বন্ধুরা, গত সপ্তাহের মতো আজও আমরা আপনাদেরকে নিয়ে যাবো বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায়, আর সেই সঙ্গে জানবো সেখানকার অদ্ভুত ও মজার সব বিষয় বা ঘটনা। তাহলে আর অপেক্ষা নয়, প্রথমেই যাত্রা শুরু করা যাক ফ্রান্সের উদ্দেশে। ফ্রান্সে একজন অসাধারণ মানুষ আছেন, তাঁর গল্প আজ আমরা আপনাদের সবার সঙ্গে ভাগাভাগি করবো।
সবচেয়ে উঁচু স্থানে আরোহণকারী মানুষ
বন্ধুরা, আপনারা কখনও কি একটি টাওয়ারের শীর্ষে আরোহণের কথা ভেবেছেন?
হ্যাঁ আমার ধারনা এটা আমিসহ অনেকের কাছেই খুব কঠিন এবং অদ্ভুত ব্যাপার। তবে এটা ফ্রান্সের স্পাইডার-ম্যান এ্যালেন রবার্ট-এর কাছে কোনো ব্যাপারই নয়। সম্প্রতি তিনি দড়ি বেয়ে বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু টাওয়ার 'বুর্জ খলিফা' টাওয়ারের শীর্ষে আরোহণের কাজ শেষ করেছেন মাত্র ছ'ঘণ্টায় ।
আপনারা হয়তো জানেন যে, 'বুর্জ খলিফা' টাওয়ারটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে অবস্থিত। ২০১০ সালের পয়লা এপ্রিল এই টাওয়ারের নির্মাণ কাজ শেষ হয়। এটির উচ্চতা প্রায় ৮২৮ মিটার এবং তাতে ১৬০টি তলা রয়েছে।
জানা গেছে, এ্যালেন রবার্ট সন্ধ্যা ৬টার সময় দড়ি বেয়ে টাওয়ারের এক পাশ দিয়ে উপরে আরোহণের কাজ শুরু করেন। প্রায় ৬ ঘণ্টা পর তিনি 'বুর্জ খলিফা' টাওয়ারের শীর্ষে আরোহণ করতে সক্ষম হন।
এ্যালেন রবার্টের বয়স এখন ৪৮ বছর। এর আগে তিনি কোনো দড়ির সাহায্য না নিয়েই ৭০টিরও বেশি উঁচু টাওয়ারে আরোহণ করেছেন।
তবে এবারে বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু টাওয়ারে আরোহণ করতে তিনি দড়ি ব্যবহার করেছেন। বন্ধুরা, আমাদের এ গল্প শুনে কেমন লাগল আপনাদের?
সবচেয়ে দেরিতে আসা মেইল
বন্ধুরা, আমার ধারনা আপনারা প্রত্যেকেই কোথাও না কোথাও অবশ্যই মেইল পাঠিয়েছেন। বলতে পারেন এই মেইল সেখানে পৌঁছাতে সাধারণত কতক্ষণ লেগেছে? আমি বিশ্বাস করি, অবশ্যই তা বেশি সময় লাগার কথা নয়। তবে আমরা এখন আপনাদেরকে যে গল্পটি শোনাবো তা অবশ্যই অদ্ভুত লাগবে। আর এই গল্পটি হলো 'সবচেয়ে দেরিতে আসা মেইল' সংক্রান্ত।
জানেন, সম্প্রতি 'জরুরি' ট্যাগ লাগানো এই মেইলটি বিশ বছর পর পৌঁছেছে গ্রহণকারীর হাতে।
ভারতের এশীয় বার্তা সংস্থার খবরে জানা গেছে, বিশ্বের সবচেয়ে দেরিতে আসা এই মেইলটি ১৯৯১ সালে পাঠানো।
একজন পাকিস্তানী ছাত্র তখন তার পড়াশোনাকালীন বাবা মায়ের কাছে এ পত্রটি পাঠিয়েছিলেন, তবে কে জানতো যে, সে মেইলটি ২০ বছর পর তার বাসায় পৌঁছবে। তিনি বলেছেন, আগে কয়েকবার স্থানীয় সংশ্লিষ্ট সংস্থার কাছে এ ব্যাপার নিয়ে অভিযোগ করতে চেয়েছিলেন, তবে পরে ভুলে গিয়েছেন। তারপর এ ব্যাপারটি তার মন থেকে প্রায় উধাও হয়ে গিয়েছিলো। কিন্তু ২০ বছর পর আবার তা হাজির হয়েছে তার সামনে। অনেক অদ্ভুত, তাইনা? (প্রকাশ/টুটুল)