Web bengali.cri.cn   
চীনের প্রেসিডেন্টের প্রথম মালদ্বীপ সফর
  2014-09-16 20:30:02  cri


চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং ১৫ সেপ্টেম্বর রাজধানী মালেতে মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট আব্দুল্লাহ ইয়ামিনের সঙ্গে বৈঠক করেন। এসময় দু'দেশের শীর্ষনেতা সর্বসম্মতিক্রমে চীন ও মালদ্বীপের ভবিষ্যতমুখী সার্বিক বন্ধুত্বপূর্ণ সহযোগিতামূলক অংশীদারিত্বের সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করার বিষয়ে একমত পোষণ করেন।

দু'দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার পর মালদ্বীপে প্রথম চীনের প্রেসিডেন্টের সফর বলে বহির্বিশ্ব মনে করে, সি চিন পিংয়ের এবারের সফর চীন ও মালদ্বীপের সম্পর্কের নতুন অধ্যায় উন্মোচন করবে।

১৫ সেপ্টেম্বর মালের রাস্তায় লাল রংয়ের গালিচায় অভ্যর্থনার শ্লোগান দেখা যায়। ৪ হাজার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুলের ছাত্রছাত্রী চীন ও মালদ্বীপের জাতীয় পতাকা হাতে তুলে এবং মুখে মুখে চীনা ভাষার গান গেয়ে চীনের প্রেসিডেন্ট ও তাঁর স্ত্রীকে স্বাগত জানায়।

মালদ্বীপ হচ্ছে ভারত মহাসাগরের উপকূলবর্তী একটি গুরুত্বপূর্ণ দেশ। চীন ও মালদ্বীপের শীর্ষনেতারা বৈঠকে একবিংশ শতাব্দীর সামুদ্রিক রেশমপথ প্রতিষ্ঠা সম্বন্ধে নতুন মতৈক্যে পৌঁছান এবং চীন ও মালদ্বীপের ভবিষ্যতমুখী সার্বিক বন্ধুত্বপূর্ণ সহযোগিতামূলক অংশীদারিত্বের সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত নেন।

বৈঠকের পর একসাথে সাংবাদিকদের সঙ্গে সাক্ষাত করার সময় সি চিন পিং বলেন, "দু'পক্ষ রাজি হয়েছে যে, একবিংশ শতাব্দীর সামুদ্রিক রেশমপথ প্রতিষ্ঠার সুযোগে সামুদ্রিক অর্থনীতি, সামুদ্রিক নিরাপত্তা, সামুদ্রিক বিজ্ঞান ও পরিবেশ সুরক্ষা, দুর্যোগ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ সহ নানা ক্ষেত্রের সহযোগিতা জোরদার করার উদ্দেশ্যে কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প অগ্রসর করবে এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আগে থেকে সাফল্য অর্জিত প্রকল্প চালু করবে।"

গত মাসে চীনের নানচিংয়ে যুব অলিম্পিক গেমসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রেসিডেন্ট ইয়ামিন উপস্থিত ছিলেন। তিনি স্বচক্ষে চীনের দ্রুত বিকাশ দেখেছেন । অল্প দিন পরই চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংকে মালদ্বীপে অভ্যর্থনা করতে পেরে ইয়ামিন খুব আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। তিনি চীনা ভাষায় মনের কথা ব্যক্ত করেন, "আমাদের আবার দেখা হয়েছে, আমি খুব খুশি। মালদ্বীপ একবিংশ শতাব্দীর সামুদ্রিক রেশমপথ প্রতিষ্ঠার অন্যতম অংশীদার হতে পেরে ধন্য বোধ করে। একবিংশ শতাব্দীর সামুদ্রিক রেশমপথ প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব করেছেন প্রেসিডেন্ট সি। এ প্রস্তাব চীন ও প্রতিবেশী দেশগুলোর যোগাযোগ আরো জোরদার করবে।"

দু'পক্ষ চীন ও মালদ্বীপের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সহযোগিতার যৌথ কমিটি প্রতিষ্ঠা করা এবং যথাশিগগির প্রথম অধিবেশন আয়োজন করতে রাজি হয়েছে। চীন সক্রিয়ভাবে মালে-বিমান বন্দর দ্বীপের সামুদ্রিক সেতু প্রকল্প সমর্থন করার ব্যাপারে বিবেচনা করবে। জানা গেছে, বিমান বন্দর দ্বীপ থেকে রাজধানী মালে যাওয়ার সোজা দূরত্ব মাত্র ৫০০ মিটার। কিন্তু এখন জাহাজ করে যেতে প্রায় দশ মিনিট সময় লাগে। সমুদ্র সেতু নির্মাণের পর গাড়ি করে যেতে মাত্র দু'তিন মিনিট সময় লাগবে।

চীন পরপর চার বছর মালদ্বীপের বৃহত্তম পর্যটক উত্স দেশ ছিল। গত বছর মালদ্বীপে যাওয়া চীনা পর্যটকের সংখ্যা ৩ লাখ ৩০ হাজার। সি চিন পিং বলেন, "চীন অব্যাহতভাবে মালদ্বীপের জন্য চীনের পর্যটন বাজার উন্মোচনের জন্য সহায়তা দেবে, চীনা শিল্পপ্রতিষ্ঠান মালদ্বীপের পর্যটন সেবা শিল্পে বিনিয়োগ করতে সমর্থন করবে এবং আরো বেশি চীনা পর্যটকদের মালদ্বীপ ভ্রমণে উত্সাহ দেবে।" (ইয়ু/টুটুল)

মন্তব্য
Play
Stop
ওয়েবরেডিও
বিশেষ আয়োজন
অনলাইন জরিপ
লিঙ্ক
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved.
16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040