বৈঠকে সি চিন পিং বলেন, চীন ও মালদ্বীপের শীর্ষনেতারা মাত্র এক মাসের মধ্যে পারস্পরিক সফর বিনিময় করেছেন। এ থেকে প্রতীয়মান হয় যে, দু'দেশের সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ ও বন্ধুত্বপূর্ণ। তিনি জোর দিয়ে বলেন, দু'দেশের উচিত অব্যাহতভাবে ঊর্ধ্বতন পর্যায়ের পারস্পরিক সফর বজায় রাখা এবং বিনিময় ও সহযোগিতার ক্ষেত্র সম্প্রসারণ করা।
চীন মালদ্বীপের সাথে সামুদ্রিক অর্থনীতি, সামুদ্রিক নিরাপত্তা, বৈজ্ঞানিক গবেষণা এবং পরিবেশ সুরক্ষা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলাসহ নানা ক্ষেত্রে সহযোগিতা আরো জোরদার করবে বলে জানান প্রেসিডেন্ট সি। তিনি আশ্বাস দেন, মালে বিমান বন্দর দ্বীপের সামুদ্রিক সেতু প্রকল্পে সাহায্যদানের ব্যাপারটি চীন সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করে দেখবে। চীনের আরো বেশি শিল্পপ্রতিষ্ঠানকে মালদ্বীপের অর্থনৈতিক উন্নয়ন পরিকল্পনাসহ বিভিন্ন প্রকল্পে বিনিয়োগে উত্সাহিত করা হবে বলেও জানান প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং।
জবাবে মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট আবদুল্লাহ ইয়ামিন এক মাস আগে নানচিং যুব অলিম্পিক গেমসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ উপলক্ষ্যে তার চীন সফরের স্মৃতি স্মরণ করেন এবং মালদ্বীপ সফরে তার আমন্ত্রণ রক্ষা করায় প্রেসিডেন্ট সি'কে ধন্যবাদ জানান। এ সফর দু'দেশের সম্পর্ককে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।
প্রেসিডেন্ট ইয়ামিন আরো বলেন, চীন বড় দেশ এবং মালদ্বীপ হচ্ছে উন্নয়নশীল ক্ষুদ্র দ্বীপরাষ্ট্র। দু'দেশের মধ্যে বড় ব্যবধান সত্ত্বেও, উভয় দেশই শান্তি ও সমৃদ্ধি অর্জনে সচেষ্ট। তিনি এসময় তার দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে চীনের সমর্থন ও সাহায্যের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। (ইয়ু/আলিম)