বন্ধুরা, গত সপ্তাহের 'চলতি প্রসঙ্গ' অনুষ্ঠানে আমরা অদ্ভুত ও মজার প্রদর্শনীর গল্প শেয়ার করেছিলাম,তাইনা?
আজকের অনুষ্ঠানেও আমরা আপনাদেরকে বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে যাবো। আর এক ঝলক উপভোগ করবো সেখানকার অদ্ভুত ও মজার প্রদর্শনী।
ন্যাপকিন শিল্প প্রদর্শনী:
বন্ধুরা, কিছুদিন আগে আমরা আপনাদেরকে বেশ কয়েকটি পরিবেশ সংরক্ষণমূলক জিনিসপত্রের কথা শুনিয়েছি,মনে আছে আপনাদের? তা আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে?
হ্যাঁ বন্ধুরা, আজকে আপনারা সবাই আমাদের সঙ্গে অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় যাবেন, আর সেই সঙ্গে সেখানকার একটি পরিবেশ সংরক্ষণমূলক প্রদর্শনীর গল্প শুনবেন। আমরা বিশ্বাস করি, তা শুনে আপনাদের অবশ্যই ভালো লাগবে। তা হলো ন্যাপকিনের শিল্প প্রদর্শনী। সে প্রদর্শনীর নাম হলো 'ভাজ করা সৌন্দর্য'। এ প্রদর্শনীতে ন্যাপকিন দিয়ে তৈরি প্রায় ১০০ রকমের ভাজ করা শিল্প প্রদর্শিত হয়েছে। আর এ সবই তৈরি হয়েছে একজন স্প্যানিশ শিল্পীর হাতে।
জানা গেছে, এসব তৈরি করতে তাঁর তিন মাসেরও বেশি সময় লেগেছে। তিনি প্রায় ২০০ মিটার লম্বা ন্যাপকিন দিয়ে বিভিন্ন রকমের শিল্প তৈরি করেছেন। প্রদর্শিত এসব দ্রব্যের মধ্যে রয়েছে সুন্দর সুন্দর সিংহ, ময়ূর ও মেয়েসহ বিভিন্ন রকমের কাজ। এমন কি তিনি ন্যাপকিন দিয়ে মহিলার নকল চুলও বানিয়েছেন ! ওহ, বাবারে বাবা! কত অবিশ্বাস্য তাইনা? আমিও তাই ভাবি। তবে এসব কিন্তু প্রদর্শিত হয়েছে বটে।
তাহলে বন্ধুরা, আপনাদের মধ্যে কেউ অভিজ্ঞ লোক থাকলে এক টুকরো ন্যাপকিন নিয়ে নিন। আর তা দিয়ে আপনাদের মনের মতো বিভিন্ন জিনিস বানিয়ে নিতে একটু চেষ্টা করুন, কেমন? হাহা।
বিখ্যাত সেকেন্ড হ্যান্ড জুতো প্রদর্শনী:
বন্ধুরা, আমরা বিশ্বাস করি, জুতো প্রদর্শন হয়তো আপনাদের কাছে কোন অদ্ভুত ব্যাপার নয়, তবে আপনারা কি কখনও বিখ্যাত সেকেন্ড হ্যান্ড জুতোর প্রদর্শনী উপভোগ করেছেন?
তবে সম্প্রতি দক্ষিণ কোরিয়ায় অনুষ্ঠিত একটি সেকেন্ড হ্যান্ড জুতোর প্রদর্শনী অবশ্যই আপনাদের ভালো লাগবে বলে আমরা মনে করি।
আসলে দক্ষিণ কোরিয়ার রীতি-নীতি অনুসারে, যখন মৃত ব্যক্তিদের কবর দেয়া হয়, তখন অন্যরা মাঝে মাঝে শোক প্রকাশের কক্ষে গিয়ে তাদের শোক প্রকাশ করে থাকেন। তবে শোক প্রকাশের কক্ষে প্রবেশের আগে মানুষকে জুতো খুলতে হয়। আর এ সুযোগে সেখানে এক জুতো চোরও লুকিয়ে থাকে। এই চোরের বয়স ৫৯ বছর হলেও তিনি শোক প্রকাশকারীর ভান করে শোক কক্ষে গিয়ে তার নিজের সস্তা জুতো খুলে অন্য লোকের দামী এবং ভালো জুতো পায়ে দিয়ে চলে যান। স্থানীয় পুলিশ নির্ভরযোগ্য সূত্রে খবর পেয়ে তার বাড়ি থেকে অনেক দামী দামী জুতো খুঁজে বের করেছেন। আরও অদ্ভুত ব্যাপার হলো, তার বাসা থেকে ২০০ জোড়ারও বেশি জুতো উদ্ধার করা হয়েছে।
স্থানীয় পুলিশ তাদের নিজস্ব আঙ্গিনায় এ রকম একটি জুতো প্রদর্শনীর আয়োজন করেন। যাতে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এসব হারানো জুতো তাদের মালিকদের কাছে ফেরত দেয়া যায়।
তবে বন্ধুরা, এত বেশি জুতোর মধ্যে আপনার নিজের হারানো জুতো খুঁজে বের করতে পারবেন কি? তা আপনাদের দর্শন শক্তির ওপরে নির্ভর করছে, তাই না? (প্রকাশ/টুটুল)