ছোট কিন্তু সুন্দর দেশ
ঋতু রাণী শরতের পদধ্বনি শোনা যাচ্ছে। এর সঙ্গে ধীরে ধীরে বিদায় নিচ্ছে গরম। গরমের দিন অনেকেই বেশ অস্বস্তিতে থাকেন। কেউ কেউ এসি ছেড়ে ঘরের মধ্যে বসে থাকেন। তাই গরম চলে যাওয়ার পর কোথাও বেরিয়ে আসার পরিকল্পনা করুন। আজকের এ অনুষ্ঠানে আমরা বিশ্বের বেশ কয়েকটি ছোট ছোট, কিন্তু সুন্দর দেশে বেড়াতে নিয়ে যাবো আপনাদেরকে, কেমন? তাহলে আসুন শুরু করা যাক আজকের অনুষ্ঠান।
সারা বিশ্বে অনেকগুলো ছোট ছোট দেশ আছে। সে দেশগুলোর সবগুলোই যে আলাদা এবং অখণ্ড ভৌগোলিক সীমায় অবস্থিত তা কিন্তু নয়। কিছু ছোট দেশ আছে যে দেশগুলোর অবস্থান বড় দেশের ভৌগলিক সীমার মধ্যে। দেশ ছোট হলেও এ সব দেশে রয়েছে মনমাতানো আকর্ষণীয় প্রাকৃতিক ও সাংস্কৃতিক সম্পদ।
সান মারিনো
প্রথমেই চলুন, আমরা সান মারিনো দেশটিতে বেড়াতে যাই। সান মারিনো ১৫৯৯ সালে স্বাধীন হয়েছে। পুরো দেশটির অবস্থান ইতালির ভৌগলিক সীমানার মধ্যে। এর আয়তন মাত্র ৬২ বর্গকিলোমিটার। জনসংখ্যা ৩০০০। এ দেশে রয়েছে বহু পাহাড় এবং মধ্য শতাব্দী ও রেনেসাঁ সময়ের ক্যাসল বা দুর্গ। প্রকৃতি এবং ঐতিহ্যের এই মহামিলন সত্যিই অভূতপূর্ব অনুভূতির সৃষ্টি করে। পর্যটকরা এখানে বেড়াতে খুব পছন্দ করেন। আপনি শুনে অবাক হবেন যে, গত বছর এই ছোট্ট সুন্দর দেশটিতে ২০ লাখেরও বেশি পর্যটক ভ্রমণ করেছিলেন।
ব্রুনেই
ব্রুনেই মালয়েশিয়ার পূর্ব উপকূলীয় অঞ্চলে অবস্থিত। সেখানে রয়েছে সমৃদ্ধ মত্স্য এবং জাহাজ শিল্প। এছাড়া দেশটিতে রয়েছে বিপুল তেল সম্পদ। গত ৬শ' বছর ধরে ব্রুনেই একটি পরিবারের নেতৃত্বে চলে আসছে। কিন্তু বর্তমানে ব্রুনেইয়ের রাজপ্রাসাদ ও পার্লামেন্টের বিকেন্দ্রীকরণ করা হয়েছে। তবুও রাজ পরিবারটি ৪ লাখ জনসংখ্যা অধ্যুষিত দেশটিতে এখনও সবচেয়ে বেশি প্রভাবশালী। ব্রুনেইয়ের তেল সম্পদের স্তর সমুদ্রের নিচে। সেজন্য দেশটির অনেক দ্বীপের কোনো উন্নয়ন হয়নি। প্রকৃতি, বন-জঙ্গল, রঙিন ডুবো পাহাড়, সুন্দর নদনদী, আধুনিক স্থাপত্য এবং মালয়েশিয়া ও চীনা সংস্কৃতির সম্প্রীতির সহাবস্থানে ব্রুনেই পরিণত হয়েছে এক ভিন্ন দৃশ্য ও গল্পের রাজ্যে।
লেসোথো রাজ্য
লেসোথো রাজ্যটি দক্ষিণ আফ্রিকায় অবস্থিত। এটি হচ্ছে অন্য দেশের ভিতরে অবস্থানকারী বিশ্বের সবচেয়ে বড় দেশ। দেশটির অবস্থান সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৮০০ মিটার উপরে। সেজন্য দেশটি আকাশ রাজ্য হিসেবে খ্যাতি লাভ করে। শীতকালে দেশটি বরফের চাদর মুড়ি দিয়ে থাকে। এখানে আপনি হাইকিং, অশ্বারোহণ, স্কিইং করতে পারেন। আফ্রিকা মহাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে লেসোথো হচ্ছে একমাত্র অঞ্চল, যেখানে স্কিইং করা যায়। লেসোথার একটি ঐতিহ্যবাহী ইতিহাস রয়েছে। গত ৬২০ শতাব্দীর ৬০-এর দশকে লেসোথো স্বাধীন হয়। লোসোথা দক্ষিণ আফ্রিকার ভৌগলিক সীমানার মধ্যে থেকেও দক্ষিণ আফ্রিকার অন্তর্গত না হতে বা তার স্বাধীন অস্তিত্ব বিলীন না করতে ব্রিটেনের কাছে সহায়তা চেয়েছিল। এর ফলে, বিগত শতাব্দী জুড়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় বর্ণবাদের সর্বব্যাপী কালো থাবা লেসোথোর ওপর কোনোই প্রভাব ফেলতে পারেনি।
