0827
|
আজকের অনুষ্ঠানের শুরুতেই থাকছে চীন সম্পর্কিত কিছু খবর।
গত ১৫ আগস্ট ছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপানের আত্মসমর্পণের ৬৯তম বার্ষিকী। এ উপলক্ষ্যে চীন প্রথমবারের মতো জাপানের রাজ পরিবারের কাছে বিশ্বযুদ্ধের সময় নিয়ে যাওয়া চীনের থাং রাজবংশ আমলের একটি 'স্টোন ট্যাবলেট' ফেরত চেয়েছে। বর্তমানে ট্যাবলেটটি জাপান সম্রাটের প্রাসাদে রক্ষিত আছে। বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপানিরা ১৩০০ বছর আগের এই ট্যাবলেটটিসহ ১০ থেকে ১২ লাখ চীনা পুরাকীর্তি লুট করে নিয়ে জাপানে নিয়ে যায়।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপানি আগ্রাসনের ফলে চীনের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল। সেই ক্ষতিপূরণ আদায়ের লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত চীনের একটি বেসরকারি কমিটি চীনে জাপান দূতাবাসের মাধ্যমে জাপানের সম্রাট ও সরকার বরাবর লিখিতভাবে স্টোন ট্যাবলেটটি ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়েছে। ক্ষতিপূরণ কমিটির প্রধান থুং চেং বলেন- "আমরা শুধু প্রথম পদক্ষেপ নিয়েছি। আন্তর্জাতিক নৈতিকতা, ন্যায়পরায়ণতা ও বিশ্বযুদ্ধের পর প্রতিষ্ঠি বিশ্বশৃঙ্খলা সুরক্ষার লক্ষ্যে প্রতিটি চীনা মানুষের উচিত এ দাবি তোলা।।"
পুরাকীর্তি আইন বিশেষজ্ঞ, চীনা রাজনৈতিক বিজ্ঞান ও আইন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হুও চেং সিন এ প্রসঙ্গে বলেন, আইনি দৃষ্টিকোণ থেকে জাপানের কাছ থেকে এই পুরাকীর্তি ফিরে পাওয়ার সম্ভাবনা কম। কারণ, চীন ও জাপানের মধ্যে পুরাকীর্তি ফেরত দেওয়া সংক্রান্ত কোনো চুক্তি হয়নি। বর্তমানে লুট করা বা কেড়ে নেওয়া পুরাকীর্তি ফিরিয়ে দেওয়ার বিধানসম্পর্কিত তিনটি আন্তর্জাতিক কনভেনশন আছে। কিন্তু এই তিনটি কনভেনশনই ১৯৪৫ সালে অর্থাত চীন-জাপান যুদ্ধ শেষ হবার পর গৃহীত হয়। ফলে চীন-জাপান যুদ্ধের সময় লুট হওয়া পুরাকীর্তিগুলোর ক্ষেত্রে এসব কনভেনশান প্রযোজ্য নয়।
তবে, যুদ্ধে হারানো কোনো পুরাকীর্তিই ফেরত পাওয়া যাবে না, এমন কোনো কথা নেই। কোনো কোনো দেশ এ সংক্রান্ত আইন প্রণয়ন করেছে এবং সংশ্লিষ্ট দেশের সাথে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। হুও চেং সিন বলেন, "দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও জাতিসংঘের উদ্যোগে একটি আন্তর্জাতিক কনভেনশন প্রণীত হয়। এর লক্ষ্য ছিল যুদ্ধের সময় জার্মানি কর্তৃক লুট করা পুরাকীর্তিগুলো সংশ্লিষ্ট দেশগুলোতে ফিরিয়ে আনা। জার্মানিও লুট করা পুরাকীর্তি ফিরিয়ে দিতে একটি আইন প্রণয়ন করে। এটি জাপানের জন্য একটি ভালো উদাহরণ হতে পারে।" অসম্পূর্ণ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বিশ্বের ৪৭টি দেশের ২০০টি জাদুঘরে ১০ লক্ষাধিক চীনা পুরাকীর্তি সংরক্ষিত আছে।
