাদের ব্যক্তি ও সমাজ জীবনের এগিয়ে চলার প্রেরণা, নৈতিক মূল্যবোধের উজ্জ্বল এক বাতিঘরও বটে৷ আমাদের প্রেম, ভালবাসা, সুখ, দুঃখ, বিরহ, দ্রোহ ও শান্তিতে সি আর আই বাংলা বিভাগ আমাদের পাশে থাকে সবর্দা অভিভাবকের মত৷ বতর্মানে সি আর আই বাংলা বিভাগ থেকে প্রচারিত প্রতিটি অনুষ্ঠানই খুবই সুন্দর হচ্ছে। অনুষ্ঠানগুলোর মধ্যে চলুন বেড়িয়ে আসি, দৃষ্টির সীমানায়, পূবের জানালা, মুক্তার কথা অন্যতম। শিশু থেকে বৃদ্ধ বয়সের সকল শ্রোতার কাছে বাংলায় গল্প বাংলার গল্প খুবই প্রিয়। বাংলা বিভাগের কর্মকর্তাদের নিরলস প্রচেষ্টা সি আর আই বাংলা বিভাগকে করেছে মহিমান্বিত৷ আমাদের ক্লাবের শ্রোতা জরিপের ফল অনুসারেও সবচে জনপ্রিয় বিদেশি বাংলা বেতার হচ্ছে সিআরআই। সিআরআই বাংলা বিভাগের আরো সাফল্য কামনা করি।
মু: বন্ধু মোঃ মুজিবুল হক, আপনার ক্লাব শ্রোতা জরিপ করেছে জেনে খুশি হলাম। আরো ভালো লাগছে এ কথা জেনে যে, বিদেশি বাংলা বেতারগুলোর মধ্যে সিআরআই প্রথম স্থানে আছে। আসলে, আপনাদের ভালোবাসার কারণেই এমনটা হতে পেরেছে। কে না জানে যে, একটি বেতার তখনই উন্নতি করতে পারে যখন তার শ্রোতারা তাকে ভালোবাসে, উত্সাহ যোগায়। আমাদের শ্রোতারা এ কাজটি নিয়মিত করে যাচ্ছেন। আমরা মনে করি, আমাদের সাফল্য আসলে শ্রোতাদের মানে আপনাদেরই সাফল্য। আপনাদেরকে ধন্যবাদ। আশা করি আপনারা এভাবেই আমাদের পাশে থাকবেন।
আ: বাংলাদেশের নওগাঁ জেলার সোর্স অফ নলেজ ক্লাবের সভাপতি খোন্দকার রফিকুল ইসলাম তার ইমেলে লিখেছেন, মুক্তা আপু, আমার সালাম নিবেন। আশা করি, আপনিসহ বাংলা বিভাগের সকলে কুশলে আছেন। এখানে আমিসহ আমার শ্রোতা ক্লাবের সবাই ভাল আছি, সুস্থ আছি। নিয়মিত আপনাদের বাংলা অনুষ্ঠান শুনছি এবং বাংলা ওয়েব পেইজ প্রতিদিন বার কয়েক ভিজিট করে থাকি। বলতে পারেন, বাংলা ওয়েব পেইজ আমার প্রতিদিনের জ্ঞানের রসদ সরবরাহ করে থাকে। সময় ও কলেবর বৃদ্ধির সাথে সাথে বাংলা অনুষ্ঠানগুলোর গ্রহণযোগ্যতা বেড়েছে, মানও বেড়েছে। আপু, বাংলা অনুষ্ঠানমালা বিষয়ে আরো অনেক কথা বলতে চাই। এই সীমিত পরিসরে তা লিখে জানানো সম্ভব নহে। আপু, আমার মোবাইলে রিং দিলে, আশা রাখি তখন বিস্তারিত জানাতে পারবো। আপু আপনি যে-কোনদিন যে-কোন সময়ে আমাকে ফোন করতে পারেন। অপেক্ষায় থাকলাম।
মু: খোন্দকার রফিকুল ইসলাম, আপানার ফোন নম্বর পেয়েছি। আপনাকে ধন্যবাদ। আমি সময় ও সুযোগ পেলে অবশ্যই আপনাকে ফোন করবো। আপনি আমাদের মোবাইল কনফারেন্সেও অংশগ্রহণ করতে পারেন। মোবাইল কনফারেন্সে আমাদের শ্রোতাদের অনেকেই ইতোমধ্যে বিস্তারিতভাবে নিজেদের মত প্রকাশ করেছেন। আপনাকেও আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। আমাদের ঢাকার মনিটর দিদারুল ইকবাল প্রায়ই মোবাইল কনফারেন্সের আয়োজন করে থাকেন। আপনি তার সঙ্গেও যোগাযোগ করতে পারেন। আপনাকে আবারো ধন্যবাদ।
