বৈঠককালে প্রেসিডেন্ট সি বলেন, সোনিয়া গান্ধী ও সিং হচ্ছেন চীনা জনগণের পুরনো বন্ধু। দীর্ঘকাল ধরে তাঁরা দু'জন চীন ও ভারতের সম্পর্কের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে আসছেন। তাঁদের সমর্থনে চীন ও ভারতের মধ্যে শান্তি ও সমৃদ্ধি মুখী কৌশলগত অংশীদারিত্বের সম্পর্ক স্থাপন করা হয়। এটি দু'দেশের জনগণের বাস্তব কল্যাণ বয়ে আনাসহ এই অঞ্চল তথা বিশ্বের শান্তি ও উন্নয়নে অবদান রেখেছে।
প্রেসিডেন্ট সি জোর দিয়ে বলেন, বর্তমানে চীন ও ভারত জাতির পুনর্জাগরণের প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। তিনি বলেন, আশেপাশে স্থিতিশীল ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ খুব দরকার। তাই আমাদের সহযোগিতার মাধ্যমে ভবিষ্যত সৃষ্টি করা উচিত। এবারের সফরকালে আমি প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নয়নের ব্যাপারে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ মতৈক্যে পৌঁছেছি। এবারের সফরের ফলাফল নিয়ে আমি সন্তুষ্ট। চীনের কমিউনিস্ট পার্টি এবং ভারতের কংগ্রেস পার্টির অব্যাহতভাবে আদানপ্রদান বজায় রাখাসহ একে অপরের কাছ থেকে দেশ ও পার্টি প্রশাসনের অভিজ্ঞতা বিনিময় করা উচিত বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
সোনিয়া গান্ধী বলেন, ভারত-চীন সম্পর্কের উন্নয়ন হলো ভারতের বিভিন্ন রাজনৈতিক সম্প্রদায়ের মতৈক্য। কংগ্রেস পার্টি অব্যাহতভাবে চীনের সঙ্গে পার্টিতে-পার্টিতে বিনিময় জোরদার করতে এবং দু'দেশের সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যেতে প্রচেষ্টা চালাতে ইচ্ছুক ।
সিং বলেন, বর্তমান বিশ্বে ভারত-চীন সম্পর্ক অতি গুরুত্বপূর্ণ। কংগ্রেস পার্টি এবং অন্যান্য পার্টির সঙ্গে তিনি ভারত-চীন বন্ধুত্বপূর্ণ সহযোগিতা জোরদারের প্রচেষ্টা চালাতে ইচ্ছুক বলে জানান। (লিলি/টুটুল)