সেপ্টেম্বর ১৪: আজ (রোববার) মালদ্বীপে রাষ্ট্রীয় সফররত চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন ফিংয়ের একটি প্রবন্ধ সে দেশের 'টু-নাইট' পত্রিকায় এবং সান অনলাইন ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়। প্রবন্ধটির শিরোনাম: 'আন্তরিক বন্ধু, উন্নয়নের অংশীদার'।
প্রবন্ধে চীনের প্রেসিডেন্ট লিখেছেন: "চীন-মালদ্বীপ বন্ধুত্বপূর্ণ আদান-প্রদানের ইতিহাস সুদীর্ঘকালের। চীনের মিং রাজবংশ আমলে চীনা নৌ অভিযাত্রী চাং হো তার জাহাজবহর নিয়ে দু'বার মালদ্বীপে পৌঁছেছিলেন। মালদ্বীপের রাজা ইউসুফও তিনবার চীনে দূত পাঠিয়েছেন। বর্তমানে মালে জাতীয় জাদুঘরে প্রদর্শিত চীনের প্রাচীনকালের চীনামাটির বাসন ও মুদ্রা হচ্ছে দু'দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ আদান-প্রদানের ঐতিহাসিক প্রমাণ।
১৯৭২ সালে চীন ও মালদ্বীপ আনুষ্ঠানিকভাবে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করে। চল্লিশ বছরেরও বেশি সময় ধরে দু'দেশ পরস্পরকে সম্মান ও সমর্থন দিয়ে আসছে। দু'দেশের সম্পর্ককে বড় ও ছোট দেশের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ ও পারস্পরিক কল্যাণমূলক সহযোগিতার দৃষ্টান্ত বলা যায়। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীন ও মালদ্বীপের মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিনিময় ক্রমাগত বেড়েছে; দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য দ্রুত প্রবৃদ্ধির প্রবণতা বজায় রেখেছে; পর্যটন খাতে পারস্পরিক সহযোগিতা দ্রুত বেড়েছে। চীন একটানা চার বছর ধরে মালদ্বীপের বৃহত্তম পর্যটক উত্স দেশ হয়েছে। মালদ্বীপ এসময়কালে চীনা জনগণ, বিশেষ করে যুব সমাজের মনে রোমান্টিক স্বর্গে পরিণত হয়েছে। চীন মালদ্বীপের অর্থনীতি ও জীবিকা উন্নয়নের জন্য যথাসাধ্য সমর্থন করে গেছে। প্রমাণিত হয়েছে যে, চীন ও মালদ্বীপ কেবল পরস্পরের আস্থাবান বন্ধু নয়, বরং হাতে হাত রেখে অভিন্ন সমৃদ্ধি ও উন্নয়ন অর্জনের লক্ষ্যে কর্মরত দুই অংশীদারও বটে।
মালদ্বীপ সরকার 'এক চীন' নীতি অনুসরণ করায় এবং চীনের কেন্দ্রীয় স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যাপারে সবসময় চীনকে মূল্যবান সমর্থন দিয়ে যাওয়ায় চীন কৃতজ্ঞ। চীন সবসময় মনে করে, বড় হোক, ছোট হোক, সব দেশই সমান। চীন বরাবরের মতো ভবিষ্যতেও মালদ্বীপের জনগণের পছন্দসই রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা আর উন্নয়নের পথকে সম্মান করে যাবে।
চীনের কেন্দ্রীয় টেলিভিশন কেন্দ্র 'সিসিটিভি'-তে 'মনোরম মালদ্বীপ' শীর্ষক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনের পর থেকে মালদ্বীপে চীনা পর্যটকের সংখ্যা অনেক বেড়েছে। চীনও মালদ্বীপের আরো অধিক সংখ্যক নাগরিককে তার ভূখণ্ডে ভ্রমণে বা পড়াশোনার উদ্দেশ্যে আসতে উত্সাহিত করে।
আমি বিশ্বাস করি, দু'পক্ষের যৌথ প্রচেষ্টায় চীন ও মালদ্বীপের মৈত্রীর নৌকা আরো সুন্দর ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাবে।" (ইয়ু/আলিম)