লন্ডন থেকে প্রায় এক ঘন্টার ট্রেন নিয়ে Brighton College পৌছে তুয়ান স্যুয়েই লিয়েন। সেখানে শিক্ষক Thomas Godber এক দল ১৩, ১৪ বছর বয়স্ক ছাত্রছাত্রীদের ক্লাস দিচ্ছে। শিক্ষা আরো মজা করানোর জন্য শিক্ষক Godber সঙ্গীত যোগে পড়ান। Godberর চীনা নাম হচ্ছে কাও ফেং, ফেং মানে শীর্ষ, কাও মানে উচ্চ। ছাত্রছাত্রীরা Godberকে শিক্ষক কাও ডাকে। চীনা ভাষা পড়ানো নিয়ে Godber মনে করে, কীভাবে ছাত্রছাত্রীদের আকর্ষণ করে চীনা ভাষায় আগ্রহী করাবে তা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। সেজন্য সাধারণ চীনা ভাষা শব্দ পড়ান ছাড়া তিনি চীনের সংস্কৃতির বিভিন্ন মজা ছোট গল্প ক্লাসে পরিচয় করিয়ে দেন।
"আসলে, আমি মনে করি যে ভাষা পড়ানোর সঙ্গে সে দেশের সংস্কৃতি ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। তাছাড়া, ইতিহাস, চলচ্চিত্র ও শিল্পকলাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্র ক্লাসে আনি। মনে করি চলচ্চিত্র ছাত্রছাত্রীদের জন্য সবচেয়ে আকর্ষণীয়।"
শিক্ষাক কাও'র পদ্ধতি ছাত্রছাত্রীদের স্বীকার পেয়েছে।
"শিক্ষাক কাও'র ক্লাস খুবই মজা। এত বেশি নতুন বিষয় আমরা আগেই জানি না। চীনা ভাষা শিখি আমার জন্য এত আনন্দময়।"
ক্লাস ছাড়া ক্লাস রুমের সাজানো স্টাইলও বৈশিষ্ট্যময়। ফানুস, কাগজ কেটে তৈরি করা ছবিসহ বিভিন্ন ঐতিহ্যিক চীনা সংস্কৃতি ক্লাস রুমে দেখতে যায়। ১৪ বছর বয়স্ক এমিলি বলে,
"চলতি বছরে আমি পেইচিং, সাংহাই ও উ হান শহরে গিয়েছি। সেখানে চীনের সংস্কৃতি এত প্রচুর ও সমৃদ্ধি। মানুষরাও খুবই বন্ধুত্বপূর্ণ। চীনের খাবার আমি খুবই পছন্দ করি। পেইচিং রোস্ট হাঁস ও ডাম্প্লিং আমার সবচেয়ে প্রিয়।"
২০০৬ সাল থেকে Brighton College-এ চীনা ভাষা কোর্স শুরু হয়েছে। College-এর ভাইস-প্রেসিডেন্ট Alan Bird জানিয়েছেন, ১১ বছর বয়স্ক থেকে প্রতি ছাত্রছাত্রীর প্রতিদিনে ৩ঘন্টার চীনা ভাষা ক্লাস শুরু করে।
"অদূর ভবিষ্যতে চীনা ভাষা ছাত্রছাত্রীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণে পরিণত হবে। সেজন্য আমরা ছাত্রছাত্রীদেরকে উত্সাহ দিয়ে চীনা ভাষা শিখবে, তাদের ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত করবে।"
টোমার্স ১৯ বছর বয়স্ক থেকে এডিনবার্গে চীনা ভাষা শিখতে শুরু করেছে। স্নাতক হওয়ার পর সে চীনের তাইয়ান ও পেইচিংয়ে কাজ করেছে। তার জন্য ভাষা শিখা একটি মজা বিষয়। আর এত বেশি দেশের ভাষার মধ্যে তার জন্য চীনা ভাষা সবচেয়ে আকর্ষণী।
"আমরা সবাই জানি যে চীনের লম্বা ইতিহাস আছে, এ কারণ ছাড়া চীনা ভাষা আমার জন্য সবচেয়ে আকর্ষণীয় একটি বিষয় হচ্ছে তার স্বর, প্রতি শব্দ চারটি স্বর আছে, খুবই সুন্দর।"