এসব তথ্যমাধ্যম মনে করে, একবিংশ শতাব্দীতে সামুদ্রিক রেশম পথ প্রতিষ্ঠা সম্পর্কিত চীনের উত্থাপিত প্রস্তাবে ভারত সরকারের সক্রিয়ভাবে ইতিবাচক পরিকল্পনা প্রণয়ন করা উচিত।
'পেইচিং মুখী রেশম পথ' শীর্ষক ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস' পত্রিকার একটি প্রবন্ধে ভারত সরকারের প্রতি চীনের উত্থাপিত সামুদ্রিক রেশম পথের নির্মাণ কাজকে সমর্থনের জন্য যত দ্রুত সম্ভব পরিকল্পনা প্রণয়ন করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
এই সামুদ্রিক রেশম পথ চীনের উপকূলীয় শহর, দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া, উপসাগরীয় দেশ, ভূমধ্যসাগরের বিভিন্ন দেশ এবং উত্তর আফ্রিকার উপকূলীয় দেশগুলোকে সংযুক্ত করবে।
শ্রীলংকা ও মালদ্বীপ এই পথের নির্মাণ কাজ প্রসঙ্গে নিজেদের ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ করেছে। একবিংশ শতাব্দীতে সামুদ্রিক রেশম পথ এবং বাংলাদেশ, চীন, ভারত ও মিয়ানমারের অর্থনৈতিক করিডোরের নির্মাণ কাজে অংশ নেওয়ার জন্য চীন ইতোমধ্যেই ভারতকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে। কিছু দিন প্রস্তুতি নেওয়ার পর ভারত এই করিডোরের নির্মাণ কাজ নিয়ে অন্যান্য তিন দেশের সঙ্গে আলোচনা করেছে। এই অর্থনৈতিক করিডোরকে দক্ষিণ রেশম পথ বলে গণ্য করা হয়। তাই বলা যায়, প্রেসিডেন্ট সি'র এবারের ভারত সফর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জন্য একটি ভাল সুযোগ। মোদি এবারের সুযোগ কাজে লাগিয়ে ভবিষ্যতে ভারতের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং কৌশলগত স্বার্থের সঠিক একটি বাছাই বেছে নিতে পারেন বলে তথ্যমাধ্যমটির প্রবন্ধে বলা হয়েছে।
(লিলি/টুটুল)