Web bengali.cri.cn   
০৯১৭ পূবের জানালা
  2014-09-17 20:57:41  cri

ৱআজকের অনুষ্ঠানে প্রথমেই চীনের অর্থনৈতিক জগতে সেপ্টেম্বর মাসে ঘটে যাওয়া কয়েকটি ঘটনার ওপর আলোকপাত করব।

চীনা উন্নয়ন ও সংস্কার কমিটি মনোপলি-বিরোধী আইন লঙ্ঘনের দায়ে কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে এবার ১০ কোটি ইউয়ানের বেশি জরিমানা আদায় করেছে। জে চিয়াং প্রদেশের কয়েকটি বীমা কোম্পানি এবং জে চিয়াং বীমা কমিটির কাছ থেকে এ জরিমানা আদায় করা হয়। চীনের উন্নয়ন ও সংস্কার কমিটির মনোপলি-বিরোধী ব্যুরোর উপ-প্রধান লি ছিং বলেন- "জে চিয়াং বীমা কমিটির উদ্যোগে ২৩টি বীমা কোম্পানি নিজেদের মধ্যে সমঝোতার মাধ্যমে নতুন গাড়ির বীমায় ছাড় দিয়ে আসছিল, যা মনোপলি-বিরোধী আইনের লঙ্ঘন।"

এর আগে চীনা উন্নয়ন ও সংস্কার কমিটি কয়েকটি বিদেশি বিলাসবহুল গাড়ি কোম্পানির বিরুদ্ধে অ্যান্টি-মনোপলি তদন্ত শেষে তাদের কয়েকটিকে জরিমানা করেছিল। তখন বিদেশি তধ্যমাধ্যমগুলো অভিযোগ তোলে যে, চীনের উন্নয়ন ও সংস্কার কমিটি শুধু বিদেশি কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে অ্যান্টি-মনোপলি আইন ব্যবহার করছে এবং জরিমানা আদায় করছে। এ সন্দেহেরই স্পষ্ট জবাব যেন উন্নয়ন ও সংস্কার কমিটির সর্বশেষ জরিমানার সিদ্ধান্ত। কমিটি জে চিয়াং প্রদেশে জাপান ও মার্কিন বীমা কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে তদন্ত করে কোনো অভিযোগ না-পাওয়ায় তাদেরকে জরিমানা করেনি। কিন্তু অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় চীনের কোম্পানিগুলোকে জরিমানা করেছে। মনোপলি-বিরোধী আইন বিশেষজ্ঞ সি চিয়ান চুং বলেন- "সব কোম্পানিই মনোপলি-বিরোধী আইনের দৃষ্টিতে সমান। এবার শুধু চীনের কোম্পানিগুলো শাস্তি পেয়েছে। যদি শুধু বিদেশি কোম্পানির বিরুদ্ধে আইন প্রয়োগ করা হয়, তবে আইন প্রণয়নের উদ্দেশ্যই ব্যহত হবে। অতএব উন্নয়ন ও সংস্কার কমিটি শুধু বিদেশি কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধেই অ্যান্টি-মনোপলি আইন ব্যবহার করছে বলে যে ধারণা অনেকে পোষণ করছেন, তার কোনো ভিত্তি নেই।"

সম্প্রতি জাতিসংঘ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে যে, ২০৩০ সালে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের জ্বালানি চাহিদা বিশ্বের মোট চাহিদার অর্ধেক হবে এবং এক্ষেত্রে ৮০ শতাংশই হবে জীবাশ্ম জ্বালানি। ২ সেপ্টেম্বর এপেক-এর ২১টি সদস্যরাষ্ট্রের জ্বালানিমন্ত্রীরা এবং সংশ্লিষ্ট আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর ১৮০ জন প্রতিনিধি এতদঞ্চলের টেকসই উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা করেন। সম্মেলনে গৃহীত 'পেইচিং ঘোষণায়' বলা হয়, এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নতুন ব্যবস্থা স্থাপন করা হবে। চীনের উন্নয়ন ও সংস্কার কমিটির উপ-পরিচালক এবং জাতীয় জ্বালানি ব্যুরোর প্রধান উ সিন সং বলেন- "এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নতুন ব্যবস্থা স্থাপন করার জন্য প্রথমে জ্বালানি সরবরাহের বহুবিধ পদ্ধতির নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে এবং জ্বালানির যুক্তিসঙ্গত মূল্য নির্ধারণ করতে হবে। অন্যদিকে, শুধু দ্বিপক্ষীয় নিরাপত্তা সহযোগিতা নয়, বরং বহুপক্ষীয় সহযোগিতা ও আঞ্চলিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে হবে। তাই আমরা জ্বালানি ক্ষেত্রে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে উন্মুক্ত, ব্যাপক ও টেকসই নতুন ধারণা ও ব্যবস্থা স্থাপন করব।"