আগস্ট মাসে, শহর পরিচ্ছন্ন রাখার অংশ হিসেবে রাজধানী পেইচিং শহরের চাও ইয়াং অঞ্চলের অনেক পত্রিকার দোকান অপসারণ করা হয়। তবে এ বিষয়ে নাগরিকদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। কেউ কেউ দোকান অপসারণের পক্ষে মত প্রকাশ করলেও, অনেকে এর বিরোধিতা করেছেন। তাদের মতে, পত্রিকা হচ্ছে একটি শহরের অপরিহার্য অংশ। তাই পত্রিকার দোকান অপসারণের সিদ্ধান্ত ঠিক ছিল না। জনৈক শহরবাসী জানালেন, ছোটবেলা থেকেই তিনি যে দোকান থেকে পত্রিকা ও ম্যাগাজিন ক্রয় করতেন, সেটি তুলে দেওয়া হয়েছে। এ প্রসঙ্গে তিনি জানালেন তার অসন্তোষের কথা।
সাংস্কৃতিক ভাষ্যকার ছাও পাও ইন মনে করেন, পত্রিকার দোকান শুধু ছোট একটি ঘর তা নয়, এটা শহরের আত্মার অংশ। পত্রিকার দোকান শহরের একটি অপরিহার্য অনুষঙ্গ।
চীনে গ্রীষ্মকালের ছুটি প্রায় শেষ। ছুটির দিনগুলোতে চীনের টেলিভিশনগুলোতে প্রচারিত হয়েছে নানান ভেরাইটি শো। যেমন বাবাদের নিয়ে শো 'বাবা কোথায় যায়, ট্যালেন্ট শো 'voice of china' ও পর্যটন শো 'Flower Grandpa'ইত্যাদি। এসব অনুষ্ঠান চীনা ভ্যারাইটি শো-এর জগতে বৈচিত্র্য এনেছে।
গত ২০ বছরে চীনা ভ্যারাইটি শো জগত অনেক উন্নত হয়েছে। টিভি চ্যানেলগুলোর মধ্যে এ নিয়ে চলছে প্রতিদ্বন্দ্বিতা। সবাই চায় ভালো ভালো অনুষ্ঠান করে দর্শক-শ্রোতার মন জয় করতে। অনেক টিভি বিদেশ থেকেও অনুষ্ঠান আমদানি করে। পরিসংখ্যান অনুসারে, বর্তমানে প্রতি শনিবার রাতে চীনের টিভি চ্যানেলগুলোতে ১৮টি বিভিন্ন ধরনের ভ্যারাইটি শো প্রচারিত হয়। তবে, চীনা দর্শকদের কাছে ভ্যারাইটি শো-এর চাহিদা দিন দিন বাড়ছে।
সাংস্কৃতিক ভাষ্যকার থান ফেই বলেন- "আমার মতে ভ্যারাইটি শো শুধু মানুষকে আনন্দ দেয়, তা নয়। দর্শকরা এসব শো'র মাধ্যমে কিছু শিখতে পারে। যেমন, বাবাদের নিয়ে যে শো হয়, তার মাধ্যমে বাবা-মা জানতে পারে কীভাবে শিশুদের লালন-পালন করতে হবে। 'Flower Grandpa' খুব মজার একটি শো। এ শোতে চারজন ৭০ বছর বয়সী বৃদ্ধ একসাথে বিশ্ব ভ্রমণ করেন। আগে আমাদের অনুষ্ঠানগুলি শুধু শিশু ও যুবক-যুবতীদের উদ্দেশ্য করে নির্মাণ করা হতো। আজকাল টিভি অনুষ্ঠান নির্মিত হচ্ছে বয়স্ক ব্যক্তিদের কথা মাথায় রেখেও। আশা করছি এরকম শো আরও বেশি হবে, কারণ কখনও আমাদের বাবা-মা ও বয়স্ক ব্যক্তিদের ভুলে যাওয়া উচিত না। "
এখন শুনবেন কিছু অর্থনৈতিক খবর।
জাতীয় তথ্যকেন্দ্রের সামষ্টিক অর্থনীতি গবেষণালয়ের প্রধান নিউ লি বলেন- "গত জুলাইয়ের তথ্য-উপাত্ত অনুসারে, দেশ থেকে বিদেশে পণ্য রপ্তানি হয়েছে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৪.৫ শতাংশ বেশি, যা পূর্বানুমানের তুলনায় ভালো। অবশ্য রপ্তানি খাতে এ প্রবৃদ্ধিতে উন্নয়নের সাথে সংগতিপূর্ণ ও স্থিতিশীল হতে হবে। এদিকে, পুজি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বৃদ্ধির হার কমেছে। "
