সবচেয়ে বৃদ্ধ ম্যারাথন প্রতিযোগী
বন্ধুরা, আমি বিশ্বাস করি, ম্যারাথন প্রতিযোগিতা বিশ্ববিখ্যাত বলে সবার কাছে মোটেই অপরিচিত নয়। এবং সে সম্পর্কে অনেক গল্প বিশ্বের সবার জানা আছে। তবে আমি কি জানতে পারি, আপনারা কখনও কি শুনেছেন ম্যারাথন প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়া সবচেয়ে বৃদ্ধ প্রতিযোগির গল্প? না হলে আমার পরের গল্পটি শুনেন।
জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের ৯২ বছর বয়সের একজন বুড়ি ম্যারাথন প্রতিযোগিতা সাফল্যের সঙ্গে শেষ করার মধ্য দিয়ে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস বিশ্বের সবচেয়ে বৃদ্ধ ম্যারাথন প্রতিযোগিতে পরিণত হয়েছেন। বয়স বেশি হওয়ায় তিনি প্রতিযোগিতায় অন্যান্য প্রতিযোগিদের মতো নয়, তিনি মাঝে মাঝে দৌড়ে দৌড়ে, মাঝে মাঝে হেটে হেটে আসেন। সর্বশেষে তিনি ৯ ঘন্টা ৫৩ মিনিটের মধ্যে এবারের প্রতিযোগিতা শেষ করেছেন। যখন তিনি এবারের প্রতিযোগিতা শেষ করতে সক্ষম হয়েছিলেন, তখন তিনি একেবারেই লক্ষ্য করেন নি যে, তিনি গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস ভেঙে ফেলেছেন। তাঁর নাম হলো বুরিল। আরো বিশ্বাসযোগ্য ব্যাপার হলো তিনি এর আগে বিমান চালাতে, পাহাড় আরোহন করতে এবং হাটাহাটি করে মরুভূমি পার করতে চেষ্টা করেছিলেন অনেকবার।
যখন তাঁর দীর্ঘায়ু কৌশলের কথা বলা হয়েছে, তখন তিনি বলেন, পাঁয়চারী ও হাটাহাটি করা তাঁর শথ। তিনি আরো বলেন, হাটাহাটি করার আরেকটি ভালো দিক হলো সময় হলে পথের ফুলের গন্ধ নেয়া যায়।
জানা গেছে, এ ম্যারাথন প্রতিযোগিতার সবচেয়ে বৃদ্ধ প্রতিযোগী ছিলেন বৃটেনের একজন বুড়ি অ্যালুন, ২০০২ সালে তিনি বৃটেনের রাজধানী লন্ডন ম্যারাথন প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়ার সময় তাঁর বয়স ৯০ বছর ছিলো।
বন্ধুরা, আমার এ গল্প শুনে আপনারা কী মনে করেন? এ বুড়ির কি খুব প্রশংসা করবেন? আমিও চিন্তা করছি, সুযোগ হলে ম্যারাথন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার একবার চেষ্টা করব। আপনারা কি তাই চিন্তা করছেন? (প্রকাশ)
সবচেয়ে বড় স্যাইজ ম্যারাথন প্রতিযোগী
বন্ধুরা, সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের একজন কুস্তিগীর প্রতিযোগী গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস ভেঙে বিশ্বের সবচেয়ে বড় স্যাইজের ম্যারাথন প্রতিযোগিতে পরিণত হয়েছেন।
আমার এ গল্পের প্রধান চরিত্রের নাম হলো ক্যালি নেটিং। ৪০ বছর বয়সী ক্যালি নেটিং-এর ওজন ১৮২ কেজি। তিনি সম্প্রতি লন্ডনে আয়োজিত ম্যারাথন প্রতিযোগিতায় ৯ ঘন্টা ৪৮ মিনিট ৪২ সেকেন্ডে ৪২ কিলোমিটার ম্যারাথন প্রতিযোগিতা শেষ করেছেন। সময় একটু বেশি হলেও তিনি এত মোটা অবস্থায় এবারের প্রতিযোগিতা সাফল্যের সঙ্গে শেষ করেছেন।
তার জন্য আরো জটিল ব্যাপার ছিলো প্রতিযোগিতার সময় বৃষ্টি পড়ছিল। সেকারণে তিনি এ প্রতিযোগিতার পরবর্তী অংশের ১৩ কিলোমিটার দূরত্ব হাটাহাটির মাধ্যমে শেষ করেছেন। তিনি এবারে তাঁর ২০০৮ সালের সৃষ্ট ১১ ঘন্টা ৫২ মিনিট ১১ সেকেন্ডের গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস ভেঙ্গে ফেলেছেন।
বন্ধুরা, আপনাদের জেনে মজার লাগবে যে, তিনি এবারের প্রতিযোগিতা শেষ করার পর তাঁর ওজন প্রায় ২ কেজি কমিয়ে ফেলেছেন। এ পরিমাণ তার তেমন বড় সাইজের তুলনায় বেশি না হলেও আমরা তো দেখতে পারবো, এ প্রতিযোগিতায় তিনি কত কষ্ট করে অংশগ্রহণ করেছেন। (প্রকাশ)
বন্ধুরা, আমার এ দু'টি ম্যারাথন সম্পর্কিত গল্প শুনে আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে? আমার কাছে তো খুব ভাল লেগেছে।