আ: রাজশাহী জেলার মোঃ উজজল হোসেন তার ইমেলে লিখেছেন, CRI এর বাংলা অনুষ্ঠান আমার কাছে ভাল লাগার কারণ, প্রতিটি অনুষ্ঠানই মনোরম, আনন্দদায়ক ও তথ্যনির্ভর। আমার কাছে খুব ভাল লেগে। আমার একটি প্রশ্ন আছে। প্রশ্নটি হচ্ছে: চীনে শিক্ষা কি বাধ্যতামূলক? হলে তা কোন শ্রেণি পর্যন্ত? আশা করি জানাবেন। সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করছি।
মু: বন্ধু মোঃ উজজল হোসেন, আপনাকে চিঠি লেখা এবং প্রশ্ন করার জন্য ধন্যবাদ জানাই। এখন আমি আপনার প্রশ্নের জবাব দিচ্ছি। চীনে নবম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করা বাধ্যতামূলক। তার মানে চীনের প্রতিটি নাগরিককে অন্তত নবম শ্রেণি পর্যন্ত বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতে হয়। আপনাকে প্রশ্ন করার জন্য আবারো ধন্যবাদ। আশা করি অন্যান্য শ্রোতারাও চীন সম্পর্কিত বিভিন্ন প্রশ্ন পাঠাবেন।
আ: ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার ইন্টারন্যাশনাল মিতালি লিসনার্স ক্লাবের মহ: হাফিজুর রহমান তার চিঠিতে লিখেছেন, আন্তরিক সালাম, শুভেচ্ছা ও ভালবাসা গ্রহণ করবেন, আশা করি ভালো আছেন। আপনাদের দোয়ায় আমরা সবাই ভালো আছি আর চীন আন্তর্জাতিক বেতারের অনুষ্ঠান শুনছি নিয়মিতভাবে। সেইসাথে নিয়মিত আপনাদের ওয়েব সাইট ভিজিট করছি। প্রতিটি অনুষ্ঠান ভীষণ ভালো লাগছে। চীন আন্তর্জাতিক বেতার থেকে প্রচারিত চীনের সংবাদ ও প্রতিবেদন এবং বিশ্ব সংবাদ ও প্রতিবেদন অত্যন্ত বস্তুনিষ্ঠ ও তরতাজা। চীন ও বিশ্ব পরিস্থিতি সমন্ধে সবকিছু সুন্দরভাবে জানতে পারি। চীন আমার স্বপ্নের দেশ। এই দেশের শিক্ষা, সংস্কৃতি, সমাজ বৈচিত্র্য, রাজনীতি, অর্থনীতি ইত্যাদি সবকিছুই আমাকে দারুণভাবে আকৃষ্ট করে। জানার এই চাহিদা পূরণে প্রতিনিয়ত আমাকে সাহায্য করে চলেছে চীন আন্তর্জাতিক বেতারের বাংলাদেশ অনুষ্ঠানগুলো। চীন বেতারের অনুষ্ঠান বর্তমানে নতুন আঙ্গিকে প্রচারিত হচ্ছে। অনুষ্ঠানগুলোর বিষয়বস্তুও খুবই উপভোগ্য ও আকর্ষণীয়। গানগুলি বেশ ভালো লাগছে, তবে খুব বেশি গান প্রচারিত হচ্ছে। এত বেশি গান অনুষ্ঠানের সৌন্দর্য নষ্ট করছে বলে মনে করি। গান একটু কম প্রচার করে যদি এর পরিবর্তে চীনের জনজীবন নিয়ে ধারাবাহিক অনুষ্ঠান প্রচার করেন যাতে চীনের সাধারণ মানুষের জীবন সমন্ধে আলোচনা করা হবে, আর অনুষ্ঠানের নাম দেওয়া হবে ''চীনের জনজীবন'', তাহলে খুব ভালো হয়। এতে আমরা সাধারণ চীনা মানুষের কথা আরো জানতে পারব এবং আমার স্বপ্নের দেশ চীনের সঙ্গে আরো একাত্ম হতে পারব। চীন আন্তর্জাতিক বেতারকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। ভালো থাকবেন।
