চীনের কেন্দ্রীয় স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে সবসময় বাংলাদেশ সমর্থন দিয়ে এসেছে উল্লেখ করে প্রেসিডেন্ট সি বলেন, সার্বভৌমত্ব ও স্থিতিশীলতা রক্ষা এবং উন্নয়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশের প্রচেষ্টাকেও তার দেশ সমর্থন দেয়। চীন আশা করে, দু'দেশের সার্বিক সহযোগিতামূলক অংশীদারিত্বের সম্পর্ক আরো উন্নত হবে। রেশম পথ ও একবিংশ শতাব্দীর সামুদ্রিক রেশম পথ দু'দেশের সহযোগিতার জন্য নতুন সুযোগ এনে দিয়েছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
আগামী বছর দু'দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৪০তম বার্ষিকী পালিত হবে উল্লেখ করে চীনের প্রেসিডেন্ট আরো বলেন, এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে দু'দেশের উচিত বাণিজ্য, কৃষি, অবকাঠামো ও সমুদ্রসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের সহযোগিতা আরো জোরদার করা। তিনি যৌথভাবে বাংলাদেশ-চীন-ভারত-মিয়ানমার অর্থনৈতিক করিডোর নির্মাণ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের ওপরও গুরুত্বারোপ করেন। এসময় তিনি এশীয় অবকাঠামো বিনিয়োগ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা-সদস্য হিসেবে বাংলাদেশকে স্বাগত জানান।
জবাবে বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট চীনকে তার দেশের নির্ভরযোগ্য বন্ধু ও অংশীদার হিসেবে আখ্যায়িত করেন এবং ধারাবাহিক সমর্থন ও সাহায্যের জন্য ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, বাংলাদেশ দারিদ্র্য বিমোচন ও উন্নয়নের জন্য চীনের অভিজ্ঞতা থেকে শিখতে চায়। তার দেশ চীনের সাথে বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা এবং দুর্যোগ প্রতিরোধের ক্ষেত্রে সহযোগিতা জোরদার করতে চায় বলেও বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট উল্লেখ করেন। (শুয়েই/আলিম)