"চীনের মত ইউরোপেরও দীর্ঘ ইতিহাস আছে...বৈচিত্র্যপূর্ণ সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্য আছে।"
"চীনের ইতিহাস নিয়ে আমি সবচেয়ে বেশি আগ্রহী।"
"বিশ্বে চীনের লোকসংখ্যা সবচেয়ে বেশি। তার মানে চীনের বিরাট জনশক্তি রয়েছে---অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে বা রাজনৈতিক ক্ষেত্রে।"
"চীনের ভবিষ্যতও ইউরোপের ভবিষ্যত, সেজন্য আমি চীনের উন্নয়নের অভিজ্ঞতা জানতে চাই।"
'ই ইউ'র সাংগঠনিক ক্ষমতা খুবই ভাল, মানবাধিকার রক্ষা, পরিবেশ ও নীতিগুলো ক্ষেত্রে অনেক কার্যকর কাজ করেছে। মনে করি দু'পক্ষ পরস্পরকে শিখতে পারে।"
"বৈশিষ্ট্যময় ইতিহাস ছাড়া, চীনের অর্থনীতি ও প্রযুক্তির দ্রুত উন্নয়ন হচ্ছে।"
......
ছাত্রছাত্রীরা ও বিশেষজ্ঞদের কথা থেকে জানা যায় যে, চীন ও ইউরোপের তরুণ-তরুণীরা উভয় পক্ষকে জানার প্রত্যাশা করছে।
ইউরোপে Ph.D করতে যাওয়া চীনের ছাত্র ইয়েন সাও হুয়া প্রথমে চীনের মেইনল্যান্ডে ব্যাচলার ও মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করে, তার পর হং কংয়ে উচ্চশিক্ষা লাভ করে। এরপর বৃত্তি নিয়ে ইউরোপে গবেষণার জন্য যায়। তিনি বলেন,
"চীনে আমি ইতিহাস সম্পর্কে পড়েছি। যখন আমি পড়াশুনা করি, আমি জানতে পারি যে ইউরোপে চীনের ইতিহাসে খুবই জনপ্রিয়। দু'পক্ষ পরস্পরকে গভীরভাবে প্রভাবিত করে। সেজন্য আমি মনে করি যে, চীনকে গভীরভাবে জানতে হলে ইউরোপকেও ভালোভাবে জানার প্রয়োজন আছে। তাছাড়া কূটনীতি আমার কাছে খুব আকর্ষণীয়। ইউরোপ বিশ্বের কেন্দ্র না হলেও, বর্তমান আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ইউরোপের যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে। তাই বিশ্বকে জানতে হলে অবশ্যই ইউরোপকে জানার ওপর গুরুত্ব দিতে হবে।"
ব্রিটেনের francis Ian ইয়েন সাও হুয়ার একজন সহপাঠী। তিনি বলেন,
"আমি চীন সম্পর্কে অনেক আগ্রহী। কিন্তু চীন সম্পর্কে আমি কিছু জানি না। আমি শুধু বিভিন্ন অঞ্চলে গিয়েছি। বিভিন্ন অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি। আমি চীনে গিয়েছিলাম, ইয়ুন নান প্রদেশে চীনা ভাষা শিখেছি, ছয় মাসের মত সময়। ভাষা শেখার কারণে স্থানীয় এলাকার শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে ভাল বন্ধুত্ব হয়েছে।"
চীন ও ইউরোপের নেতাদের অভিন্ন প্রচেষ্টায় দু'পক্ষের উচ্চ পর্যায়ের সাংস্কৃতিক বিনিময় সম্পর্কিত সংলাপের ইতিবাচক অগ্রগতি হয়েছে। সাংস্কৃতিক বিনিময়, রাজনৈতিক আস্থা ও অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সহযোগিতা চীন ও ইউরোপের সম্পর্কের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ অংশে পরিণত হয়েছে।