রিককার্ডো মোন্টি জোর দিয়ে বলেন, চীন ও ইতালির সুদীর্ঘ ইতিহাস আছে। দু'দেশের চলচ্চিত্র মহল হাতে হাত রেখে সহযোগিতা করলে অবশ্যই বিশাল সাফল্য অর্জিত হবে।

চীনে আমদানিকৃত চলচ্চিত্রের ওপর কোটা ব্যবস্থাপনা রয়েছে। তাই ইতালির ভালো চলচ্চিত্র খুব কমই চীনের বাজারে দেখা যায়। ফলে, ইতালির অনেক শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র চীনে প্রদর্শন করা অসম্ভব। এ প্রসঙ্গে ইতালির চলচ্চিত্র কমিটির চেয়ারম্যান স্তেফানিয়া ইপোলিতি বলেন, দু'দেশের যৌথভাবে চলচ্চিত্র নির্মাণ হলো এই জটিল সমস্যা সমাধানের একটি ভালো পদ্ধতি। তিনি বলেন, 'ইতালির শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র চীনা দর্শকদের উপভোগের সুযোগ খুব কম। চীনের চলচ্চিত্র বাজারে প্রবেশ করা এবং চীনা দর্শকদের কাছে ইতালির চলচ্চিত্রের পরিচয় তুলে ধরার সবচেয়ে ভাল উপায় হলো চলচ্চিত্র নির্মাণের ক্ষেত্রে সহযোগিতা করা।'

চলচ্চিত্র হলো সংস্কৃতি বহনকারী একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। ইতালির জাতীয় চলচ্চিত্র, অডিও ও মাল্টিমিডিয়া শিল্প সমিতির চেয়ারম্যান রিককার্ডো তোজ্জি আশা করেন, দু'দেশের চলচ্চিত্র মহলের সহযোগিতার মধ্য দিয়ে দু'দেশের জনগণের পারস্পরিক সমঝোতা বেগবান করা যাবে। তিনি বলেন, 'ছবি প্রদর্শনের ক্ষেত্রে আমাদের কিছু চুক্তিতে স্বাক্ষর করা উচিত। যেমন, চীনে আমাদের চলচ্চিত্র সম্প্রচার করা এবং চীনাদের সঙ্গে আমাদের বিশ্ব, আমাদের জীবন যাপনের পদ্ধতি এবং আমাদের ভাষার পরিচয় করিয়ে দেওয়া প্রভৃতি। তা ছাড়া, আমরা ইতালিতে চীনের নতুন চলচ্চিত্র প্রদর্শনের সুযোগ দেবো। যৌথভাবে চলচ্চিত্র নির্মাণ করা হলো উন্নয়নের খুব সঠিক একটি দিক।'

ইতালির চলচ্চিত্র নির্মাতাদের যৌথভাবে চলচ্চিত্র নির্মাণের গভীর ইচ্ছা প্রসঙ্গে 'চায়না ফিল্ম কো-প্রোডাকশন কর্পোরেশনের' মহাপরিচালক মিও সিও থিয়েন বলেন, বর্তমানে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কর্তব্য হলো চীন ও ইতালির যৌথভাবে একটি শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র নির্মাণ করা। সহযোগিতার মাধ্যমে কিভাবে সাফল্যের সঙ্গে একটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করা যায় এ প্রসঙ্গে মিও সিও থিয়েন বলেন, 'আমি মনে করি, চলচ্চিত্রের স্ক্রিপ্ট লেখার প্রক্রিয়ায় সহযোগিতা চালানো উচিত।দু'দেশের চিত্রনাট্যকারদের একসঙ্গে স্ক্রিপ্ট লেখা উচিত।'