জুলাইয়ে প্রকাশিত দেশের অর্থনৈতিক উপাত্ত অনুসারে, বেশি রপ্তানি ও কম আমদানির কারণে জুলাই মাসে চীনে বাণিজ্য উদ্ধৃত্ত ছিল ৪৭৩০ কোটি মার্কিন ডলার। ২০০৮ সালের নভেম্বর মাসের পর এই প্রথম অনুকূল বাণিজ্য উদ্ধৃত্ত ৪০০০ কোটি ডলার ছড়িয়ে গেল। চীনা আনন্তর্জাতিক অর্থনীতি বিনিময় কেন্দ্রের বিশ্ব অর্থনীতি গবেষণালয়ের প্রধান ছেন ফেং ইং এ প্রসঙ্গে বলেন-
"সরকারের অর্থনীতি স্থিতিশীল করার নীতি রপ্তানি বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে। এ নীতি ছিল আন্তর্জাতিক বাজারের পুনরুত্থানের জন্যও সহায়ক। গত বছর ইউরোপীয় বাজারে চীনের রপ্তানি বাণিজ্য নেতিবাচকভাবে বৃদ্ধি পায়। চলতি বছরে ইউরোপ ও এশিয়ায় আমাদের রপ্তানি বাণিজ্য দ্রুত প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে।"
রপ্তানির সুখবর আমাদের আনন্দ দিলেও, অর্থনীতির আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় 'বিনিয়োগ' হ্রাস পেয়েছে। এসময় স্থাবর সম্পত্তিতে বিনিয়োগ একটানা হ্রাস পায় এবং রিয়্যাল এস্টেট বাজারেরো মন্দাবস্থা বিরাজ করে।
হু পেই প্রদেশের দ্রব্যমূল্য ব্যুরো সম্প্রতি চারটি বিএমডব্লিউ গাড়ি বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানকে ১৬ লাখ ইউয়ান জরিমানা করে। চলতি বছর অডি ও মার্সিডিজ-বেঞ্জসহ বিলাসবহুল গাড়ি বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে অ্যান্টি-মনোপলি তদন্ত শেষে হু পেই দ্রব্যমূল্য ব্যুরো এই জরিমানা করলো। তদন্তের খবর শুনে কয়েকটি কোম্পানি ইতোমধ্যেই গাড়ির দাম কমিয়েছে। ১১ আগস্ট অডি মনোপলির অভিযোগ স্বীকার করে এবং জরিমানার শাস্তি মেনে নেয়। তথ্যমাধ্যমের বিশ্লেষণ অনুসারে, চলমান তদন্ত শেষে মোট জরিমানার পরিমাণ ২৫ কোটি ইউয়ান হতে পারে। কোম্পানিগুলো নিজেদের অপরাধ স্বীকার করায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন চীনা গাড়ি শিল্প কমিটির মহাসচিব তুং ইয়াং। তিনি বলেন- "চীনা উন্নয়ন ও সংস্কার কমিটি চীনে উচ্চমূল্যের গাড়ির বিরুদ্ধে তদন্ত করছে, যা একটি ভালো খবর। আমরা জানি চীনে আমদানিকৃত গাড়ি ও উচ্চমূল্যের গাড়ির ব্যবসায় মুনাফা বেশি এবং এ ক্ষেত্রে চীনা প্রশাসন বিভাগ চূড়ান্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। ভোক্তাদের জন্য এটি ভাল খবর এবং এটি গাড়ি বাজারে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় সহায়ক হবে।"
চীনা গাড়ি মেরামত কমিটির চলতি বছর এপ্রিল মাসে প্রথমবারের মতো প্রকাশিত একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে, বাজারে প্রচলিত ১৮টি সাধারণ গাড়ির মধ্যে ১০টি গাড়ির দামের চেয়ে গাড়ির সকল খুচরা যন্ত্রাংশের দাম চার গুণ বেশি। অন্যদিকে, মার্সিডিজ-বেঞ্জের সি শ্রেণীর গাড়ির ক্ষেত্রে তা ১২৩৭ শতাংশ বেশি। এর মানে, একটি সি শ্রেণীর গাড়ি ভেঙ্গে তার খুচরা যন্ত্রাংশগুলো বিক্রি করে সে মূল্য দিয়ে ১২টি নতুন মার্সিডিজ-বেঞ্জ সি শ্রেণীর গাড়ি কেনা যাবে!
