চলতি বছরের মার্চে ফ্রান্স সফরের কথা উল্লেখ করে প্রেসিডেন্ট সি বলেন, আমরা যৌথভাবে আরো নিবিড় ও স্থায়ী সার্বিক কৌশলগত অংশীদারিত্ব সম্পর্কের নতুন যুগ উন্মোচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমাদের গৃহীত সিদ্ধান্তগুলো বিগত মাসগুলোতে সফলভাবে বাস্তবায়িত হয়েছে। দু'দেশের সম্পর্ক সার্বিকভাবে উন্নত হচ্ছে। পারমাণবিক বিদ্যুত্, অর্থ ও বাণিজ্য সহযোগিতা খাতে সক্রিয় অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে। চীন ও ফ্রান্সের কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০তম বার্ষিকী উপলক্ষে ৮০০টি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। চীন ফ্রান্সের সঙ্গে যৌথভাবে আফ্রিকায় ইবোলা প্রতিরোধে সহযোগিতা করবে এবং ২০১৫ সালে ফ্রান্সে জাতিসংঘ জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলনকে সমর্থন জানাবে।
অন্যদিকে ওলাঁদ বলেন, প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের ফ্রান্স সফর দু'দেশের সম্পর্কের নতুন যুগ উন্মোচন করেছে। ফ্রান্সে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ নেয়ার জন্য চীনকে ধন্যবাদ জানান তিনি। চীনের সঙ্গে অব্যাহতভাবে ঊর্ধ্বতন পর্যায়ের যোগাযোগ বজায় রাখার আশা করে ফ্রান্স। ওলাঁদ বলেন, তার দেশ গুরুত্বপূর্ণ সহযোগিতা প্রকল্প আরো জোরদার করবে। চীনা নাগরিকদের ভিসা আবেদনের প্রক্রিয়া আরো সহজ করবে ফ্রান্স। সম্প্রতি চীন দূষিত পদার্থ নির্গমনের যে লক্ষ্যমাত্রা প্রকাশ করেছে, তাকে স্বাগত জানায় ফ্রান্স। এ পদক্ষেপ প্যারিস জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলনের অগ্রগতি ত্বরান্বিত করবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। ফ্রান্স ইবোলা মহামারী, আফ্রিকার উন্নয়ন, ইরানের পারমাণবিক সমস্যা ও সন্ত্রাস দমনসহ নানা বিষয়ে চীনের সঙ্গে যোগাযোগ ও সমন্বয় জোরদার করতে ইচ্ছুক বলেও জানান ওলাঁদ।(ইয়ু/তৌহিদ)