1218ruby

শীতের শুষ্ক আবহাওয়ায় মাথার ত্বক এবং চুল শুষ্ক হয়ে যায়। এর ফলে চুল পড়ার হার বাড়ে এবং ভেঙ্গে যায়। মাথায় চুল কম থাকলে বা পড়ে যেতে থাকলে তা ভালো দেখায় না। তাই আজকের এ অনুষ্ঠানে আমরা চুল পড়া নিয়ন্ত্রণের পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করবো আমরা।

বিশেষজ্ঞদের মতে প্রতিদিন মাথার চুল পরিষ্কার করা উচিত নয়। দুই দিন পর পর একবার চুল পরিষ্কার করা উচিত। কারণ প্রতিদিন চুল পরিষ্কার করলে আপনার মাথার ত্বক শুষ্ক হয়ে যেতে পারে। এতে মাথায় খুশ্‌কি হওয়া বা চুল পড়ার হার বেড়ে যায়। এতে চুলের অনেক ক্ষতি হয়। তাই প্রতি দুই বা তিন দিন পর একবার চুল পরিষ্কার করা স্বাস্থ্যসম্মত। এক্ষেত্রে প্রথমে শ্যাম্পু দিয়ে ফেনা তৈরি করুন। তারপর পুরো মাথার চুলে ভালোভাবে মাখান। এরপর কিছুক্ষণ এভাবে রাখুন এবং এরপর পরিষ্কার পানি দিয়ে তা ধুয়ে ফেলুন। যদি আপনার চুলে তৈলাক্তভাব বেশি হয়, তাহলে একদিন বা দু'দিন পর পর চুল পরিষ্কার করতে পারেন।

চুলে শ্যাম্পু বা অন্যকোনো উপাদান মাখার পর পরিষ্কার ঠাণ্ডা পানি দিয়ে তা ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন। মাথায় ঢালা পানির তাপমাত্রা বেশি হলে চুল ও মাথার ত্বক বেশি শুষ্ক হয়ে যাবে, যা চুল ঝরে পড়ার হার বাড়িয়ে দিতে পারে। সেজন্য গরম পানি দিয়ে চুল পরিষ্কার করা উচিত নয়। এভাবে আপনি কিছুটা হলেও চুল পড়া নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন।

ঘন চিরুনি দিয়ে ভেজা চুল মসৃণ করা বা আচঁড়ানো উচিত নয়। এ সময় চুলের গোড়া খুব দুর্বল থাকে। তাই এ সময় চুলে বেশি বেশি চিরুনির ব্যবহার করা বা কাপড় দিয়ে চুল ঝাড়া বা ঘষা দেয়া হলে চুলের মারাত্মক ক্ষতি হবে। সেজন্য চুল পরিষ্কারের পর ভাল ভাবে না শুকানো পর্যন্ত চুল আঁচড়ানো বা চুল শুকাতে কাপড় দিয়ে দ্রুত ও জোরে জোরে ঘষা দেবেন না। এটা আপনার চুল পড়া নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করবে। পরিষ্কার শুকনো কাপড় বা তোয়ালে দিয়ে আলতো করে চুল বেঁধে রাখুন, কিছুক্ষণ পর খোলা বাতাসে চুল শুকিয়ে নিতে পারেন। এটা আপনার চুল পড়ার পরিমাণ কমিয়ে আনতে সহায়তা করবে।

ভেজা চুল শুকানোর তুলা বা কটন জাতীয় তোয়ালে বা টি শার্ট দিয়ে চুল বেঁধে রাখুন। শক্ত তোয়ালে দিয়ে চুলে ঘষা দিলে চুলের মারাত্মক ক্ষতি হবে। সেজন্য চুল ধোয়ার পর নরম ও তুলাজাতীয় তোয়ালে দিয়ে চুলের পানি শুকিয়ে নেয়া চুলের স্বাস্থ্যের জন্য ভাল।

অনেকেই হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার করতে অভ্যস্ত। কিন্তু হেয়ার ড্রায়ার চুলের ভীষণ ক্ষতি করে। এটি অনেকে হয়ত জানেন না। হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহারের বিশেষ নিয়ম মেনে তা ব্যবহার করুন যেমন, কিছুটা উষ্ণ বাতাস দিয়ে মাথা শুকাতে পারেন। খেয়াল রাখবেন কিছুটা কম উষ্ণ বাতাস ব্যবহার করুন।

চুল বাঁধার অভ্যাস কমিয়ে ফেলুন। কেননা বেঁধে রাখা চুলের পড়ের যাবার সম্ভাবনা বেশি থাকে। মনে রাখবেন চুলে বেড়া ওঠা বা এ সুস্বাস্থ্যের জন্য খোলামেলা রাখাটাই উত্তম কেননা এটাই চুলের অবাধ আর স্বাভাবিকভাবে বেড়ে ওঠার একমাত্র পথ। একটি চাড়া গাছকে সব সময়ে শক্ত কিছু দিয়ে ঢেকে রাখলে গাছটির যে ক্ষতি হবে চুলের ক্ষেত্রেও তাই হয়।

আপনার বালিশে সিল্ক জাতীয় কাভার ব্যবহার করুন। সিল্কের কাভারে চুলের ঘর্ষণ কম হবে যা আপনার চুলকে সর্বাধিক সুরক্ষা দিতে পারে।