এখন শুনবেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জগতের কয়েকটি খবর।
গত ১২ আগস্ট চীনের মানুষবাহী 'চিয়াও লং' ডুবোযান বহনকারী জাহাজ 'সিয়াং ইয়াং হং ০৯' জাহাজ উত্তর-পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগর থেকে চীনের চিয়াং সু প্রদেশের চিয়াং ইন শহরে ফিরে এসেছে। সান তুং প্রদেশের ছিং তাও শহর থেকে ৫২ দিনে ৯ হাজার নটিক্যাল মাইল অতিক্রম করে চিয়াং ইন শহরে পৌঁছেছে জাহাজটি।
'চিয়াং লং'ডুবোযান উত্তর-পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরে ১০ বার গভীর জলে ডুব দেয় এবং সমুদ্রতলে গবেষণা চালিয়ে নানা জীবজন্তু ও ধাতুর নমুনা সংগ্রহ করে। তা ছাড়া, ডুবোযানটি সমুদ্রতলের বিভিন্ন শব্দও রেকর্ড করেছে।
জানা গেছে, কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর আগামী নভেম্বর মাসে জাহাজটি দক্ষিণ-পশ্চিম ভারত মহাসাগরে যাবে। ওই স্থানটিতে সমুদ্রতলের ভূমির গঠন জটিলতর এবং 'চিয়াং লং'এর জন্য সেখানে কাজ করা হবে একটি নতুন চ্যালেঞ্জ।
সম্প্রতি এমআইটি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক বিজ্ঞানী একটি নতুন ধরনের রোবট তৈরি করেন। ২৮ সেন্টিমিটার উচ্চতার এ রোবট সাধারণ মানুষের মতো এর মালিকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারে।
এ রোবটের নাম 'Gibault' এবং এর মাথা হচ্ছে একটি মনিটর যা ৩৬০ ডিগ্রি ঘুরতে পারে। চাকা নেই বলে 'Gibault' ইচ্ছামতো চলতে পারে না, তবে এর ওজন মাত্র ২.৭ কেজি হওয়ায়, তাকে বহন করে এক স্থান থেকে অন্যস্থানে নেওয়া সহজ। 'Gibault' একটি পরিবারের বিভিন্ন সদস্যের চাহিদার অনুযায়ী বিভিন্ন কাজ করতে পারে। এমআইটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী সিন্থিয়া ( Cynthia) বলেন- "'Gibault' মানুষের মতো আপনার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারে। ওয়েবক্যামের মাধ্যমে যে লোক তার সঙ্গে কথা বলবে, তাকে চিনতেও পারবে Gibault। "
Gibault-এ স্থাপন করা হয়েছে উচ্চ রিসোলিউশনের ক্যামেরা ও মাইক্রোফোন এবং এগুলোর মাধ্যমে Gibault মানুষের ছবি তুলতে পারে বা কথা রেকর্ড করতে পারে। এ রোবট বাবা-মার পক্ষ থেকে একটি শিশুকে গান শুনিয়ে বা গল্প বলে ঘুম পাড়াতে পারে। Gibault-এর দেহের উপর স্থাপন করা হয়েছে একটি সেন্সর এবং এর মাধ্যমে সে মানুষের শারীরিক ভাষা বুঝতে পারে।
Cynthia বলেন, "গবেষণার মাধ্যমে আমরা আবিষ্কার করি যে, মানুষ স্পর্শের মাধ্যমে যোগাযোগ করে। ভালো কাজ করলে আপনি Gibault-এর 'পিঠ' চাপড়ে দিতে পারেন। সে প্রশংসার এই শারীরিক ভাষা বুঝবে। "
তা ছাড়া, Gibault পরিবারের সদস্যদের শখ ও অভ্যাসসংশ্লিষ্ট সকল তথ্য মেমরিতে রাখতে পারে এবং সে হতে পারে তাদের যে কারোর ভালো সঙ্গী। এ রোবটের দাম প্রায় ৫০০ ডলার এবং ২০১৫ সালে এটি বাজারজাত করা হবে।
বর্তমানে পশ্চিম আফ্রিকায় ইবোলা ভাইরাস মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-র রিপোর্ট অনুযায়ী, এ পর্যন্ত ১৩০০ লোক ইবোলায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। ইবোলা ভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে মৃত্যুর হার ৫০ শতাংশ থেকে ৯০ শতাংশ পর্যন্ত এবং এর কার্যকর কোনো চিকিত্সা নেই।
চীনা সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোলের ভাইরাস বিভাগের উপ-পরিচালক তুং সিয়াও পিং বলেন, "আক্রান্ত রোগী বা পশুর মৃতদেহ, রক্ত ও অন্যান্য তরল, যেমন লালা-র মাধ্যমে ইবোলা ভাইরাস ছড়ায়।"
বর্তমানে চীনের অভ্যন্তর, হংকং, মাকাও ও তাইওয়ানে ইবোলা রোগী নেই। তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, আধুনিক বিশ্বে মানুষে-মানুষে যোগাযোগ বাড়ার প্রেক্ষাপটে ভবিষ্যতে চীনেও ইবোলা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে পারে। তবে বিশেষজ্ঞরা এও বলছেন যে, চীনে নিখুঁত প্রতিরোধব্যবস্থা আছে এবং কোনোভাবে ইবোলা ভাইরাস চলে এলেও, তা মহামারী আকারে দেখা দেবে না। চীনা সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোলের জরুরী কেন্দ্রের গবেষক সিয়াং নি চুয়ান বলেন-
"ইবোলার চীনে প্রবেশের আশঙ্কা আছে, তবে এর ঝুঁকি কম। বর্তমানে শুধু আফ্রিকার চারটি দেশে ইবোলা ছড়িয়ে পড়েছে। এ চার দেশের সঙ্গেই আমাদের কিছু যোগাযোগ রয়েছে। অবশ্য ইবোলার কারণে এ যোগাযোগ অনেকটা কমে গেছে। বর্তমানে ওই চার দেশে কোনো চীনা ইবোলা রোগী নেই।"