ন্যাটোর একজন কর্মকর্তা এ সম্মেলন প্রসঙ্গে গতকাল (বুধবার) বলেন, ন্যাটোর বিভিন্ন সদস্য দেশ, ইইউ ও জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিরা তিনটি ইস্যু নিয়ে আলোচনা করবেন। প্রথমত, ২০১৫ সালের পর আফগানিস্তানে দেশটির বাহিনীকে লজিস্টিক সাপোর্ট দেওয়া হবে। দ্বিতীয়ত, আফগান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের আয়-ব্যয় এর টেকসই উন্নয়ন সাধনের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় দেশটিকে সংশ্লিষ্ট সমর্থন দিয়ে যাবে। তৃতীয়ত, আফগান বাহিনীর সঙ্গে ন্যাটোর অংশীদারিত্বের সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করা হবে, যাতে সারা আফগানিস্তানে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বাস্তবায়ন করা হয়।
ইউক্রেন সংকট প্রসঙ্গে ন্যাটোর সেই কর্মকর্তা জানান, ন্যাটো ইউক্রেনকে এ সংস্থায় অন্তর্ভুক্ত করতে রাজি। কিন্তু এ সম্মেলনে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট পেত্রো পোরোশেনকো অস্ত্র-সহায়তা চাওয়ার অনুরোধ জানালেও ন্যাটো রাজি হবে না। কারণ ন্যাটোর অস্ত্র মজুদ নেই।
জানা গেছে, ইউক্রেনের পরিস্থিতি প্রসঙ্গে এবারের ন্যাটো শীর্ষ সম্মেলনে 'কৌশলগত কর্ম পরিকল্পনা' প্রণয়ন করে যাচ্ছে, যার লক্ষ্য হবে ন্যাটো বাহিনীর আরও দ্রুততর ও ব্যাপকভাবে জরুরি অবস্থা মোকাবিলা এবং বাস্তব যুদ্ধ সংক্রান্ত দক্ষতার উন্নতি করা। (ওয়াং তান হোং/টুটুল)