Bruges শহরের কেন্দ্র থেকে Bruges কনফুসিয়াস ক্লাসরুম মাত্র ৫'শ মিটারের দূরত্ব। একদিন Bruges কনফুসিয়াস ক্লাসরুমের ভবনে চীনা যন্ত্রসঙ্গীত ভেসে ওঠে। Bruges-এ চীনের শিল্পী হুয়া সিয়া ও তার স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে সবাইকে চীনা ঐতিহ্যিক বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে শুনালেন। যেমন, Chinese lute, koto, two-stringed Chinese fiddle ও seven-stringed plucked instrument in some ways similar to the zither/guqinসহ বিভিন্ন চীনা ঐতিহ্যিক বাদ্যযন্ত্র।
Bruges-এ ২৮ বছর ধরে আছেন তিনি। বেলজিয়ামের মানুষের সামনে চীনা সংস্কৃতি তুলে ধরার ক্ষেত্রে যথেষ্ট পরিচিতি রয়েছে তার।
"আমি ১৯৮৭ সালে বেলজিয়ামে এসেছি। তখন এখানে অল্প চীনা মানুষ থাকতো। যখন আমি চীনের ঐতিহ্যবাহী যন্ত্র বাজাতাম, তখন তারা খুবই অবাক হয়। কারণ তারা কখনও চীনের যন্ত্র দেখেনি। কিন্তু চীনের প্রভাব বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিশ্বের লোকেরা চীন সম্পর্কে আগ্রহী হয়ে উঠেছে। ইন্টারনেট, সঙ্গীত অনুষ্ঠানসহ বিভিন্ন জায়গায় চীন সম্পর্কিত অনেক তথ্য তারা জানছে।"
তিনি আরো বলেন, Bruges কনফুসিয়াস ক্লাসরুম নিয়মিত আলোচনা সভার আয়োজন করে। এসব তত্পরতার মাধ্যমে আরো বেশি মানুষ চীনা সংস্কৃতি সম্পর্কে জানতে পারবে। এটা খুবই তাত্পর্যপূর্ণ। কিন্তু গভীরভাবে চীনের সংস্কৃতি জানতে হলে, চীনা ভাষা শিক্ষা হচ্ছে সেরা পদ্ধতি। Bruges কনফুসিয়াস ক্লাসরুমের 'ওপেন ডে'তে চীনা ভাষা শিক্ষার শো বেশ গুরুত্বপূর্ণ।
যখন চীনের শিক্ষক বৈদেশিক বন্ধুদের জন্য চীনা ভাষার প্রতি শব্দের চারটি টোন সম্পর্কে পরিচয় করিয়ে দেন। তখন তারা সবাই আশ্চর্য হয়ে যায়। তাছাড়া হস্তলিপিশিল্প, চা শিল্প এবং আকুপাংচারসহ নানা ধরনের চীনা ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক শিল্প পরিদর্শনে অনেকের দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়।
Bruges কনফুসিয়াস ক্লাসরুমের ডিন ফিলিপ (Philip) অনর্গল চীনা ভাষা নিয়ে বলেছেন,
"Bruges কনফুসিয়াস ক্লাসরুমের ওপেন ডে (open day) কর্মসূচীর লক্ষ্য হলো ছাত্রদের অন্তর্ভুক্ত করা। আমরা একটি তথ্য প্রকাশ করতে চাই, তা হচ্ছে যদি আপনি চীনা ভাষা শিখতে চান, আমাদের ক্লাসরুমে আসতে পারেন।
Bruges কনফুসিয়াস ক্লাসরুম এখন বেলজিয়ামের একটি চমত্কার স্কুলে পরিণত হয়েছে। অনেক মানুষ এখানে চীনা সংস্কৃতি শিক্ষা ও আলোচনা করে। এর মধ্য থাইচি মুষ্টিযুদ্ধ শিক্ষক নাতালিয়ে (Natalie) বলেন,
"আমি একটি কোম্পানির হিসাবরক্ষক ছিলাম। প্রতিদিন খুবই ক্লান্ত থাকতাম, তারপর আমি খুবই গুরুতর অসুখে পড়েছিলাম। আমি ভাবতে শুরু করি, কেন ক্লান্ত বোধ করি? আমি সুখ চাই, মনে শান্তি চাই। তখন থেকে আমি থাইচি চর্চা শুরু করি। আমি ১১ বছর ধরে থাইচি করেছি। এটি এখন আমার চাকরি। থাইচি চর্চার সঙ্গে সঙ্গে আমি চীনা ভাষা শিখতে শুরু করি, এতে চীনে পৌঁছার পর থাইচি শেখা আরো সহজ হবে।"
থাইচি মানুষের মনে শান্তি আনে। মানুষকে ধৈর্য ধরতে শেখায়, চিন্তা কমায়। বেলজিয়ামে চীনের শিক্ষা বিভাগের কাউন্সিলার থাও হং চিয়েনও রাজি হন, তিনি বলেন,
"সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিদেশে চীনের সংস্কৃতির প্রভাব বেড়েছে। বিদেশের লোকেরা চীনের সংস্কৃতি খুবই পছন্দ করে। দেশগুলোর মধ্যে বিনিময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চীনা ভাষা বেশ আকর্ষণীয় হয়ে পড়েছে। সারা বিশ্বে চীনের কনফুসিয়াস ক্লাসরুম প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে। ছাত্রছাত্রীর সংখ্যাও দ্রুত বাড়ছে। এটি জনগণের লেনদেন এবং বিভিন্ন দেশের মানুষের জীবনের উন্নয়নকেও এগিয়ে নিয়েছে।"