পেইচিং ঘোষণায় আরও বলা হয়েছে যে, অর্থনৈতিক সত্ত্বাগুলোর উচিত জ্বালানি নিরাপত্তা জোরদার করা, এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে জ্বালানি বিনিয়োগ ও বাণিজ্য বাড়ানো, জ্বালানি কার্যকারিতা উন্নত করা এবং দূষণ-বিহীন ও জীবাশ্ম জ্বালানি উন্নয়ন প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করা।

পাঁচ দিনব্যাপী চীন-জাপান-দক্ষিণ কোরিয়া এফটিএ (মুক্ত বাণিজ্য এলাকা) পঞ্চম দফা আলোচনা পয়লা সেপ্টেম্বর পেইচিংয়ে অনুষ্ঠিত হয়। পূর্ব এশিয়া অর্থনৈতিক কাঠামোর গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ হিসেবে ২০০২ সালে প্রথমবারের মতো 'চীন-জাপান-দক্ষিণ কোরিয়া এফটিএ'-র ধারণা পেশ করা হয়। তবে নানা কারণে ২০১২ সালের নভেম্বরে অনুষ্ঠিত হয় প্রথম আলোচনা। এ আলোচনার অগ্রগতি প্রসঙ্গে চীনা বাণিজ্যমন্ত্রীর সহকারী ওয়াং সুও ওয়েন বলেন- "এটা খুব কঠিন ব্যাপার। আমরা চাই দ্রুত আলোচনায় সাফল্য অর্জন করতে। তবে একটি উচ্চ পর্যায়ের সার্বিক চুক্তিতে পৌঁছাতে সময় লাগবে। আমরা দ্রুত কাজ করতে যেয়ে আলোচনার সম্ভাব্য অর্জনকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে চাই না।" 'চীন-জাপান-দক্ষিণ কোরিয়া এফটিএ' প্রতিষ্ঠিত হলে তিন দেশের মধ্যে বিনিময় বাড়বে বলে মনে করে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা।

বর্তমানে চীনে নৌ পরিবহণ কোম্পানির সংখ্যা ২৪০টিরও বেশি এবং এসব কোম্পানির মোট বাৎসরিক পরিবহণ ক্ষমতা ১৪ কোটি ২০ লাখ টন। অন্যভাবে বললে, বিশ্বের নৌ পরিবহণ খাতে চীনের অবদান ৮ শতাংশ এবং এক্ষেত্রে চীনের অবস্থান বিশ্বে চতুর্থ। বিশ্বের প্রায় সকল প্রধান নৌবন্দরগুলোর সাথে চীনের নৌ পরিবহণ কোম্পানিগুলো একটি যোগাযোগ নেটওয়ার্ক সৃষ্টি করেছে বলা যায়।

সম্প্রতি চীনের রাষ্ট্রীয় পরিষদ প্রকাশ করে 'নৌ পরিবহন শিল্পের সুষ্ঠ উন্নয়নকে এগিয়ে নিয়ে যেতে একগুচ্ছ প্রস্তাব'। এতে বলা হয়, ২০২০ সাল নাগাদ চীনে নিরাপদ, সুবিধাজনক, কার্যকর, সুলভ, পরিবেশ-বান্ধব ও প্রতিযোগিতামূলক নৌ পরিবহণ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা হবে এবং চীনের নৌ পরিবহণ সেবা বিশ্বের পুরোভাগে থাকবে ও এর আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার সক্ষমতা বাড়বে। চীনা উপ-পরিবহণমন্ত্রী হে চিয়ান চুং বলেন, এটি চীনে নৌ পরিবহণ খাতের জন্য গৃহীত প্রথম জাতীয় কৌশল এবং এতে এ খাতের জন্য জাতীয় কর্তব্য বর্ণনা করা হয়েছে।

সম্প্রতি 'প্রথম পেইতো সম্মেলন' সিন চিয়াংয়ের রাজধানী উরুমচিতে অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে প্রকাশিত হয় 'পেইতো ন্যাভিগেশন ব্যবহার উন্নয়ন' নামে একটি প্রস্তাব। প্রস্তাবে বলা হয়, পরিবহণ, ভূ-সম্পদ, জননিরাপত্তা এবং বিমান ও নৌ পরিবহণসহ নানা ক্ষেত্রে পেইতো কোম্পানির ন্যাভিগেশন ও সেবার মান উন্নত করা হবে এবং এর ব্যবহার বাড়ানো হবে।