লিচেনস্টাইন
লিচেনস্টাইন যেটি রয়েছে অস্ট্রিয়া ও সুইজারল্যান্ডের মাঝখানে। দেশটিতে জার্মান ভাষায় কথা বলা হয়। লিচেনস্টাইনও একটি সুন্দর পাহাড়ি দেশ। প্রতি বছর অনেক পর্যটক এখানে স্কিইং করতে যান। সুইজারল্যান্ডের সঙ্গে দেশটির ব্যাপক অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক যোগাযোগ রয়েছে। সেজন্য দেশটিতে সুইস ফ্রান্ক মুদ্রার প্রচলন রয়েছে। দেশটির রাজধানীতে অনেক সুন্দর ও ঐতিহ্যবাহী স্থাপত্য এবং নামি দামি শপিং মল রয়েছে। লিচেনস্টাইন ১০ম শতাব্দিতে প্রতিষ্ঠিত হয়। এর জনসংখ্যা মাত্র ৩০০০০।
লুক্সেমবার্গ
লুক্সেমবার্গ ইউরোপের আরেকটি ছোট দেশ। দেশটি ফ্রান্স, জার্মানি ও বেলজিয়ামের মাঝখানে রয়েছে। যেখানে আছে সুন্দর প্রাসাদ, দুর্গ আর গ্রাম। দেশটির রাজধানী লুক্সেমবার্গ সিটি। অধিকাংশ নাগরিক উপকণ্ঠে থাকেন। সুন্দর উপত্যকা আর রূপকথার মতো ক্লাসিক এবং মার্জিত দৃষ্টিনন্দন শহরের টানে প্রতিবছর হাজার হাজার পর্যটক ছুটে যান ছোট্ট সুন্দর দেশটিতে। সেখানকার উন্নত ব্যাংকিং, প্রযুক্তি ও ইস্পাত শিল্পের কারণে লুক্সেমবার্গ বর্তমানে ইউরোপের সবচেয়ে ধনী দেশগুলোর অন্যতম। বর্তমানে দেশটির জনসংখ্যা ৫ লাখ। আয়তন ২৫৯০০বর্গকিলোমিটার।
সারা বিশ্বে অনেকগুলো ছোট ছোট দেশ আছে। সে দেশগুলোর সবগুলোই যে আলাদা এবং অখণ্ড ভৌগোলিক সীমায় অবস্থিত তা কিন্তু নয়। কিছু ছোট দেশ আছে যে দেশগুলোর অবস্থান বড় দেশের ভৌগলিক সীমার মধ্যে। দেশ ছোট হলেও এ সব দেশে রয়েছে মনমাতানো আকর্ষণীয় প্রাকৃতিক ও সাংস্কৃতিক সম্পদ।
সান মারিনো
প্রথমেই চলুন, আমরা সান মারিনো দেশটিতে বেড়াতে যাই। সান মারিনো ১৫৯৯ সালে স্বাধীন হয়েছে। পুরো দেশটির অবস্থান ইতালির ভৌগলিক সীমানার মধ্যে। এর আয়তন মাত্র ৬২ বর্গকিলোমিটার। জনসংখ্যা ৩০০০। এ দেশে রয়েছে বহু পাহাড় এবং মধ্য শতাব্দী ও রেনেসাঁ সময়ের ক্যাসল বা দুর্গ। প্রকৃতি এবং ঐতিহ্যের এই মহামিলন সত্যিই অভূতপূর্ব অনুভূতির সৃষ্টি করে। পর্যটকরা এখানে বেড়াতে খুব পছন্দ করেন। আপনি শুনে অবাক হবেন যে, গত বছর এই ছোট্ট সুন্দর দেশটিতে ২০ লাখেরও বেশি পর্যটক ভ্রমণ করেছিলেন।
ব্রুনেই
