এ সম্পর্কে সি চিন পিং চারটি মতামত প্রকাশ করেন।
প্রথমত, দু'দেশের নেতাদের নেতৃত্বে উচ্চ পর্যায়ের আদানপ্রদান বজায় রেখে বিভিন্ন পর্যায়ের আদানপ্রদান আরো জোরদার করা উচিত। আন্তরিকতা হচ্ছে পারস্পরিক আস্থার ভিত্তি এবং সহযোগিতার পূর্বশর্ত। পরস্পরকে সম্মানের ভিত্তিতে রাজনৈতিক আস্থা বাড়ানো এবং সহযোগিতাকে কেন্দ্র করে সঠিক দ্বিপাক্ষিক কৌশলগত সম্পর্ক বজায় রাখা উচিত। সীমান্ত বিষয়ে বন্ধুত্বপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমে দু'পক্ষের জন্য গ্রহণযোগ্য সমাধান অনুসন্ধান করা উচিত। চূড়ান্ত সমাধানের আগে সীমান্ত এলাকার শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখা উচিত।
দ্বিতীয়ত, চীন ও ভারতের উন্নয়নের লক্ষ্য একই, উন্নয়ন ধারণা কাছাকাছি এবং উন্নয়নের কৌশল পরস্পরের জন্য উপকৃত। তাই বাস্তব সহযোগিতার মান উন্নয়ন করা, তথ্য, অবকাঠামো, দূষণমুক্ত জ্বালানি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, মহাকাশ অনুসন্ধান এবং ব্যাংকিং ক্ষেত্রের সহযোগিতা সার্বিকভাবে উন্নয়ন করা উচিত। ভারত থেকে চীন আরো বেশি ওষুধ ও কৃষিজাতের পণ্য আমদানি করতে আগ্রহী। তাছাড়া সংস্কৃতি, শিক্ষা, পর্যটন, ধর্ম, চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন, তথ্য মাধ্যম এবং মানব সম্পদের ক্ষেত্রে দু'দেশের আদানপ্রদান আরো সম্প্রসারণ করতে ইচ্ছুক চীন। ভারতীয় শিক্ষকের জন্য চীনা ভাষা প্রশিক্ষণ দেওয়া, পরস্পরের দেশে সাংস্কৃতিক কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা এবং আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে প্রতি বছরে ২০০ যুবক পারস্পরিক দেশে পাঠানো ইত্যাদি প্রকল্পও করতে ইচ্ছুক চীন।
তৃতীয়ত, বাংলাদেশ-চীন-ভারত-মিয়ানমার অর্থনৈতিক করিডোর নির্মাণ আরো দ্রুত করা উচিত। তাছাড়া দুপক্ষ সিল্ক রোড অর্থনৈতিক অঞ্চল, একবিংশ শতাব্দীর সামুদ্রিক সিল্ক রোড নির্মাণ এবং এশিয়ার অবকাঠামো পুঁজি ব্যাংক গঠন ক্ষেত্রের সহযোগিতা করা উচিত। এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে একটি খোলাখুলি, পরিচ্ছন্ন, সমান ও সহনশীল নিরাপত্তা ও সহযোগিতামূলক কাঠামো তৈরি করার জন্য দু'পক্ষের যৌথ প্রচেষ্টা চালানো উচিত।
চতুর্থত, আন্তর্জাতিক বিষয়ে দু'পক্ষের কৌশলগত আদানপ্রদান ও সহযোগিতা জোরদার করা উচিত। আন্তর্জাতিক সম্পর্কের গণতান্ত্রিককরণ বাস্তবায়ন করা এবং উন্নয়নশীল দেশের অভিন্ন স্বার্থ রক্ষা করা উচিত। জাতিসংঘ, জি-২০ এবং ব্রিকস গোষ্ঠীর কাঠামোতে ভারতের সঙ্গে মত বিনিময় বজায় রাখা এবং টেকসই উন্নয়ন, জলবায়ু পরিবর্তন, সন্ত্রাস দমন, জ্বালানি সম্পদ ও খাদ্য নিরাপত্তা বিষয়ে ভারতের সঙ্গে সহযোগিতা জোরদার করতে ইচ্ছুক চীন। শাংহাই সহযোগিতা সংস্থার সদস্য হতে ভারতকে সমর্থন করে চীন। (স্বর্ণা/টুটুল)