স্যাটেলাইট ন্যাভিগেশন সিস্টেমের জন্য নির্ভুলতা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমানে পেইতো বেসামরিক ন্যাভিগেশন-এর নির্ভুলতা কোনো কোনো অঞ্চলে জিপিএস-কেও ছাড়িয়ে গেছে। চীনা স্যাটেলাইট ন্যাভিগেশন কমিটির পরামর্শ বিভাগের প্রধান লি তুং হাং বলেন- "চীনে জিপিএস-এর চেয়ে পেইতোর সেবার মান ভাল। কারণ, আমাদের স্যাটেলাইট ব্যবস্থা ভিন্ন। মার্কিন স্যাটেলাইট চীনের আকাশে আসা-যাওয়ার মধ্যে থাকে। অন্যদিকে, আমাদের স্যাটেলাইটগুলো সবসময় চীন ও এশিয়ার উপর থাকে। দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণ গোলার্ধের কিছু অংশও আমাদের স্যাটেলাইট ব্যবস্থার আওতায় আছে। "

তবে জিপিএস-এর চেয়ে পেইতো ন্যাভিগেশন চিপের দাম কম নয়। এ প্রসঙ্গে লি তুং হাং বলেন, ২০১৬ সালে পেইতো ন্যাভিগেশন সিস্টেম ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৩ কোটি ছড়িয়ে যাবে এবং এর মধ্যে ২ কোটি ব্যবহারকারী সেবা পাবে স্মার্ট টার্মিনালের মাধ্যমে। ফলে তখন চিপের উৎপাদন ব্যায় কমে যাবে। তিনি বলেন- "পরিকল্পনা অনুযায়ী আমরা দেশের কয়েকটি প্রধান মোবাইল টার্মিনালের মাধ্যমে ২ কোটি পেইতো ন্যাভিগেশন সেবা বিক্রি করব এবং এভাবে পেইতোর সেবার মূল্য কমে যাবে। তখন সেবাপ্রতি মুনাফা কম করলেও ক্ষতি হবে না। "

এ যুগে মোবাইল ব্যবহারকারীদের আচরণে অনেক পরিবর্তন এসেছে। ইন্টারনেটে তারা যে-কোনো তথ্য অনুসন্ধান করতে পারে এবং অনুসন্ধান পদ্ধতিতেও আছে বৈচিত্র্য। গত ৩ সেপ্টেম্বর পেইচিংয়ে অনুষ্ঠিত হয় 'বাই তু বিশ্ব' নামে একটি সম্মেলন। বাই তু চীনের বিখ্যাত ও বৃহত্তম সার্চ ইঞ্চিন। সম্মেলনে বাই তুর সিইও লি ইয়ান হং বলেন, বর্তমানে মাত্র ১০ শতাংশ ব্যবহারকারী কণ্ঠ ব্যবহার করে ইন্টারনেটে তথ্য অনুসন্ধানকাজ চালায়। কিন্তু আগামী ৫ বছর পর ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের অধিকাংশই সার্চ কমান্ড দেওয়ার ক্ষেত্রে টেক্সট-এর চেয়ে কণ্ঠ ও ছবির ওপর বেশি নির্ভর করবে। তিনি বলেন- "আমি মনে করি, আগামী ৫ বছরে কণ্ঠ ও ছবি ব্যবহার করে অনুসন্ধানকারীর সংখ্যা বাড়বে। বর্তমানে কম্পিউটার আমাদের ভয়েস কমান্ডের মাত্র ৮০ শতাংশ ধরতে পারে। ছবির সাহায্যে দেওয়া কমান্ডের ক্ষেত্রেও একই কথা খাটে। তবে প্রযুক্তি উন্নয়নের সাথে সাথে কম্পিউটার আমাদের ভয়েস কমান্ড ও ছবির মাধ্যমে দেওয়া কমান্ড অধিকতর নির্ভুলভাবে ধরতে পারবে। টাইপ করে কমান্ড দেওয়ার চেয়ে কণ্ঠ বা ছবির মাধ্যমে কমান্ড দেওয়া সহজতরও বটে। "

চীনের রোগ প্রতিরোধ কেন্দ্র বা সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল ইবোলা ভাইরাসের চীনে প্রবেশ রোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। গত ৩১ আগস্ট পর্যন্ত জ্বরে আক্রান্ত ২০ জন সন্দেহভাজন রোগীকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পর কেন্দ্র নিশ্চিত করেছে যে, এদের কারুর শরীরে ইবোলা ভাইরাস নেই। এদের অধিকাংশই ছিল ম্যালেরিয়ার রোগী।

চীনের সব বন্দরেও ইবোলা ভাইরাসের পরীক্ষা জোরদার করা হয়েছে। আফ্রিকা থেকে আসা ছাত্রছাত্রীদের বিশেষ তত্ত্বাবধানের আওতায় আনা হয়েছে।