মু: বন্ধু মহ: হাফিজুর রহমান, আপনাকে আন্তরিক মতামত দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানাই। চীন সম্পর্কে আপনার জানার আগ্রহকে আমরা শ্রদ্ধা করি। আপনি যে প্রস্তাব দিয়েছেন, সেটিও বেশ গ্রহণযোগ্য ও সুন্দর। তবে, চীনের জনজীবনের ওপর আমাদের প্রায় সব অনুষ্ঠানেই তথ্য ও আলোচনা থাকে। অবশ্য এ নামে আমাদের কোনো বিশেষ অনুষ্ঠান নেই। ভবিষ্যতে আপনার পরামর্শ অনুসারে এ নামে একটি বিশেষ অনুষ্ঠান নির্মাণ করা যেতে পারে। আপনাকে আবারো ধন্যবাদ। শ্রোতাদের মতামতকে আমরা শ্রদ্ধা করি ও গুরুত্ব দিয়ে থাকি। আমাদের আরো পরামর্শ পাঠান। আপনাদের পরামর্শ আমাদের কাছে মূলবান। ভালো থাকবেন।
গান
আ: সুপ্রিয় শ্রোতা, আজকের অনুষ্ঠানের শেষ প্রান্তে আমরা আপনাদেরকে একজন নতুন শ্রোতার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেব। তিনি হলেন বাংলাদেশের যশোর জেলার দোয়েল রেডিও লিসেনার্স ক্লাবের জাকির হোসেন জীবন। তিনি তার চিঠিতে লিখেছেন, আমি আপনাদের একজন নতুন শ্রোতা। একবার রেডিওর চাকা ঘুরাতে ঘুরাতে আপনাদের সেন্টার আমার রেডিও অ্যান্টেনায় ধরা পড়ল। কিছুক্ষণ শুনলাম। মনে হলো, আমার কেন আরো আগে এই বেতারের সাথে পরিচয় ঘটলো না?! সেই থেকে শুনছি। যতই শুনছি ততই মজা পাচ্ছি। যাই হোক, এখন থেকে নিয়মিত শুনবো ও মতামত পাঠাবো।
মু: আচ্ছা, বন্ধু জাকির হোসেন জীবন, আপনাকে আমাদের শ্রোতা পরিবারে স্বাগত জানাই। আশা করি, আপনি নিয়মিত আমাদের অনুষ্ঠান শুনবেন, আমাদের চিঠি লিখবেন। ধন্যবাদ।
আ: প্রিয় শ্রোতা, এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য আপনাদের সবাইকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ। যদি আপনারা আমাদের অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে কিছুটা হলেও আনন্দ পেয়ে থাকেন, তাহলে মনে করবো আমাদের পরিশ্রম সার্থক হয়েছে। আপনাদের জন্যই আমাদের সকল প্রচেষ্টা ও আয়োজন। আপনারা সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন এবং শুনতে থাকুন চীন আন্তর্জাতিক বেতারের বাংলা অনুষ্ঠান। আর হ্যাঁ, আমাদের চিঠি লিখতে ভুলবেন না।
মু: আমাদের সঙ্গে থাকুন, আমাদের অনুষ্ঠান শুনুন আর আপনার যে-কোনো মতামত বা প্রশ্ন পাঠিয়ে দিন চিঠি বা ই-মেইলের মাধ্যমে। আমাদের ই-মেইল ঠিকানা হচ্ছে ben@cri.com.cn এবং আমার নিজস্ব ইমেইল ঠিকানা হল caiyue@cri.com.cn। 'মুক্তার কথা' অনুষ্ঠান সম্পর্কিত ইমেইল আমার নিজস্ব ইমেইল ঠিকানায় পাঠালে ভালো হয়। আজ তাহলে এ পর্যন্তই। আশা করি, আগামী সপ্তাহের একই দিনে, একই সময়ে আবার আপনাদের সঙ্গে কথা হবে। ততোক্ষণ সবাই ভালো থাকুন, আনন্দে থাকুন। (ছাই/আলিম)