ব্রুনেই মালয়েশিয়ার পূর্ব উপকূলীয় অঞ্চলে অবস্থিত। সেখানে রয়েছে সমৃদ্ধ মত্স্য এবং জাহাজ শিল্প। এছাড়া দেশটিতে রয়েছে বিপুল তেল সম্পদ। গত ৬শ' বছর ধরে ব্রুনেই একটি পরিবারের নেতৃত্বে চলে আসছে। কিন্তু বর্তমানে ব্রুনেইয়ের রাজপ্রাসাদ ও পার্লামেন্টের বিকেন্দ্রীকরণ করা হয়েছে। তবুও রাজ পরিবারটি ৪ লাখ জনসংখ্যা অধ্যুষিত দেশটিতে এখনও সবচেয়ে বেশি প্রভাবশালী। ব্রুনেইয়ের তেল সম্পদের স্তর সমুদ্রের নিচে। সেজন্য দেশটির অনেক দ্বীপের কোনো উন্নয়ন হয়নি। প্রকৃতি, বন-জঙ্গল, রঙিন ডুবো পাহাড়, সুন্দর নদনদী, আধুনিক স্থাপত্য এবং মালয়েশিয়া ও চীনা সংস্কৃতির সম্প্রীতির সহাবস্থানে ব্রুনেই পরিণত হয়েছে এক ভিন্ন দৃশ্য ও গল্পের রাজ্যে।
লেসোথো রাজ্য
লেসোথো রাজ্যটি দক্ষিণ আফ্রিকায় অবস্থিত। এটি হচ্ছে অন্য দেশের ভিতরে অবস্থানকারী বিশ্বের সবচেয়ে বড় দেশ। দেশটির অবস্থান সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৮০০ মিটার উপরে। সেজন্য দেশটি আকাশ রাজ্য হিসেবে খ্যাতি লাভ করে। শীতকালে দেশটি বরফের চাদর মুড়ি দিয়ে থাকে। এখানে আপনি হাইকিং, অশ্বারোহণ, স্কিইং করতে পারেন। আফ্রিকা মহাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে লেসোথো হচ্ছে একমাত্র অঞ্চল, যেখানে স্কিইং করা যায়। লেসোথার একটি ঐতিহ্যবাহী ইতিহাস রয়েছে। গত ৬২০ শতাব্দীর ৬০-এর দশকে লেসোথো স্বাধীন হয়। লোসোথা দক্ষিণ আফ্রিকার ভৌগলিক সীমানার মধ্যে থেকেও দক্ষিণ আফ্রিকার অন্তর্গত না হতে বা তার স্বাধীন অস্তিত্ব বিলীন না করতে ব্রিটেনের কাছে সহায়তা চেয়েছিল। এর ফলে, বিগত শতাব্দী জুড়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় বর্ণবাদের সর্বব্যাপী কালো থাবা লেসোথোর ওপর কোনোই প্রভাব ফেলতে পারেনি।
লিচেনস্টাইন
লিচেনস্টাইন যেটি রয়েছে অস্ট্রিয়া ও সুইজারল্যান্ডের মাঝখানে। দেশটিতে জার্মান ভাষায় কথা বলা হয়। লিচেনস্টাইনও একটি সুন্দর পাহাড়ি দেশ। প্রতি বছর অনেক পর্যটক এখানে স্কিইং করতে যান। সুইজারল্যান্ডের সঙ্গে দেশটির ব্যাপক অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক যোগাযোগ রয়েছে। সেজন্য দেশটিতে সুইস ফ্রান্ক মুদ্রার প্রচলন রয়েছে। দেশটির রাজধানীতে অনেক সুন্দর ও ঐতিহ্যবাহী স্থাপত্য এবং নামি দামি শপিং মল রয়েছে। লিচেনস্টাইন ১০ম শতাব্দিতে প্রতিষ্ঠিত হয়। এর জনসংখ্যা মাত্র ৩০০০০।
লুক্সেমবার্গ
লুক্সেমবার্গ ইউরোপের আরেকটি ছোট দেশ। দেশটি ফ্রান্স, জার্মানি ও বেলজিয়ামের মাঝখানে রয়েছে। যেখানে আছে সুন্দর প্রাসাদ, দুর্গ আর গ্রাম। দেশটির রাজধানী লুক্সেমবার্গ সিটি। অধিকাংশ নাগরিক উপকণ্ঠে থাকেন। সুন্দর উপত্যকা আর রূপকথার মতো ক্লাসিক এবং মার্জিত দৃষ্টিনন্দন শহরের টানে প্রতিবছর হাজার হাজার পর্যটক ছুটে যান ছোট্ট সুন্দর দেশটিতে। সেখানকার উন্নত ব্যাংকিং, প্রযুক্তি ও ইস্পাত শিল্পের কারণে লুক্সেমবার্গ বর্তমানে ইউরোপের সবচেয়ে ধনী দেশগুলোর অন্যতম। বর্তমানে দেশটির জনসংখ্যা ৫ লাখ। আয়তন ২৫৯০০বর্গকিলোমিটার।
সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদন
মন্তব্য
ওয়েবরেডিও
বিশেষ আয়োজন
অনলাইন জরিপ
লিঙ্ক