চীনে গত তেসরা সেপ্টেম্বর পালিত হয় জাপান-বিরোধী প্রতিরোধ যুদ্ধ তথা ফ্যাসিবাদ-বিরোধী যুদ্ধে বিজয়ের ৬৯তম বাষির্কী। এ উপলক্ষ্যে চীনে আয়োজন করা হয় বিভিন্ন অনুষ্ঠানের। এদিন সকালে চীনের নেতা সি চিন ফিং, লি খ্য ছিয়াং, ছাং তে চিয়াং, ইউয়ু চেং সেং, লিউ ইউয়ান সান, ওয়াং ছি সান ও ছাং কাও লি চীনের জাপান-বিরোধী প্রতিরোধ যুদ্ধ স্মৃতি জাদুঘরে আসেন এবং নানা মহলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে নিয়ে শহীদদের জন্য নির্মিত স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

চীনের প্রধানমন্ত্রী লি খ্য ছিয়াং এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। সকাল ১০টা অনুষ্ঠান শুরু হয়। অনুষ্ঠানে সি চিন ফিংসহ চীনের নেতা ও নানা মহলের প্রতিনিধিরা একসাথে চীনের জাতীয় সঙ্গীত গেয়েছেন।

পরে এক সভায় প্রেসিডেন্ট সি চিন ফিং তার ভাষণে বলেন, চীনা জনগণের মন আকাশ ও সাগরের চেয়ে বড়, তবে তাদের চোখে বালি থাকতে পারে না। তিনি বলেন- "আমরা বিশ্বের অন্যান্য দেশের মানুষকে সাথে নিয়ে জাপানের আগ্রাসন-বিরোধী যুদ্ধ তথা ফ্যাসিবাদ বিরোধী যুদ্ধের অর্জন ও যুদ্ধ-পরবর্তী বিশ্ব শৃঙ্খলা রক্ষা করবো। ইতিহাসের অস্বীকৃতি ও বিকৃতি আমরা মেনে নিতে পারি না; মেনে নিতে পারি না সমরবাদের পুনরুত্থান।"

পেইচিং ছাড়া, হুনান প্রদেশ, সেন ইয়াং শহর, ছাং চুন শহর ও হংকংসহ দেশের অন্যান্য অঞ্চলেও এ উপলক্ষ্যে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। 

যুক্তরাষ্ট্রে যৌথ নৌ মহড়া শেষে, গত তেসরা সেপ্টেম্বর চীনা নৌবাহিনীর হাউ কো, ইউয়ু ইয়াং এবং ছান তাও হু যুদ্ধজাহাজ চীনের সান ইয়া বন্দরে ফিরে আসে। ২২টি দেশের নৌবাহিনী ৩৮ দিনব্যাপী এ যৌথ সামরিক মহড়ায় অংশ নেয়।

চীনা নৌবাহিনী প্রধান উ সেং লি সান ইয়া বন্দরে চীনের নৌ প্রতিনিধিদলটিকে অভ্যর্থনা জানান। এসময় তিনি বলেন, বিশ্বে চীনা নৌবাহিনীর প্রভাব বাড়ছে এবং দেশ, জনগণ ও সশস্ত্র বাহিনীর জন্য চীনের নৌবাহিনী সম্মান বয়ে এনেছে।

সম্প্রতি চীনের নতুন প্রজন্মের ভারী সামরিক পরিবহণ বিমান 'ইউয়ুন-২০' পরীক্ষামূলকভাবে আকাশে উড়েছে। সামরিক বিশেষজ্ঞ কে লি তে বলেন- "বিভিন্ন বিমান বন্দরে পরীক্ষামূলক উডডয়ন করবে ইউয়ুন-২০। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে বিভিন্ন উচ্চতায় এবং বিভিন্ন আবহাওয়া ও তাপমাত্রায় বিমানটিকে আরো কঠিন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। বিরূপ পরিস্থিতিতে বিমানটির পারফরমেন্স কেমন, তা-ও পরীক্ষা করে দেখা হবে।"

সম্প্রতি, চীনের প্রথম বিমানবাহী রণতরী 'লিও নিং'-এর ৪ মাসের সংস্কারকাজ শেষ হয়েছে। পরে জাহাজটি তা লিয়ান বন্দর ত্যাগ করে। এসময় ইন্টারনেটে প্রকাশিত হয় লিও নিং-এর একাধিক ছবি। ছবিগুলো তোলা হয় সংস্কারকাজ চলাকালে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, সংস্কারকাজের সময় রণতরীটির বিভিন্ন কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও, সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে এর প্রয়োজন আছে। সমস্যাগুলোর সমাধান হলে, আগামী প্রজন্মের বিমানবাহী রণতরী নির্মাণের ভাল ভিত্তি সৃষ্টি হবে বলেও তারা মনে করেন।

সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদন
মন্তব্য
Play
Stop
ওয়েবরেডিও
বিশেষ আয়োজন
অনলাইন জরিপ
লিঙ্ক
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved.
16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040